সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ক্রেডিট কার্ডের সুদ হিসাবের ভয়ঙ্কর পদ্ধতি এবং চক্রবৃদ্ধির সুদের ফাঁদ থেকে বাঁচার উপায়

Credit Card Drifting Down
আপনি মানেন আর না মানেন, এটা সত্যি যে, ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড (Credit Card) অনেকের জীবনেই ধ্বংস ডেকে এনেছে। ক্রেডিট কার্ডের উচ্চ সুদের ভয়ঙ্কর ঋণের ফাঁদে পড়ে অনেকের জীবনেরই আজ ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। এর অন্যতম একটি কারণ, ক্রেডিট কার্ডের সুদ হিসাবের ভয়ঙ্কর পদ্ধতি। অনেকেই জানেন না, ব্যাংক গুলোতে ঠিক কি পদ্ধতিতে ক্রেডিট কার্ডের সুদ হিসাব করা হয়? আবার ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা ও অসুবিধা গুলো আসলে কি, সেটাও অনেকে জানে না। অথচ একটু বুদ্ধি খাটিয়ে স্মার্টলি ব্যবহার করতে পারলেই কিন্তু Credit Card থেকে অনেক সুবিধা নেয়া যায়। 

যাইহোক, ক্রেডিট কার্ড আসলে কি এবং Credit Card ব্যবহার করতে গিয়ে কেন এবং কিভাবে মানুষ চক্রবৃদ্ধি হারে সুদের গ্যাড়াকলে আষ্টেপৃষ্ঠে আটকে পড়ে, সেইসব রহস্যই ভেদ করার চেষ্টা করেছি আজকের এই পোস্টে। 

Credit Card স্মার্টলি ব্যবহার করার জন্য এর সাথে সম্পর্কিত সকল তথ্য সঠিক ভাবে জানা প্রয়োজন। বিশেষ করে বিভিন্ন Bank- এর ক্রেডিট কার্ডের সুদের হার এবং নানা ধরনের চার্জ গুলো সম্পর্কে না জানলে বিপদে পড়ার সম্ভাবনা প্রায় শতভাগ। কেননা এই তথ্যগুলো না জানা কিংবা গুরুত্ব না দেয়ার কারণেই ক্রেডিট কার্ড মানুষের পকেটের বারোটা বাজিয়ে দেয়। 

অন্যদিকে এসব তথ্য যদি ঠিকমত জানা থাকে তাহলে খুব সহজেই Credit Card থেকে সর্বাধিক সুবিধা নেয়া যায়। স্মার্টলি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে পারলে আপনি এর সর্বোচ্চ সদ্বব্যবহার করে বেশি বেশি  সুবিধা নিতে পারবেন এবং সেইসাথে  নিজেকে এই সব বিপদ থেকে দূরেও রাখতে পারবেন। 

এসব বিষয় নিয়েই এই আলোচনা করা হয়েছে এই পোস্টে। পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনি জানবেন, ক্রেডিট কার্ডের সুদের হার আসলে কতটা ভয়ংকর হতে পারে। আর এই ভয়ঙ্কর সুদ চক্র থেকে বের হওয়ার সঠিক উপায়। 


ক্রেডিট কার্ড একটি ঋণ প্রোডাক্ট 

ক্রেডিট কার্ড নিয়ে বিপদে পড়ার সবচেয়ে বড় কারণটি হল এর সুদ এবং চার্জ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা না থাকা। 

ক্রেডিট কার্ড যেহেতু একটি ঋণ নেয়ার হাতিয়ার তাই এরসাথে সুদ এবং নানা রকম চার্জ যুক্ত থাকে। এরমধ্যে রয়েছে ইয়ারলি রিনিউয়াল চার্জ, ওভার লিমিট চার্জ, লেট পেমেন্ট চার্জ, ক্যাশ উইথড্রয়াল চার্জ ইত্যাদি। 

তো আসুন প্রথমেই জেনে নেই ক্রেডিট কার্ডের সুদ কিভাবে আপনাকে ধ্বংস করে সে সম্পর্কে। 

ক্রেডিট কার্ড আপনার জীবনে বিধ্বংসী হয়ে উঠতে পারে যদি আপনি এর সুদ কিভাবে নির্ধারণ করা হয় সে সম্পর্কে না জানেন। 

মনে রাখবেন, ব্যাংকের যত ঋণ প্রোডাক্ট আছে, তারমধ্যে ক্রেডিট কার্ডের ঋণের সুদের হার সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশে এটা আগে ২৩ থেকে ৩৬ শতাংশ পর্যন্ত হত, কিন্তু সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক সব ধরনের ক্রেডিট কার্ডের সর্বোচ্চ সুদের হার ২০ শতাংশ নির্ধারণ করে দিয়েছে। যা এখনও অবিশ্বাস্য রকমের বেশি। 

যাইহোক, আপনি যদি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারী হন বা করতে চান, তাহলে শুরুতেই আপনাকে জানতে হবে, আপনি যে কার্ডটি ব্যবহার করছেন বা করবেন, এর সুদের হার কত? 

হিসাবের সুবিধার্তে ধরে নিলাম আপনার কার্ডের সুদের হার ৩০ শতাংশ। এখন দেখুন এই হার কিভাবে আপনাকে ঋণের সাগরে হাবু-ডুবু খাওয়ায়! 


ক্রেডিট কার্ড যেভাবে আপনাকে আর্থিকভাবে ডুবিয়ে ছাড়ে 

কার্ডের সুদের হার ৩০ শতাংশ হলে, আপনি যদি ক্রেডিট কার্ড থেকে  মাত্র ১ হাজার টাকা ঋণ নেন, তাহলে প্রতিদিন সুদ বাবাদ আপানাকে দিতে হবে কমবেশি মাত্র ৮৩ পয়সা (হ্যা, টাকা নয়, পয়সা)! 

কি খুব কম মনে হচ্ছে? তাহলে এবার  দেখুন এখানে শুভঙ্করের ফাঁকিটি আসলে কথায়! 

দৈনিক মাত্র ৮৩ পয়সা সুদ আসলেও আপনি কিন্তু প্রতিদিন সেই টাকা পরিশোধ করছেন না। আপনি পরিশোধ করছেন মাসের শেষে যখন আপনার সুদ গিয়ে দাঁড়াবে প্রায় ২৫ টাকায়। এখনো কম মনে হচ্ছে? তাহলে পড়তে থাকুন। 

এখন কথা হচ্ছে, আপনি মাসে নিশ্চয় মাত্র ১ হাজার টাকা খরচ করে বসে থাকবেন না। ধরে নিলাম, আপনি হয়ত প্রতিমাসে গড়ে ৩০ হাজার টাকা খরচ করেন। 

যদি তাই হয়, তাহলে ৩০ হাজার টাকার জন্য মাসে আপনাকে শুধু সুদ বাবদ দিতে হচ্ছে অতিরিক্ত ৭৫০ টাকা।  

এখন আপনি যদি প্রথম মাস শেষে ৭৫০ টাকা সুদ সহ আসল ৩০ হাজার টাকা পরিশোধ করে দেন, তাহলে সব ঠিক আছে। আপনার দায় এখানেই শেষ। 

কিন্তু আপনি যদি কোন কারণে মাস শেষে পুরোটা শোধ না করেন, তাহলে সেই ৭৫০ টাকা আবার আপনার আগের বাকি টাকার সাথে যোগ হয়ে যাবে এবং তখন সেই পুরো টাকার উপর আবার নতুন করে হাজারে ৮৩ পয়সা হিসেবে প্রতিদিন সুদ যোগ হতে থাকবে। 

এখানেই শেষ নয়, কেননা এর সাথে আবার আপনার চলতি মাসের খরচের অংকও যোগ হতে থাকবে। এভাবে দেখা যায় চোখের নিমিষেই সুদ সহ মোট টাকার পরিমাণ আপনার পরিশোধের সামর্থের বাইরে চলে যায়। 

আর আপনাকে এই ঋণের জালে ফেলার জন্য ক্রেডিট কার্ড কোম্পানিগুলো নানা রকম লোভনীয় ফাঁদ তৈরি করে রেখেছে, এবং তাতে আপনি ঠিকমত না বুঝেই পা দিয়ে ফেলছেন! 


তো কি সেই ফাঁদ? 

সাধারণত ক্রেডিট কার্ড কোম্পানি গুলো প্রতিমাসে আপনি যে টাকা খরচ করেন সেটা পরিশোধের জন্য বেশ কয়েকদিনের বাড়তি সুদমুক্ত সময় দিয়ে থাকে। এই সুদ মুক্ত পরিশোধের সময়সীমা ব্যাংক ভেদে সাধারণত ১৫ থেকে ২০ দিন হয়। 

অর্থাৎ আপনার কার্ডের স্টেটমেন্ট যদি মাসের ১ তারিখে জেনারেট হয়, তাহলে আপনি ঐ মাসের ১৬ তারিখ পর্যন্ত সময় পাবেন সুদ ছাড়া পুরো অর্থ পরিশোধের জন্য। আপনি যদি এই সময়ের মধ্যেই সমস্ত দায় শোধ করে দেন, তাহলে আপনাকে কোন ঝামেলায় পড়তে হবে না। 

কিন্তু আপনার মত বেশিরভাগ মানুষই সেটা করে না। এজন্য তারা ব্যাংকের আরেকটি লোভনীয় ফাঁদ বেছে নেয়, যা আপনার মত লোকের জন্যই ব্যাংক গুলো তৈরি করে রেখেছে। 

পুরো অর্থ পরিশোধের বদলে ব্যাংক মাত্র ৫ শতাংশ দায় পরিশোধের সুযোগ দেয়, যাতে ব্যবহারকারি তার কার্ডটি চালু রাখতে পারেন। 

কিন্তু স্টেটমেন্টের পুরো অর্থ পরিশোধ না করার জন্য ব্যাংক আর পরবর্তী মাসে গ্রাহককে কোন ইন্টারেস্ট ফ্রি বা সুদ মুক্ত সময়সীমা দেয় না, ফলে প্রতিদিন সুদের টাকা জমা হতে থাকে। 

এখন ধরুন, আপনার সেই প্রথম মাসের ৩০ হাজার টাকা আপনি পুরপুরি শোধ না করে মাত্র ৫ শতাংশ বা ১৫০০ টাকা পরিশোধ করলেন। আর এতে করে যা হল, তা হয়ত আপনার চিন্তারও বাইরে! 

মাত্র ১৫০০ টাকা পরিশোধের পর আপনার বাকি থাকল ২৮ হাজার ৫০০ টাকা। যার জন্য চলতি মাস শেষে আপনাকে সুদ দিতে হবে প্রায় ৭১০ টাকা (৩০ শতাংশ হারে হিসাব করলে)। তো আপনার মোট দায় দাঁড়াল ২৯ হাজার ২১০ টাকা। 

এর বাইরে আবার আপনার চলতি মাসের খরচ ধরে নিলাম আরও ৩০ হাজার টাকা। এই টাকার উপর যেহেতু আপনি কোন সুদমুক্ত সুবিধা আর পাবেন না, তাই এর উপরও প্রতিদিন সুদ জমা হতে থাকবে। 

এটা একটি জটিল হিসাব, কেননা আপনি যেদিন যত টাকা আপনার কার্ড থেকে খরচ করবেন সেদিন থেকেই তত টাকার উপর সুদ জমতে থাকবে। 

ধরে নিলাম আপনি মাসের প্রথমদিনই ৩০ হাজার টাকা খরচ করলেন। তাহলে এ মাসের শেষে নতুন করে খরচ করা ৩০ হাজারের জন্য আপনার সুদ হবে আরও ৭৫০ টাকা। 

তাহলে দেখুন দ্বিতীয় মাস শেষে আপনার মোট দ্বায় গিয়ে দাঁড়াল ২৯২১০+৩০৭৫০ = ৫৯৯৬০ টাকা। 

এখানেই শেষ নয়, আগের মাসে পুরো অর্থ শোধ না কারার জন্য এবার ব্যাংক আপনাকে ফিন্যান্স চার্জ বা লেট পেমেন্ট  ফি আরোপ করবে, যার সাথে আবার  ভ্যাটের টাকাও যোগ হবে। 

ধরলাম ভ্যাট সহ আপনার লেট পেমেন্ট ফি আসল ২০৪০ টাকা। তাহলে দ্বিতীয় মাস শেষে আপনার চুড়ান্ত দায় দাঁড়াল ৬২ হাজার টাকা।  

এখন ব্যাংক ভাল করেই জানে আপনি এই টাকা একসাথে শোধ করতে পারবেন না। কেননা মাত্র আগের মাসেই আপনি এর অর্ধেকেরও কম অর্থ পুরোপুরি পরিশোধ করতে পারেন নি! 

তো আপনি এবার কি করবেন? হ্যা, আপনি আবারও মাত্র ৫ শতাংশ অর্থ পরিশোধের সুযোগ নেবেন আর আপনার নিয়মিত খরচ চালিয়ে যাবেন। আর এভাবেই জমতে থাকবে আপনার ঋণের পাহাড়! 

প্রতি মাসেই ৫ শতাংশ হারে শোধ করার পরও দেখবেন, আপনার ঋণের অংক তো কমছেই না, বরং লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েই চলেছে। অন্যদিকে আপনার মিনিমাম পেমেন্ট হিসেবে ৫ শতাংশ হারে যে অংক একসময় ছিল সামান্য কিছু টাকা, সেটাও এখন বাড়তে বাড়তে একটা বড় অংকে রুপ নিয়েছে। প্রথম মাসে মাত্র ১৫০০ টাকা দিয়ে কার্ড চালু রাখতে পারলেও পরের মাস থেকে এই মিনিমাম পেমেন্টের অংকটাও ঊর্ধমূখি হতে থাকে। 

এখানেই শেষ নয়! 

আগেই বলেছিলাম, ক্রেডিট কার্ডের সাথে নানা রকম চার্জ যুক্ত আছে। আপনার ঋণের অংক যখন এভাবে প্রতিমাসেই বাড়তে থাকবে, তখন তা এক পর্যায়ে আপনার ক্রেডিট কার্ডের লিমিটকে ছাড়িয়ে যাবে। আর একবার যদি আপনার মোট ঋণ আপনার ক্রেডিট লিমিটকে অতিক্রম করে যায়, তাহলে ব্যাংক আপনাকে এবার ওভার লিমিট চার্জ করবে, যার সাথে আবার ভ্যাটের অংকও যোগ হবে। 

আর লিমিট পেরিয়ে গেলে ব্যাংক আপনার কার্ডও বন্ধ করে দিবে। তখন একসঙ্গে আপনাকে অনেক টাকা পরিশোধ করতে হবে।

আশাকরি বুঝতে পারেছেন, কেন এবং কিভাবে আপনি ক্রেডিট কার্ডের ঋণের জালে আটকা পড়েছেন। 


ক্রেডিট কার্ডের এই ভয়ঙ্কর ফাঁদ থেকে কিভাবে বাচবেন? 

ক্রেডিট কার্ডের ঋণের ফাঁদ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হচ্ছে, সুদ মুক্ত সময়সীমার মধ্যেই কার্ডের সমস্ত দেনা পরিশোধ করে দেয়া। 

এজন্য আপনাকে খরচের ব্যাপারে সাবধান হতে হবে। নিজের সাধ্যের বাইরে খরচ করবেন না। 

Smart ways of using credit card safely
আর চার্জ গুলো থেকে বাঁচতে, এগুলো সম্পর্কে আগে থেকেই আপনাকে জানতে হবে এবং এভয়েড করে চলতে হবে। যেমন, কার্ড বা পিন হারিয়ে ফেললে আপনাকে সেগুলো আবার নতুন করে চার্জ দিয়ে তুলতে হবে। তাই এগুলো যেন না হারায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। 

আপনি যদি আবার কার্ড দিয়ে কেনাকাটা না করে সরাসরি ক্যাশ টাকা তোলেন, তাহলে আপনাকে কিন্তু আবার বেশ ভাল ভাবেই ভুগতে হবে। কেনানা, ক্যাশ তলার ক্ষেত্রে ব্যাংক গুলো কোন সুদ মুক্ত সময় সীমা দেয় না। 

আপনি যেদিন ক্যাশ তুলবেন, সেদিন থেকেই সুদ যোগ হতে থাকবে। এর বাইরে আবার ক্যাশ তোলার জন্য আপনাকে ক্যাশ এডভান্স ফি চার্জ করা হবে। 

সুতরাং, ক্রেডিট কার্ডের সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে হলে, কখনই ক্যাশ টাকা তুলবেন না, আর মাস শেষে  স্টেটমেন্টের পুরো অর্থ পরিশোধ করে দেবেন। 

এর বাইরে সময়ে সময়ে দেয়া ক্রেডিট কার্ডের নানা অফার নিতে ভুলবেন না। কিন্তু মনে রাখবেন, কোনভাবেই যেন ঠিক সময়ে পুরো টাকা পরিশোধে দেরি না হয়। 

ক্রেডিট কার্ড নিয়ে আপনার অভিজ্ঞতা কেমন, সেটা আমাদের জানান কমেন্ট করে। আর এই পোস্টটি ভাল লাগলে অবশ্যই তা আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। 

সহজে পুরো বিষয়টি বোঝার জন্য নিচের ভিডিওটি দেখে নিতে পারেন। 



বি.দ্রঃ এ ধরনের তথ্যগুলি সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হতে পারে। তাই পাঠকের বর্তমান সময়ের একচুয়াল তথ্যের সাথে পোস্টের তথ্যের পার্থক্য থাকতে পারে। ডিসক্লেইমার জানতে এবং পোস্ট ব্যবহারের আগে শর্তাবলী দেখে নিন।


মন্তব্যসমূহ

  1. আমি যদি বিকাশে কার্ড থেকে টাকা আনি, সেক্ষেত্রে এটার সুদ কি ক্যাশ টাকা উঠানোর মতো কাটবে নাকি কম সুদ কাটবে??

    উত্তরমুছুন
  2. ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের অনেক সুবিধা আছে। পোস্টটি পড়ুন।

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মতামত জানান।

জনপ্রিয় পোস্টগুলি

Provident Fund এবং Gratuity আসলে কি? কিভাবে প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্রাচ্যুইটির হিসাব করা হয়?

চাকরিতে বেতনের বাইরে আরও যেসব আর্থিক সুবিধাদি থাকে, তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে প্রভিডেন্ট ফান্ড ( Provident Fund ) এবং গ্রাচ্যুইটি ( Gratuity )। কিন্তু এসব বিষয়ে অনেকেরই তেমন কোন সুস্পষ্ট ধারনা নেই। অনেকেই জানেন না, প্রভিডেন্ট ফান্ড (PF) এবং গ্রাচ্যুইটি (Gratuity) আসলে কি? এগুলো কিভাবে কাজ করে আর এখান থেকে কি ধরেনর সুবিধা পাওয়া যায়? প্রত্যেক চাকরিজীবীর জানা থাকা দরকার যে, কিভাবে প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্রাচ্যুইটির হিসাব করা হয়? কিন্তু বাস্তবতা হল, নিজ চাকরিতে এসব সুবিধা থাকার পরও অনেকই বিষয়গুলো ভাল করে বোঝেন না। অথচ একজন স্মার্ট ক্যারিয়ারিস্ট হিসেবে প্রত্যেকের উচিৎ চাকরি সংশ্লিষ্ট প্রতিটি সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে ভাল করে জানা। আবার যারা চাকরিপ্রার্থী, তারাও এই বিষয় গুলো তেমন একটা বোঝে না। বিভিন্ন চাকরির বিজ্ঞাপনে প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্রাচ্যুইটি সুবিধার কথা লেখা দেখে অনেকেই কিছু না বুঝেই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে, যা অনেক সময়ই তাদের প্রত্যাশার সাথে মেলে না। যেহেতু প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্রাচ্যুটি হচ্ছে বেতনের বাইরে প্রাপ্ত আর্থিক সুবিধা, তাই এগুলো সম্পর্কে ভাল করে জানাটা জরুরী। তাই এসব বিষয় নিয়েই

যে ১০টি দক্ষতা থাকলে চাকরি পেতে কারও রেফারেন্স লাগে না

বলুন দেখি, চাকরি পেতে কোন জিনিসটি আপনার অবশ্যই থাকতে হবে? টাকা-পয়সা, মামা-চাচা-খালু, নাকি বড় বড় চটকদার ডিগ্রি?  সত্য বলতে আসলে এসব কিছুই না! যে কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েই আপনি মানানসই একটি ভাল চাকরি অনায়াসেই পেতে পারেন, যদি আপনার মধ্যে একটি মাত্র জিনিস থাকে! আর সেই জিনিসটির নাম হচ্ছে দক্ষতা বা স্কিল। এ যুগে চাকরি পেতে হলে একজন প্রার্থীর মধ্যে বেশকিছু দক্ষতা বা Skill অবশ্যই থাকতে হবে। হ্যা, মামা-চাচা-খালু কিংবা ঘুষ দেয়ার জন্য টাকা-পয়সা নয়, এই দক্ষতাই হচ্ছে এযুগে চাকরি পাওয়ার একমাত্র যোগ্যতা। আপনার মধ্যে যদি উপযুক্ত দক্ষতা থাকে, তাহলে চাকরি নিজেই আপনাকে খুঁজে নেবে। আপনাকে আর চাকরির পিছনে দৌড়াতে হবে না। কিন্তু আপনার মধ্যে যদি সময়ের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষতা না থাকে তাহলে, আপনি যতই জুতা ক্ষয় করেন না কেন, সহজে চাকরি পাবেন না। তাই সময়ের চাহিদা অনুযায়ী উপযুক্ত দক্ষতা বা Skill অর্জনের দিকে মনোযোগ দিন।  আর এজন্য ঠিক কি কি দক্ষতা এই যুগের চাকরির জন্য প্রয়োজন, সেটি জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, কিভাবে চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে এবং কিভাবে ভাল একটি চাকরি পাওয়া যায়, সে সম্পর্কে শুরু থেকেই আপনার পর

শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ শুরুর প্রথম পাঠ

কিভাবে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে ব্যবসা করতে হয়, সেটা অনেকেরই অজানা। বিশেষ করে নতুনদের জন্য শেয়ার বাজারে আগমনের পথটা সব সময়ই কঠিন। কেননা, শেয়ার বাজারে শুরুটা ঠিক কিভাবে করতে হয়, সে সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সবসময়ই অপ্রতুল।  শেয়ার বাজার বা স্টক মার্কেট সবসময়ই একটি উচ্চ ঝুঁকপূর্ণ জটিল জায়গা। তাই এখানে আসার আগে প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু পড়াশুনা করে নূন্যতম জ্ঞান নিয়ে আসা উচিত। তা না হলে, শেয়ার বাজারে এসে টাকা খোয়ানো কেউ ঠেকাতে পারবে না!  তবে শুরুতেই ভয় পাওয়ার কিছু নেই! কেননা বিখ্যাত বিনিয়গকারী পিটার লিঞ্চ যেমনটা বলেছেন, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের জন্য পৃথিবীর সব মানুষেরই যথেষ্ট বুদ্ধি-বিবেচনা বোধ রয়েছে। ক্লাস ফাইভের অংক করতে জানেন, এমন লোকও শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করার জন্য উপযুক্ত। তবে কথা আছে। শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের জন্য একজন বিনিয়োগকারীর অবশ্যই যথেষ্ট ধৈর্য, প্রচেষ্টা এবং পর্যাপ্ত সময় ব্যয় করার ইচ্ছা থকতে হবে। আর তাহলেই কেবল একজন বিনিয়গকারী সফল হওয়ার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবে।  তাই আজকের এই লেখায়, আমি শেয়ার  বাজারে বিনিয়োগ শুরু করার বেসিক ধাপ গুলো নিয়ে আলোচনা করব। এই বিষয় গুলো জানাটা সব বিনিয়ো

মাত্র ২ টাকা দিয়ে শুরু করে এক বছরেই লাখ টাকা জমানোর ক্রেইজি উপায়

টাকা জমানো মোটেই সহজ কোন কাজ নয়। অনেকেই নানাভাবে চেষ্টা করেও টাকা জমাতে পারে না। তাই টাকা জমানোর এই কঠিন  কাজটিকে সহজ করতে পৃথিবীতে আবিষ্কৃত হয়েছে নানা তত্ত্ব এবং উপায়। সেখান থেকেই আজ আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব এমন  একটি উপায়, যেটা দিয়ে টাকা জমানোর কাজটা হয়ে যাবে অনেক সহজ, আর এটার শুরুটা করা যাবে মাত্র ২ টাকা দিয়ে। তবে এই পদ্ধতিটির আবিষ্কারক কে, সেটা আমার সঠিকভাবে জানা নেই, তাই কারও নাম উল্লেখ করতে পারলাম না। তবে আপনাদের কারও যদি জানা থাকে, তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। চলুন তাহলে আলোচনা শুরু করি। মাত্র ২ টাকা দিয়ে জমানো শুরু করে কিভাবে ১ বছরেই লাখপতি হওয়া যায়?  মাত্র ২ টাকা দিয়ে জমানো শুরু করে ১ বছরে লাখপতি হওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমে যে কাজটি করতে হবে, সেটি হল, আপনাকে আগে একটা নির্দিষ্ট তারিখ বেছে নিতে হবে, যেদিন থেকে আপনার একবছর গণনা শুরু হবে। বছরের যে কোন দিন থেকে আপনি শুরু করতে পারেন, তবে সেখান থেকে একটানা ৩৬৫ দিনের হিসাব আপনাকে ঠিক ভাবে রাখতে হবে। দ্বিতীয়ত, এ পদ্ধতির সফলতার জন্য আপনার একাগ্রতা এং নিষ্ঠার দরকার হবে। মাঝপথে ছেড়ে যাওয়া যাবে না। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ঠিক ভাবে লেগে থ

আয় যেমনই হোক, সঞ্চয় বাড়ানোর সেরা জাপানি কৌশলে টাকা জমবে সহজে

সবাই টাকা জমাতে চায়, তবে বাস্তবতা হল, সবার টাকা জমানোর ক্ষমতা কিন্তু সমান নয়। বেশি আয় করলেই যে বেশি সঞ্চয় করতে পারবেন, বিষয়টা মোটেই তেমন নয়। সেকারণে দেখা যায়, অনেকেই অল্প আয় করেও অনেক টাকা জমিয়ে ফেলে, আবার অনেকে প্রচুর আয় করেও এক পয়সাও জমাতে পারে না!  তাই সঞ্চয়ের জন্য সবার আগে জানতে হবে, আপনার আসলে টাকা জমানোর প্রকৃত ক্ষমতা কতটুকু? আর এটা জানার জন্য আমরা ব্যবহার করব শতাধিক বছরের পুরনো জাপানি পদ্ধতি, যার নাম 'কাকিবো' (জাপানি ভাষার উচ্চারণ ভিন্ন হতে পারে) । এই জাপানি পদ্ধতিতে আপনি মাত্র ৪টি সহজ প্রশ্নের উত্তর দিয়েই যাচাই করতে পারবেন, আপনার আসলে সঞ্চয়ের ক্ষমতা কতটুকু। শুধু তাই নয়, কাকিবো  আপনার সঞ্চয়রে সামর্থ্য কিভাবে বাড়িয়ে তোলা যায়, সে পদ্ধতিও বাতলে দিবে।   কাকিবো পদ্ধতির জন্ম  ১৯০৪ সালে, জাপানে। পারসোনাল ফিন্যান্স বা ব্যক্তিগত বাজেট ম্যানেজম্যান্টের জন্য এইপদ্ধতিটি আবিষ্কার করেন, জাপানি নারী সাংবাদিক হানি মটোকো।   অনেকেই কাকিবোকে টাকা জমানোর একটি উপায় বলে মনে করেন, যা আসলে সঠিক নয়। সত্য কথা হল, কাকিবো আসলে টাকা জমানোর কোন পদ্ধতি নয়, এটা হল, আপনার টাকা জমানোর প্রকৃত ক্ষমতা বের

শেয়ার ব্যবসায় মুনাফা করার অব্যর্থ টেকনিক

শেয়ার বাজার বা Stock Market - এ বিনিয়োগ করে ধরা খেতে না চাইলে আপনাকে অবশ্যই কিছু বেসিক নিয়ম মেনে বিনিয়োগ করতে হবে। কেননা, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে যারা ধরা খেয়েছেন, তাদের একটা বড় অংশ এই মার্কেটে বিনিয়োগের বেসিক নিয়ম গুলো জেনেই বিনিয়োগ করে ফেলেছিলেন। শেয়ার বাজার একটি উচ্চ ঝুকি পূর্ণ স্পর্শকাতর জায়গা। তাই এখানে বিনিয়োগ করতে হয় বুঝে শুনে, গুজবের উপর ভিত্তি করে নয়। শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের কিছু বেসিক নিয়ম আছে, যেগুলো বেশিরভাগ বিনিয়োগকারীই জানেন না অথবা বিনিয়োগের সময় সেগুলো প্রয়োগ করেন না। এরফলে তাদের বিনিয়োগ থেকে যায় ঝুঁকিপূর্ণ এবং বাজারের সামান্য উত্থান-পতনেই তাদের বিনিয়োগ নেমে আসে শুন্যের কোটায়। তাই শেয়ার বাজারে ভাল কোম্পানিতে দীর্ঘ মেয়াদে নিরাপদ এবং টেকসই বিনিয়োগ করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই বেশ কিছু বেসিক বিষয় মাথায় রাখতে হবে। কিন্তু কি সেই বিষয় গুলো? - এই নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে এই পোস্টে।  আজকের এই লেখায় আমি আপনাদের জানাব, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের এমন ৫ টি অব্যর্থ টেকনিক, যেগুলো না জেনে বিনিয়োগ করা কখনই উচিৎ হবে না। আর এই টেকনিক গুলো সার্বজনীন, অর্থাৎ এগুলো যেকোন দেশের যে

আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের মাধ্যমে সমাজে নিজের গুরুত্ব বাড়িয়ে তোলার উপায়

শুধুমাত্র বিপুল টাকা-পয়সা কিংবা সম্পদের পাহাড়ের মালিক হলেই কেউ অন্যের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে না। নিজেকে অন্যদের কাছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ করে তলার জন্য ব্যক্তির মধ্যে বিশেষ কিছু গুণ বা বৈশিষ্ট্য থাকতে হয়। এসব গুণ বা বৈশিষ্ট্য অর্জন করতে পারলেই কেবল আপনি নিজেকে অন্যের কাছে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে পারবেন।  জীবনে সফল হতে হলে, অবশ্যই নিজের গুরুত্ব বাড়াতে হবে এবং অন্যদের মাঝে নিজেকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে জায়গা করে নিতে হবে। আজকের পৃথিবীর সফল ব্যক্তি যারা, তারাও সফল হওয়ার অনেক আগে থেকেই নিজেদেরকে সমাজের কাছে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছেন, যা তাদেরকে আজকের এই পর্যায়ে আসতে সাহায্য করেছে।  জীবনে সফল হওয়ার জন্য কেউ যখন কাজ করতে থাকে, ঠিক তখন থেকেই তাকে নিজের গুরুত্ব বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হয়। তা না হলে পরবর্তীতে, নিজেকে সামজের অন্যদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলাটা অনেক কঠিন হয়ে যায়। তাই নিজেকে সবার মাঝে ধনী তথা সফল ব্যক্তিদের মত গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে চাইলে, এখন থেকেই আপনাকে কাজ শুরু করে দিতে হবে। কিন্তু কিভাবে নিজের মধ্যে ধনীদের মত আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব গড়ে তুলে নিজেকে সবার মাঝে গুরুত্বপূর্ণ করে

এ যুগের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যেভাবে কর্মীদের বেতন নির্ধারণ করে

আপনি কি জানেন, বেসরকারি চাকরিতে কিভাবে আপনার বেতন নির্ধারণ করা হয়?  নিয়োগকর্তা বা কোম্পানিগুলো ঠিক কি পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত নেয়, আপনার বেতন কত হবে? কেন একই যোগ্যতা থাকার পরও ভিন্ন ভিন্ন কোম্পানি ভিন্ন ভিন্ন অংকের বেতন দেয়? কিভাবে আপনার চেয়ে ১০ বছরের ছোট ছেলেটা আপনার চেয়ে বেশি বেতনে জয়েন করল? বেতনের ক্ষেত্রে সিনিয়রিটি নাকি দক্ষতা, কোনটিকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়? এসব প্রশ্নের  উত্তর নিয়েই আজকের এই পোস্ট।  আজকে এখানে আমি ব্যাখ্যা করেছি বেতন নির্ধারণের মূল ৫ টি ফ্যাক্টর, যেগুলো বেতন নির্ধারণের ক্ষেত্রে সারাবিশ্বেই সাধারনভাবে চর্চা করা হয়। কোন একটি কোম্পানিতে কার বেতন কত হবে, সেটা আসলে নির্ভর করে অনেকগুলো ফ্যাক্টরের ওপর।  আর নিয়োগকারী কোম্পানি কোন ফ্যাক্টরকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে সেটাও আপনার বেতনের অংকে প্রভাব ফেলতে পারে। যেকারনে একই সমান অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকার পরও দুটি ভিন্ন কোম্পানিতে দু’জনের আলাদা অংকের বেতন হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। তবে একটি আদর্শ কোম্পানিতে সাধারণত কিভাবে কোন এমপ্লোয়ির বেতন নির্ধারণ করা হয়, সেটা জানা থাকলে ব্যাপারটা বুঝতে সবার সুবিধা হবে। আসুন দেখা যাক কিভাবে সেটা

বাংলাদেশে স্বর্ণে বিনিয়োগ আসলে কতটা লাভজনক?

বাংলাদেশে সোনা বা স্বর্ণে বিনিয়োগ করা সত্যিকার অর্থেই আসলে কতটা লাভজনক এবং এদেশে  স্বর্ণ কিনে রেখে দিলে আপনার ভবিষ্যৎ কি  সেটা জানার জন্য সম্প্রতি আমি বেশকিছু খোঁজ-খবর করি এই ব্যাপারে।  এটা করতে গিয়ে দেখলাম, এই বিষয়টাতে বাংলাদেশে অনেক হিডেন ব্যাপার-স্যাপার আছে, যা সবার পক্ষে সাধারণভাবে জানা কখনই সম্ভব নয়।  এমনকি সোনা বা স্বর্ণ কিনতে গেলেও দোকানদাররা আপনাকে এসব কথা জানাবে না, কিন্তু যখনই বেচতে যাবেন, তখনই বুঝবেন স্বর্ণে বিনিয়োগ করাটা আপনার কতটা সঠিক কিংবা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল।  তাই  স্বর্ণ কিনে রেখে দিলে বাংলাদেশে আপনার ভবিষ্যৎ কি - সে বিষয়টি নিয়েই আজকে আলোচনা করব। তবে বিষয়টি ভালভাবে বোঝার জন্য, বাংলাদেশের বিষয়াদি আলাপের আগে, আসুন জেনে নেই, স্বর্ণে বিনিয়োগের কিছু বেসিক বিষয় এবং আন্তর্জাতিক মার্কেটে স্বর্ণে বিনিয়োগ করার পুরো চক্রটা ঠিক  কিভাবে  কাজ করে, সে সম্পর্কে।  কেন স্বর্ণে বিনিয়োগ করা হয়?  ডলার হোক কিংবা টাকা , যেকোন মুদ্রার মান বা ভ্যালু যখন কমতে থাকে , তখন সারা বিশ্বেই মানুষজন বিকল্প এসেট ক্লাস হিসেবে সোনা বা স্বর্ণের মত দামী ধাতুতে বিনিয়োগ করে। বিনিয়োগের জন্য দামী এবং প্রয়োজনীয় ধ