সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

যে ১০টি দক্ষতা থাকলে চাকরি পেতে কারও রেফারেন্স লাগে না

Skills for Job
বলুন দেখি, চাকরি পেতে কোন জিনিসটি আপনার অবশ্যই থাকতে হবে? টাকা-পয়সা, মামা-চাচা-খালু, নাকি বড় বড় চটকদার ডিগ্রি? 


সত্য বলতে আসলে এসব কিছুই না!


যে কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েই আপনি মানানসই একটি ভাল চাকরি অনায়াসেই পেতে পারেন, যদি আপনার মধ্যে একটি মাত্র জিনিস থাকে!


আর সেই জিনিসটির নাম হচ্ছে দক্ষতা বা স্কিল। এ যুগে চাকরি পেতে হলে একজন প্রার্থীর মধ্যে বেশকিছু দক্ষতা বা Skill অবশ্যই থাকতে হবে।


হ্যা, মামা-চাচা-খালু কিংবা ঘুষ দেয়ার জন্য টাকা-পয়সা নয়, এই দক্ষতাই হচ্ছে এযুগে চাকরি পাওয়ার একমাত্র যোগ্যতা।


আপনার মধ্যে যদি উপযুক্ত দক্ষতা থাকে, তাহলে চাকরি নিজেই আপনাকে খুঁজে নেবে। আপনাকে আর চাকরির পিছনে দৌড়াতে হবে না।


কিন্তু আপনার মধ্যে যদি সময়ের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষতা না থাকে তাহলে, আপনি যতই জুতা ক্ষয় করেন না কেন, সহজে চাকরি পাবেন না।


তাই সময়ের চাহিদা অনুযায়ী উপযুক্ত দক্ষতা বা Skill অর্জনের দিকে মনোযোগ দিন। আর এজন্য ঠিক কি কি দক্ষতা এই যুগের চাকরির জন্য প্রয়োজন, সেটি জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।


কেননা, কিভাবে চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে এবং কিভাবে ভাল একটি চাকরি পাওয়া যায়, সে সম্পর্কে শুরু থেকেই আপনার পরিষ্কার ধারনা থাকা উচিত। 


যাইহোক, এই যুগের চাকরিদাতাদের চাহিদা এবং যোগ্যতা অনুযায়ী ভাল কোন চাকরি পেতে হলে কোন কোন দক্ষতা গুলো আপনার অবশ্যই থাকতে হবে, সেসব বিষয় নিয়েই আজকের এই পোস্টে আমি আলোচনা করেছি।


চাকরি করতে হলে আপনাকে অবশ্যই কোন না কোন বিষয়ে দক্ষ হতেই হবে।  এর কোন বিকল্প নেই।


সাধারণত চাকরিতে যে ধরনের কাজ আপনি করতে চান, সেই কাজের দক্ষতাই আপনার থাকতে হবে।


যেমন, আপনি যদি কোন প্রতিষ্ঠানের আইটি বিভাগে কাজ করতে চান, তাহলে আপনাকে আইটিতে অবশ্যই দক্ষতা অর্জন করতে হবে।


কিন্তু এভাবে বললে, সব কাজের জন্যই আলাদা আলাদা দক্ষতা থাকার কথা বলতে হবে। তবে বাস্তবতা হল, চাকরি সব সময় শুধু দক্ষতা ভিত্তিক কাজের জন্য অফার করা হয় না। সাধারন কজের জন্যও অনেক চাকরি বাজারে আছে। তবে সেগুলো পাওয়ার জন্যও আপনার নির্দিষ্ট কিছু দক্ষতা থাকা চাই।


আপনি যে সেক্টরে কাজ করতে চান, সেই বিষয় রিলেটেড কাজের দক্ষতা তো আপনার থাকতেই হবে, তবে আজকে আমি আপনাদের বলব, এমন ১০টি সার্বজনীন দক্ষতার কথা যেগুলো এ যুগে চাকরি পাওয়ার জন্য আপনার মধ্যে অবশ্যই থাকতে হবে।



দক্ষতা নাম্বার # ১

মাইক্রোসফট অফিস


এই যুগে চাকরি পেতে হলে আপনার প্রথমেই যোগ্যতাটি থাকতে হবে সেটি হচ্ছে মাইক্রোসফট অফিস সফটওয়্যার ব্যবহারের দক্ষতা। 


আরও সুনির্দিষ্ট ভাবে বললে বলা যায়, ওয়ার্ড এবং এক্সেলে যেকোন কাজ করার দক্ষতা। আপনার বাংলা এবং ইংরেজি উভয় ভাষার টাইপিং স্পিড অবশ্যই ভাল হতে হবে এবং এক্সেলের বেসিক ফাংশন গুলো অবশ্যই জানা থাকতে হবে।



দক্ষতা নাম্বার # ২

কমিউনিকেশন বা যোগাযোগ দক্ষতা


চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে এটি এমন একটি দক্ষতা যেটির প্রমাণ আপনাকে দিতে হবে চাকরি পাওয়ার আগে থেকেই। ইন্টারভিউ বোর্ডে আপনার এই দক্ষতাটাই যাচাই করা হবে।


কমিউনিকেশন বা যোগাযোগ দক্ষতা একটি ব্যাপক ভিত্তিক দক্ষতা। এটা আপনাকে অর্জন করতেই হবে।


অফিসের ভেতরে অন্য কলিগদের সাথে যেমন আপনার যোগাযোগ করতে হবে, তেমনি ব্যবসায়িক প্রয়োজনে বাইরের লোকেদের সাথেও আপনার যোগাযোগ করতে হবে। এই দুই ধরনের যোগাযোগের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা আপনাকে অর্জন করতে হবে।



দক্ষতা নাম্বার # ৩

টিম ওয়ার্ক


টিম ওয়ার্ক বা দলগত ভাবে কাজ করার দক্ষতাও আপনার থাকতে হবে। তা না হলে আপনি সহজে চাকরি পাবেন না। অনেকেই এই দক্ষতাটি ভালভাবে রপ্ত না করেই চাকরিতে যোগ দেয়, কিন্তু পরবর্তীতে অফিসে অন্যদের সাথে আর নিজেকে ঠিকমত খাপ খাওয়াতে পারে না।


তাই, আপনি যদি আপনার কর্মক্ষেত্রে ভাল পারফরম্যান্স দেখাতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই টিম ওয়ার্ক করা শিখতে হবে।



দক্ষতা নাম্বার # ৪

কমার্শিয়াল এয়াওয়ারনেস বা ব্যবসায়িক সচেতনতা


এই যুগে কিভাবে একটি কম্পানিকে টিকে থাকতে হয়, কি ধরনের বাঁধা এখনকার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান গুলো মোকাবেলা করে, সে সম্পর্কে আপনার  অবশ্যই জানা থাকতে হবে। 


সহজভাবে বলতে গেলে, আপনার যদি এই জ্ঞান না থাকে তাহলে এযুগে চাকরি পাওয়ার প্রত্যাশা আপনার না করাই ভাল।


কেননা, একটি কোম্পানি কখনই এমন লোক কে নিয়োগ দিতে চাইবে না, যে বর্তমান সময়ের ব্যবসা বোঝে না। আপনাকে নিয়োগ দিয়ে যদি কোম্পানির ব্যবসায়িক অগ্রগতি বাঁধা গ্রস্ত হয়, তাহলে কেন আপনি চাকরি পাবেন, সেটা নিজেই একবার ভেবে দেখুন!



দক্ষতা নাম্বার # ৫

সমস্যা সমাধানের দক্ষতা


চাকরি পেতে ৫ নাম্বার দক্ষতা হিসেবে আপনার থাকতে হবে, যে কোন সমস্যা সমাধান করার ক্ষমতা। এখানে সমস্যা বলতে আপনার কাজের পরিধির ভেতরে তৈরি হওয়া যেকোন সমস্যাকে বোঝানো হয়েছে।


চাকরি করতে গেলে দেখবেন, যে কোন সময়, যে কোন ধরনের সমস্যা এসে আপনার সামনে হাজির হচ্ছে। এসব সমস্যার সমাধান আপনাকেই করতে হবে।  আর তা করার মত প্রয়োজনীয় দক্ষতাও আপনার থাকতে হবে। 


তাই চাকরি পেতে হলে, প্রবলেম সলভিং বা সমস্যা সমাধান করার দক্ষতা অর্জনের দিকে মনোযোগ দিন।



দক্ষতা নাম্বার # ৬

লার্নিং স্কিল বা শিখে নেয়ার দক্ষতা


আপনি নিশ্চয় সবজান্তা নন। আর এটা হওয়া কারও পক্ষেই সম্ভব নয়। তাই আপনাকে প্রতিনিয়ত শেখার ক্ষমতা বা দক্ষতা থাকতে হবে।


চাকরি করতে গেলে দেখবেন, প্রতিদিনই নতুন নতুন অনেক কিছু আপনার সামনে আসছে। সেগুলো থেকেই আপনার অভিজ্ঞতা তৈরি হবে।


এজন্য প্রতিনিয়ত আপনাকে নতুন জিনিস শিখে নেয়ার দক্ষতা থাকতে হবে। যাদের মধ্যে এই দক্ষতাটি আছে, দেখবেন তারা চাকরি জীবনে খুব দ্রুত সফলতা পেয়ে যায়। কারণ তারা জানে, কিভাবে নতুন কিছু শিখে নিতে হয়।



দক্ষতা নাম্বার # ৭

চাপের মুখে কাজ করার দক্ষতা


চাকরি জীবনে আপনাকে প্রায়ই এমন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হবে, যেখানে আপনাকে চাপের মুখে কাজ করতে হবে। এটা মোটেই সহজ কোন বিষয় নয়।


তাই এই দক্ষতাটি অর্জনে বিশেষ মনোযোগী হন। চাপের মুখে সব কাজ ভালভাবে সামাল দিতে পারলে আপনার পারফরম্যান্স তর তর করে বেড়ে যাবে। আর কর্মী হিসেবে যার পারফরম্যান্স ভাল, চাকরি করে সেই তো আসল মজা পায়!



দক্ষতা নাম্বার # ৮

কনফিডেন্স এবং সেলফ ম্যানেজমেন্ট


আট নাম্বার দক্ষতা হিসেবে আপনার লাগবে নিজের ওপর প্রয়োজনীয় আত্নবিশ্বাস এবং নিজেকে নিজে গুছিয়ে রাখার ক্ষমতা।


অতি  আত্মবিশ্বাস ভাল নয়। আবার একেবারে না থাক কোন কাজের কথা নয়।


তাই আপনার মধ্যে অবশ্যই প্রয়োজনীয় আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে যে আপনি পারবেন। আপনার দ্বারা হবে।


এর সাথে নিজেকে গুছিয়ে রাখার দক্ষতাও আপনার থাকতে হবে। যেমন আপনার  হাতে যখন অনেক কাজ জমে যাবে, তখন আপনার নিজেকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, কোন কাজ গুলো বেশি জরুরী বা গুরুত্বপূর্ণ , সেগুলো বাছাই করে আগে করে ফেলা। নিজের কাজ গুলকে গুছিয়ে নেয়া আর নিজের কাজের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা।



দক্ষতা নাম্বার # ৯

নেগোশিয়েশন স্কিল বা আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার দক্ষতা


চাকরি করতে হলে, আপনাকে বিভিন্ন সময় নানা ধরনের আলচনায় যোগ দিতে হবে। সেটা ইন্টারনাল হোক বা এক্সটারনাল হোক। আপনাকে কিন্তু ভালভাবে আলোচনা চালিয়ে নেয়ার দক্ষতা দেখাতে হবে।


চাকরি জীবনে আপনি যদি নেগোশিয়েশন করতে না পারেন তাহলে আপনি আপনার ক্যারিয়ার খুব বেশি দুর এগিয়ে নিতে পারবেন না। তাই এই দক্ষতাটি ভালভাবে রপ্ত করুন।



দক্ষতা নাম্বার # ১০

সোশ্যাল মিডিয়া বা সামজিক মাধ্যম ব্যবহারের দক্ষতা


আমার লিস্টের সর্বশেষ দক্ষতাটি হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক মাধ্যম গুলো সঠিকভাবে ব্যবহারের দক্ষতা। আধুনিক এই যুগে আপনি যদি কোন চাকরি করতে চান, তাহলে এই দক্ষতাটি আপনার থাকতেই হবে।

List of Necessary Skills for Job
আপনি হয়ত ভাবছেন, এটা আর এমন কি? কিন্তু সঠিকভাবে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করতে পারাটা এ যুগে একটি অতিপ্রয়োজনীয় দক্ষতা হিসেবে দেখা হয়।


তাই কিভাবে শিষ্টাচার বজায় রেখে সামজিক মাধ্যম চালাতে হয় সেটা জানা জরুরী।


একজন সাধারন ছাত্র হিসেবে আপনি যেভাবে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করেন, কোন একটি অফিসের দায়িত্বশীল পদে বসে আপনি সেভাবে আর ব্যবহার করতে পারবেন না। আপনাকে তখন নানা রকম শিষ্টাচার মেনে চলতে হবে। তাই সামজিক মাধ্যমের শিষ্টাচার গুলো জানার এবং শেখার চেষ্টা করুন।


আজ এ পর্যন্তই। চাকরি পাওয়ার জন্য আরও কোন দক্ষতার কথা যদি আপনার জানা থাকে তাহলে সেটি আমাদের কমেন্ট করে জানান।


আর পুরো বিষয়টি সহজে বুঝতে নিচের ভিডিওটি দেখে নিতে পারেন।




বি.দ্রঃ এ ধরনের তথ্যগুলি সময়ে সময়ে পরিবর্তন হয়ে থাকে। তাই বর্তমান সময়ের একচুয়াল তথ্যের সাথে পোস্টের তথ্যের পার্থক্য থাকতে পারে। ডিসক্লেইমার জানতে এবং পোস্ট ব্যবহারের আগে শর্তাবলী দেখে নিন।

মন্তব্যসমূহ

  1. মাশাল্লাহ সুন্দর হলো উপদেশ মূল কথা

    উত্তরমুছুন
  2. ভালো পরামর্শ দিয়েছেন ভাই।ধন্যবাদ

    উত্তরমুছুন
  3. গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো দারুনভাবে তুলে ধরার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মতামত জানান।

জনপ্রিয় পোস্টগুলি

Provident Fund এবং Gratuity আসলে কি? কিভাবে প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্রাচ্যুইটির হিসাব করা হয়?

চাকরিতে বেতনের বাইরে আরও যেসব আর্থিক সুবিধাদি থাকে, তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে প্রভিডেন্ট ফান্ড ( Provident Fund ) এবং গ্রাচ্যুইটি ( Gratuity )। কিন্তু এসব বিষয়ে অনেকেরই তেমন কোন সুস্পষ্ট ধারনা নেই। অনেকেই জানেন না, প্রভিডেন্ট ফান্ড (PF) এবং গ্রাচ্যুইটি (Gratuity) আসলে কি? এগুলো কিভাবে কাজ করে আর এখান থেকে কি ধরেনর সুবিধা পাওয়া যায়? প্রত্যেক চাকরিজীবীর জানা থাকা দরকার যে, কিভাবে প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্রাচ্যুইটির হিসাব করা হয়? কিন্তু বাস্তবতা হল, নিজ চাকরিতে এসব সুবিধা থাকার পরও অনেকই বিষয়গুলো ভাল করে বোঝেন না। অথচ একজন স্মার্ট ক্যারিয়ারিস্ট হিসেবে প্রত্যেকের উচিৎ চাকরি সংশ্লিষ্ট প্রতিটি সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে ভাল করে জানা। আবার যারা চাকরিপ্রার্থী, তারাও এই বিষয় গুলো তেমন একটা বোঝে না। বিভিন্ন চাকরির বিজ্ঞাপনে প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্রাচ্যুইটি সুবিধার কথা লেখা দেখে অনেকেই কিছু না বুঝেই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে, যা অনেক সময়ই তাদের প্রত্যাশার সাথে মেলে না। যেহেতু প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্রাচ্যুটি হচ্ছে বেতনের বাইরে প্রাপ্ত আর্থিক সুবিধা, তাই এগুলো সম্পর্কে ভাল করে জানাটা জরুরী। তাই এসব বিষয় নিয়েই

শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ শুরুর প্রথম পাঠ

কিভাবে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে ব্যবসা করতে হয়, সেটা অনেকেরই অজানা। বিশেষ করে নতুনদের জন্য শেয়ার বাজারে আগমনের পথটা সব সময়ই কঠিন। কেননা, শেয়ার বাজারে শুরুটা ঠিক কিভাবে করতে হয়, সে সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সবসময়ই অপ্রতুল।  শেয়ার বাজার বা স্টক মার্কেট সবসময়ই একটি উচ্চ ঝুঁকপূর্ণ জটিল জায়গা। তাই এখানে আসার আগে প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু পড়াশুনা করে নূন্যতম জ্ঞান নিয়ে আসা উচিত। তা না হলে, শেয়ার বাজারে এসে টাকা খোয়ানো কেউ ঠেকাতে পারবে না!  তবে শুরুতেই ভয় পাওয়ার কিছু নেই! কেননা বিখ্যাত বিনিয়গকারী পিটার লিঞ্চ যেমনটা বলেছেন, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের জন্য পৃথিবীর সব মানুষেরই যথেষ্ট বুদ্ধি-বিবেচনা বোধ রয়েছে। ক্লাস ফাইভের অংক করতে জানেন, এমন লোকও শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করার জন্য উপযুক্ত। তবে কথা আছে। শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের জন্য একজন বিনিয়োগকারীর অবশ্যই যথেষ্ট ধৈর্য, প্রচেষ্টা এবং পর্যাপ্ত সময় ব্যয় করার ইচ্ছা থকতে হবে। আর তাহলেই কেবল একজন বিনিয়গকারী সফল হওয়ার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবে।  তাই আজকের এই লেখায়, আমি শেয়ার  বাজারে বিনিয়োগ শুরু করার বেসিক ধাপ গুলো নিয়ে আলোচনা করব। এই বিষয় গুলো জানাটা সব বিনিয়ো

মাত্র ২ টাকা দিয়ে শুরু করে এক বছরেই লাখ টাকা জমানোর ক্রেইজি উপায়

টাকা জমানো মোটেই সহজ কোন কাজ নয়। অনেকেই নানাভাবে চেষ্টা করেও টাকা জমাতে পারে না। তাই টাকা জমানোর এই কঠিন  কাজটিকে সহজ করতে পৃথিবীতে আবিষ্কৃত হয়েছে নানা তত্ত্ব এবং উপায়। সেখান থেকেই আজ আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব এমন  একটি উপায়, যেটা দিয়ে টাকা জমানোর কাজটা হয়ে যাবে অনেক সহজ, আর এটার শুরুটা করা যাবে মাত্র ২ টাকা দিয়ে। তবে এই পদ্ধতিটির আবিষ্কারক কে, সেটা আমার সঠিকভাবে জানা নেই, তাই কারও নাম উল্লেখ করতে পারলাম না। তবে আপনাদের কারও যদি জানা থাকে, তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। চলুন তাহলে আলোচনা শুরু করি। মাত্র ২ টাকা দিয়ে জমানো শুরু করে কিভাবে ১ বছরেই লাখপতি হওয়া যায়?  মাত্র ২ টাকা দিয়ে জমানো শুরু করে ১ বছরে লাখপতি হওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমে যে কাজটি করতে হবে, সেটি হল, আপনাকে আগে একটা নির্দিষ্ট তারিখ বেছে নিতে হবে, যেদিন থেকে আপনার একবছর গণনা শুরু হবে। বছরের যে কোন দিন থেকে আপনি শুরু করতে পারেন, তবে সেখান থেকে একটানা ৩৬৫ দিনের হিসাব আপনাকে ঠিক ভাবে রাখতে হবে। দ্বিতীয়ত, এ পদ্ধতির সফলতার জন্য আপনার একাগ্রতা এং নিষ্ঠার দরকার হবে। মাঝপথে ছেড়ে যাওয়া যাবে না। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ঠিক ভাবে লেগে থ

আয় যেমনই হোক, সঞ্চয় বাড়ানোর সেরা জাপানি কৌশলে টাকা জমবে সহজে

সবাই টাকা জমাতে চায়, তবে বাস্তবতা হল, সবার টাকা জমানোর ক্ষমতা কিন্তু সমান নয়। বেশি আয় করলেই যে বেশি সঞ্চয় করতে পারবেন, বিষয়টা মোটেই তেমন নয়। সেকারণে দেখা যায়, অনেকেই অল্প আয় করেও অনেক টাকা জমিয়ে ফেলে, আবার অনেকে প্রচুর আয় করেও এক পয়সাও জমাতে পারে না!  তাই সঞ্চয়ের জন্য সবার আগে জানতে হবে, আপনার আসলে টাকা জমানোর প্রকৃত ক্ষমতা কতটুকু? আর এটা জানার জন্য আমরা ব্যবহার করব শতাধিক বছরের পুরনো জাপানি পদ্ধতি, যার নাম 'কাকিবো' (জাপানি ভাষার উচ্চারণ ভিন্ন হতে পারে) । এই জাপানি পদ্ধতিতে আপনি মাত্র ৪টি সহজ প্রশ্নের উত্তর দিয়েই যাচাই করতে পারবেন, আপনার আসলে সঞ্চয়ের ক্ষমতা কতটুকু। শুধু তাই নয়, কাকিবো  আপনার সঞ্চয়রে সামর্থ্য কিভাবে বাড়িয়ে তোলা যায়, সে পদ্ধতিও বাতলে দিবে।   কাকিবো পদ্ধতির জন্ম  ১৯০৪ সালে, জাপানে। পারসোনাল ফিন্যান্স বা ব্যক্তিগত বাজেট ম্যানেজম্যান্টের জন্য এইপদ্ধতিটি আবিষ্কার করেন, জাপানি নারী সাংবাদিক হানি মটোকো।   অনেকেই কাকিবোকে টাকা জমানোর একটি উপায় বলে মনে করেন, যা আসলে সঠিক নয়। সত্য কথা হল, কাকিবো আসলে টাকা জমানোর কোন পদ্ধতি নয়, এটা হল, আপনার টাকা জমানোর প্রকৃত ক্ষমতা বের

শেয়ার ব্যবসায় মুনাফা করার অব্যর্থ টেকনিক

শেয়ার বাজার বা Stock Market - এ বিনিয়োগ করে ধরা খেতে না চাইলে আপনাকে অবশ্যই কিছু বেসিক নিয়ম মেনে বিনিয়োগ করতে হবে। কেননা, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে যারা ধরা খেয়েছেন, তাদের একটা বড় অংশ এই মার্কেটে বিনিয়োগের বেসিক নিয়ম গুলো জেনেই বিনিয়োগ করে ফেলেছিলেন। শেয়ার বাজার একটি উচ্চ ঝুকি পূর্ণ স্পর্শকাতর জায়গা। তাই এখানে বিনিয়োগ করতে হয় বুঝে শুনে, গুজবের উপর ভিত্তি করে নয়। শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের কিছু বেসিক নিয়ম আছে, যেগুলো বেশিরভাগ বিনিয়োগকারীই জানেন না অথবা বিনিয়োগের সময় সেগুলো প্রয়োগ করেন না। এরফলে তাদের বিনিয়োগ থেকে যায় ঝুঁকিপূর্ণ এবং বাজারের সামান্য উত্থান-পতনেই তাদের বিনিয়োগ নেমে আসে শুন্যের কোটায়। তাই শেয়ার বাজারে ভাল কোম্পানিতে দীর্ঘ মেয়াদে নিরাপদ এবং টেকসই বিনিয়োগ করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই বেশ কিছু বেসিক বিষয় মাথায় রাখতে হবে। কিন্তু কি সেই বিষয় গুলো? - এই নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে এই পোস্টে।  আজকের এই লেখায় আমি আপনাদের জানাব, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের এমন ৫ টি অব্যর্থ টেকনিক, যেগুলো না জেনে বিনিয়োগ করা কখনই উচিৎ হবে না। আর এই টেকনিক গুলো সার্বজনীন, অর্থাৎ এগুলো যেকোন দেশের যে

ক্রেডিট কার্ডের সুদ হিসাবের ভয়ঙ্কর পদ্ধতি এবং চক্রবৃদ্ধির সুদের ফাঁদ থেকে বাঁচার উপায়

আপনি মানেন আর না মানেন, এটা সত্যি যে, ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড (Credit Card) অনেকের জীবনেই ধ্বংস ডেকে এনেছে। ক্রেডিট কার্ডের উচ্চ সুদের ভয়ঙ্কর ঋণের ফাঁদে পড়ে অনেকের জীবনেরই আজ ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। এর অন্যতম একটি কারণ, ক্রেডিট কার্ডের সুদ হিসাবের ভয়ঙ্কর পদ্ধতি। অনেকেই জানেন না, ব্যাংক গুলোতে ঠিক কি পদ্ধতিতে ক্রেডিট কার্ডের সুদ হিসাব করা হয়? আবার ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা ও অসুবিধা গুলো আসলে কি, সেটাও অনেকে জানে না। অথচ একটু বুদ্ধি খাটিয়ে স্মার্টলি ব্যবহার করতে পারলেই কিন্তু Credit Card থেকে অনেক সুবিধা নেয়া যায়।  যাইহোক, ক্রেডিট কার্ড আসলে কি এবং Credit Card ব্যবহার করতে গিয়ে কেন এবং কিভাবে মানুষ চক্রবৃদ্ধি হারে সুদের গ্যাড়াকলে আষ্টেপৃষ্ঠে আটকে পড়ে, সেইসব রহস্যই ভেদ করার চেষ্টা করেছি আজকের এই পোস্টে।  Credit Card স্মার্টলি ব্যবহার করার জন্য এর সাথে সম্পর্কিত সকল তথ্য সঠিক ভাবে জানা প্রয়োজন। বিশেষ করে বিভিন্ন Bank- এর ক্রেডিট কার্ডের সুদের হার এবং নানা ধরনের চার্জ গুলো সম্পর্কে না জানলে বিপদে পড়ার সম্ভাবনা প্রায় শতভাগ। কেননা এই তথ্যগুলো না জানা কিংবা গুরুত্ব না দেয়ার কারণেই ক্রেডিট কার্ড মান

আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের মাধ্যমে সমাজে নিজের গুরুত্ব বাড়িয়ে তোলার উপায়

শুধুমাত্র বিপুল টাকা-পয়সা কিংবা সম্পদের পাহাড়ের মালিক হলেই কেউ অন্যের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে না। নিজেকে অন্যদের কাছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ করে তলার জন্য ব্যক্তির মধ্যে বিশেষ কিছু গুণ বা বৈশিষ্ট্য থাকতে হয়। এসব গুণ বা বৈশিষ্ট্য অর্জন করতে পারলেই কেবল আপনি নিজেকে অন্যের কাছে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে পারবেন।  জীবনে সফল হতে হলে, অবশ্যই নিজের গুরুত্ব বাড়াতে হবে এবং অন্যদের মাঝে নিজেকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে জায়গা করে নিতে হবে। আজকের পৃথিবীর সফল ব্যক্তি যারা, তারাও সফল হওয়ার অনেক আগে থেকেই নিজেদেরকে সমাজের কাছে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছেন, যা তাদেরকে আজকের এই পর্যায়ে আসতে সাহায্য করেছে।  জীবনে সফল হওয়ার জন্য কেউ যখন কাজ করতে থাকে, ঠিক তখন থেকেই তাকে নিজের গুরুত্ব বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হয়। তা না হলে পরবর্তীতে, নিজেকে সামজের অন্যদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলাটা অনেক কঠিন হয়ে যায়। তাই নিজেকে সবার মাঝে ধনী তথা সফল ব্যক্তিদের মত গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে চাইলে, এখন থেকেই আপনাকে কাজ শুরু করে দিতে হবে। কিন্তু কিভাবে নিজের মধ্যে ধনীদের মত আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব গড়ে তুলে নিজেকে সবার মাঝে গুরুত্বপূর্ণ করে

এ যুগের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যেভাবে কর্মীদের বেতন নির্ধারণ করে

আপনি কি জানেন, বেসরকারি চাকরিতে কিভাবে আপনার বেতন নির্ধারণ করা হয়?  নিয়োগকর্তা বা কোম্পানিগুলো ঠিক কি পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত নেয়, আপনার বেতন কত হবে? কেন একই যোগ্যতা থাকার পরও ভিন্ন ভিন্ন কোম্পানি ভিন্ন ভিন্ন অংকের বেতন দেয়? কিভাবে আপনার চেয়ে ১০ বছরের ছোট ছেলেটা আপনার চেয়ে বেশি বেতনে জয়েন করল? বেতনের ক্ষেত্রে সিনিয়রিটি নাকি দক্ষতা, কোনটিকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়? এসব প্রশ্নের  উত্তর নিয়েই আজকের এই পোস্ট।  আজকে এখানে আমি ব্যাখ্যা করেছি বেতন নির্ধারণের মূল ৫ টি ফ্যাক্টর, যেগুলো বেতন নির্ধারণের ক্ষেত্রে সারাবিশ্বেই সাধারনভাবে চর্চা করা হয়। কোন একটি কোম্পানিতে কার বেতন কত হবে, সেটা আসলে নির্ভর করে অনেকগুলো ফ্যাক্টরের ওপর।  আর নিয়োগকারী কোম্পানি কোন ফ্যাক্টরকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে সেটাও আপনার বেতনের অংকে প্রভাব ফেলতে পারে। যেকারনে একই সমান অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকার পরও দুটি ভিন্ন কোম্পানিতে দু’জনের আলাদা অংকের বেতন হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। তবে একটি আদর্শ কোম্পানিতে সাধারণত কিভাবে কোন এমপ্লোয়ির বেতন নির্ধারণ করা হয়, সেটা জানা থাকলে ব্যাপারটা বুঝতে সবার সুবিধা হবে। আসুন দেখা যাক কিভাবে সেটা

বাংলাদেশে স্বর্ণে বিনিয়োগ আসলে কতটা লাভজনক?

বাংলাদেশে সোনা বা স্বর্ণে বিনিয়োগ করা সত্যিকার অর্থেই আসলে কতটা লাভজনক এবং এদেশে  স্বর্ণ কিনে রেখে দিলে আপনার ভবিষ্যৎ কি  সেটা জানার জন্য সম্প্রতি আমি বেশকিছু খোঁজ-খবর করি এই ব্যাপারে।  এটা করতে গিয়ে দেখলাম, এই বিষয়টাতে বাংলাদেশে অনেক হিডেন ব্যাপার-স্যাপার আছে, যা সবার পক্ষে সাধারণভাবে জানা কখনই সম্ভব নয়।  এমনকি সোনা বা স্বর্ণ কিনতে গেলেও দোকানদাররা আপনাকে এসব কথা জানাবে না, কিন্তু যখনই বেচতে যাবেন, তখনই বুঝবেন স্বর্ণে বিনিয়োগ করাটা আপনার কতটা সঠিক কিংবা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল।  তাই  স্বর্ণ কিনে রেখে দিলে বাংলাদেশে আপনার ভবিষ্যৎ কি - সে বিষয়টি নিয়েই আজকে আলোচনা করব। তবে বিষয়টি ভালভাবে বোঝার জন্য, বাংলাদেশের বিষয়াদি আলাপের আগে, আসুন জেনে নেই, স্বর্ণে বিনিয়োগের কিছু বেসিক বিষয় এবং আন্তর্জাতিক মার্কেটে স্বর্ণে বিনিয়োগ করার পুরো চক্রটা ঠিক  কিভাবে  কাজ করে, সে সম্পর্কে।  কেন স্বর্ণে বিনিয়োগ করা হয়?  ডলার হোক কিংবা টাকা , যেকোন মুদ্রার মান বা ভ্যালু যখন কমতে থাকে , তখন সারা বিশ্বেই মানুষজন বিকল্প এসেট ক্লাস হিসেবে সোনা বা স্বর্ণের মত দামী ধাতুতে বিনিয়োগ করে। বিনিয়োগের জন্য দামী এবং প্রয়োজনীয় ধ