সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

শেয়ার ব্যবসায় মুনাফা করার অব্যর্থ টেকনিক

How to make profit in stock trading?
শেয়ার বাজার বা Stock Market - এ বিনিয়োগ করে ধরা খেতে না চাইলে আপনাকে অবশ্যই কিছু বেসিক নিয়ম মেনে বিনিয়োগ করতে হবে।


কেননা, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে যারা ধরা খেয়েছেন, তাদের একটা বড় অংশ এই মার্কেটে বিনিয়োগের বেসিক নিয়ম গুলো জেনেই বিনিয়োগ করে ফেলেছিলেন। শেয়ার বাজার একটি উচ্চ ঝুকি পূর্ণ স্পর্শকাতর জায়গা। তাই এখানে বিনিয়োগ করতে হয় বুঝে শুনে, গুজবের উপর ভিত্তি করে নয়।


শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের কিছু বেসিক নিয়ম আছে, যেগুলো বেশিরভাগ বিনিয়োগকারীই জানেন না অথবা বিনিয়োগের সময় সেগুলো প্রয়োগ করেন না।


এরফলে তাদের বিনিয়োগ থেকে যায় ঝুঁকিপূর্ণ এবং বাজারের সামান্য উত্থান-পতনেই তাদের বিনিয়োগ নেমে আসে শুন্যের কোটায়।


তাই শেয়ার বাজারে ভাল কোম্পানিতে দীর্ঘ মেয়াদে নিরাপদ এবং টেকসই বিনিয়োগ করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই বেশ কিছু বেসিক বিষয় মাথায় রাখতে হবে।


কিন্তু কি সেই বিষয় গুলো? - এই নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে এই পোস্টে। 


আজকের এই লেখায় আমি আপনাদের জানাব, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের এমন ৫ টি অব্যর্থ টেকনিক, যেগুলো না জেনে বিনিয়োগ করা কখনই উচিৎ হবে না।


আর এই টেকনিক গুলো সার্বজনীন, অর্থাৎ এগুলো যেকোন দেশের যেকোন শেয়ার মার্কেটের জন্যই প্রযোজ্য।


তাই যদি আপনি শেয়ারবাজারে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের কথা ভেবে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই বিষয়গুলোতে নজর দিন।


মূলত শেয়ারবাজারে দীর্ঘমেয়াদি লাভজনক বিনিয়োগ করতে চাইলে আপনাকে এমন কোম্পানি বাছাই করতে হবে, যা আপনাকে যৌক্তিক রিটার্ন দেবে। এ জন্য বিনিয়োগের আগে কোম্পানি বাছাইয়ে আপনাকে কিছু বিষয় ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করে নিতে হবে। 


আসুন জেনে নেই এমন ৫ টি অব্যর্থ টেকনিক যা শেয়ার বাজারে আপনার বিনিয়গকে শক্তিশালী করবে।



টেকনিক # ১

কোম্পানির ইপিএসের (EPS) প্রবৃদ্ধি 


শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের জন্য আপনি যখন কোন কোম্পানি বাছাই করবেন, তখন প্রথমেই দেখতে হবে সেই কোম্পানির ইপিএসের (EPS) তথ্য। ইপিএস মানে হচ্ছে আরনিং পার শেয়ার (Earning per Share) বা শেয়ার প্রতি আয়।


ইপিএসের মাধ্যমে কোম্পানির কার্যক্রম সম্পর্কে একজন বিনিয়োগকারী সম্যক ধারণা পায়। তাই শেয়ারবাজারের কোনো কোম্পানির মুনাফা বোঝার জন্য শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস (EPS) একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক। 


তাই কোনো কোম্পানিতে বিনিয়োগের আগে ওই কোম্পানির বিগত পাঁচ বছরের ইপিএস পর্যালোচনা করুন। তাতে ইপিএসের ধারাবাহিক ঊর্ধ্বগতি রয়েছে কি না, সেটা ঠিকমত যাচাই করুন ।


আপনি যে  স্টক এক্সচেঞ্জে বিনিয়োগ করতে চান, সাধারণত সেখানকার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সহজেই যেকোনো কোম্পানির ইপিএসের তথ্য পাওয়া যায়। তাই বিনিয়োগের আগেই সেই সমস্ত তথ্য যাচাই-বাছাই করুন। 


মনে রাখবেন, ইপিএস (EPS) যত বেশি হবে, ততই ভাল।



টেকনিক # ২

আরওআই (ROI) বা মূলধনের বিপরীতে আয়


শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের জন্য দ্বিতীয় যে বিষয়টি আপনার পর্যালোচনা করতে হবে সেটি হচ্ছে ঐ কোম্পানির আরওআই (ROI)।


আরওআই (ROI) মানে হচ্ছে রিটার্ন অন ইক্যুইটি (Return on Equity) বা মূলধনের বিপরীতে আয় । 


কোনো কোম্পানিতে শেয়ারহোল্ডারদের বিনিয়োগ করা অর্থের বিপরীতে কোম্পানিটি কি পরিমাণ নিট মুনাফা করছে, তা জানা অত্যন্ত জরুরি। আর সেটি বোঝা যায় কোম্পানির রিটার্ন অন ইক্যুইটি (আরওই) বা মূলধনের বিপরীতে আয় থেকে।


শেয়ারহোল্ডারদের টাকা একটি কোম্পানি কতটা দক্ষতার সঙ্গে ব্যবহার করছে, তার বহিঃপ্রকাশ ঘটে আরওইতে। কোনো কোম্পানির ইক্যুইটিতে বিনিয়োগের আগে ওই কোম্পানির আরওই ভালোভাবে পর্যালোচনা করা উচিত। 


সাধারণ নিয়ম হলো, কোম্পানির আরওই (ROI) অবশ্যই মূলধনের চেয়ে বেশি হতে হবে। আর বিনিয়োগকারীরা কোনো কোম্পানির ইক্যুইটি বিনিয়োগ করলে তার বিপরীতে বছর শেষে ন্যূনতম ১৪ থেকে ১৬ শতাংশ রিটার্ন বা মুনাফা না পেলে ওই বিনিয়োগ লাভজনক হয় না। তাই মূলধনের তুলনায় কোনো কোম্পানির আরওই (ROI) যদি ১৮ শতাংশ বা তার বেশি হয়, তাহলে বুঝতে হবে কোম্পানিটির ব্যবসা ভালো চলছে।


আর দীর্ঘ সময় ধরে একটি কোম্পানির আরওই (ROI) বেশি হওয়া মানে, ঐ কোম্পানির বাজার প্রতিযোগিতায় ভালোভাবে টিকে থাকার কিছু বাড়তি সুবিধা রয়েছে, অন্যান্য প্রতিযোগীর তুলনায় ওই কোম্পানিকে এগিয়ে রেখেছে। 


কোন কোম্পানির আরওআই (ROI) বিষয়ক তথ্য জানতে আপানাকে সেই কোম্পানির বার্ষিক প্রতিবেদন দেখতে হবে। কেননা এই প্রতিবেদনেই এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়।



টেকনিক # ৩

বেশি মূলধন, কম ঋণ


শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের তৃতীয়  টেকনিকটি হচ্ছে এমন কোম্পানি খুঁজে বের করা, যার মূলধনের চেয়ে ঋণের পরিমাণ কম। অর্থাৎ মুলধন বেশি, কিন্তু ঋণ কম। 


মূলধনের বিপরীতে ঋণ কম এমন কোম্পানিতে বিনিয়োগ করাই নিরাপদ। কোনো কোম্পানির ঋণ যদি মূলধনের ১ শতাংশের মধ্যে থাকে, তবে সেটা গ্রহণযোগ্য। কিন্তু মূলধনের দেড় শতাংশের বেশি ঋণ আছে এমন কোম্পানিতে বিনিয়োগ না করাই ভালো।


মনে রাখতে হবে, যেসব ব্যবসায় প্রতিযোগিতা বেশি এবং মুনাফার হার কম, সেসব ব্যবসার ক্ষেত্রে বিপুল ঋণ কোম্পানির জন্য মারাত্মক ঝুঁকির কারণ। কেননা , ঋণের সুদ কোম্পানির মুনাফা কমিয়ে দেয় এমনকি কোম্পানিকে লোকসানি প্রতিষ্ঠানও বানিয়ে ফেলতে পারে।



টেকনিক # ৪

উদ্যোক্তার ব্যবসায়িক খ্যাতি বা সুনাম


বিনিয়োগের ৪ নাম্বার টেকনিকটি হচ্ছে উদ্যোক্তা বা মালিকদের ব্যবসার খ্যাতি বা সুনাম সম্পর্কে ধারনা রাখা। 


কেননা বিনিয়োগের জন্য এটা জানা খুব জরুরি যে, কে বা কারা কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠা করেছেন। প্রতিষ্ঠাতাদের হাতে কোম্পানির কী পরিমাণ শেয়ার বা অংশীদারত্ব রয়েছে এবং পরিচালনা পর্ষদ কাদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে।


সমাজে ও ব্যবসায়িকভাবে কোম্পানির উদ্যোক্তাদের সুনাম কেমন, সেটি বিবেচনায় নেওয়া খুবই জরুরি। 


ব্যবসায়ী হিসেবে যাঁদের যথেষ্ট সুনাম আছে, ভালোভাবে ব্যবসা ও কোম্পানি পরিচালনার ইতিহাস রয়েছে এবং যেসব কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন যথেষ্ট স্বচ্ছ এবং সংখ্যালঘু শেয়ারহোল্ডারের প্রতি যাঁদের সম্মান ও দায়বদ্ধতা রয়েছে, সেসব উদ্যোক্তার কোম্পানিতে বিনিয়োগ অনেক নিরাপদ।



টেকনিক # ৫

কম পি.ই (PE) রেশিও দেখে শেয়ার কেনার সময়ই লাভ করা


শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের সর্বশেষ টেকনিকটি হচ্ছে , শেয়ার কেনার সময়ই লাভ করা, বিক্রির সময়ের অপেক্ষা না করা। অর্থাৎ একজন বিনিয়োগকারীকে এটা নিশ্চিত হতে হবে যে,  ভালো শেয়ার তিনি বেশি দামে কিনছেন না।


5 unbeatable techniques for making profit in stocks trading
শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মূল্য আয় অনুপাত বা পি.ই (PE) রেশিও একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক।


শেয়ারের বাজারমূল্যকে ইপিএস (EPS) দিয়ে ভাগ করে এই পি.ই (PE) রেশিও বের করা হয়।


ধরা যাক, কোনো কোম্পানির পিই রেশিও ১২। তার মানে হলো, ওই কোম্পানির বর্তমান ইপিএসের ধারা অব্যাহত থাকলে একজন বিনিয়োগকারী ১২ বছরে তার বিনিয়োগ করা অর্থ ফেরত পাবেন।


সাধারণভাবে বলা যেতে পারে, যেসব কোম্পানির পিই রেশিও ২৫-এর বেশি, সেসব কোম্পানিতে বিনিয়োগ না করাই ভালো।


আজ এ পর্যন্তই। তবে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করা নিয়ে আপনার যদি আরও কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা থাকে তাহলে তা আমাদের কমেন্ট করে জানান।


আর এই বিষয়টি আরও ভালভাবে বুঝতে নিচের ভিডিওটি দেখে নিতে পারেন।



বি.দ্রঃ এ ধরনের তথ্যগুলি সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হতে পারে। তাই পাঠকের পাঠকালীন সময়ের সাথে পোস্টের তথ্যের পার্থক্য থাকতে পারে। ডিসক্লেইমার জানতে এবং পোস্ট ব্যবহারের আগে শর্তাবলী দেখে নিন।

মন্তব্যসমূহ

  1. sonyshoeb6@gmail.com
    আপনার কথা অনেক ভালো লেগেছে।
    আপনার নাম্বার টা যদি দিতেন।
    ০১৭২৯৯১৪১৩৪

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. আপনি এই ব্লগে দেয়া যোগাযোগের ফরমে আমার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন।

      মুছুন
  2. চমৎকার। অতি সহজ সরল ভাবে উউপস্থাপন।

    উত্তরমুছুন
  3. আপনার মতামত গুলো ভালো লাগল

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মতামত জানান।

জনপ্রিয় পোস্টগুলি

Provident Fund এবং Gratuity আসলে কি? কিভাবে প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্রাচ্যুইটির হিসাব করা হয়?

চাকরিতে বেতনের বাইরে আরও যেসব আর্থিক সুবিধাদি থাকে, তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে প্রভিডেন্ট ফান্ড ( Provident Fund ) এবং গ্রাচ্যুইটি ( Gratuity )। কিন্তু এসব বিষয়ে অনেকেরই তেমন কোন সুস্পষ্ট ধারনা নেই। অনেকেই জানেন না, প্রভিডেন্ট ফান্ড (PF) এবং গ্রাচ্যুইটি (Gratuity) আসলে কি? এগুলো কিভাবে কাজ করে আর এখান থেকে কি ধরেনর সুবিধা পাওয়া যায়? প্রত্যেক চাকরিজীবীর জানা থাকা দরকার যে, কিভাবে প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্রাচ্যুইটির হিসাব করা হয়? কিন্তু বাস্তবতা হল, নিজ চাকরিতে এসব সুবিধা থাকার পরও অনেকই বিষয়গুলো ভাল করে বোঝেন না। অথচ একজন স্মার্ট ক্যারিয়ারিস্ট হিসেবে প্রত্যেকের উচিৎ চাকরি সংশ্লিষ্ট প্রতিটি সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে ভাল করে জানা। আবার যারা চাকরিপ্রার্থী, তারাও এই বিষয় গুলো তেমন একটা বোঝে না। বিভিন্ন চাকরির বিজ্ঞাপনে প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্রাচ্যুইটি সুবিধার কথা লেখা দেখে অনেকেই কিছু না বুঝেই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে, যা অনেক সময়ই তাদের প্রত্যাশার সাথে মেলে না। যেহেতু প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্রাচ্যুটি হচ্ছে বেতনের বাইরে প্রাপ্ত আর্থিক সুবিধা, তাই এগুলো সম্পর্কে ভাল করে জানাটা জরুরী। তাই এসব বিষয় নিয়েই

যে ১০টি দক্ষতা থাকলে চাকরি পেতে কারও রেফারেন্স লাগে না

বলুন দেখি, চাকরি পেতে কোন জিনিসটি আপনার অবশ্যই থাকতে হবে? টাকা-পয়সা, মামা-চাচা-খালু, নাকি বড় বড় চটকদার ডিগ্রি?  সত্য বলতে আসলে এসব কিছুই না! যে কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েই আপনি মানানসই একটি ভাল চাকরি অনায়াসেই পেতে পারেন, যদি আপনার মধ্যে একটি মাত্র জিনিস থাকে! আর সেই জিনিসটির নাম হচ্ছে দক্ষতা বা স্কিল। এ যুগে চাকরি পেতে হলে একজন প্রার্থীর মধ্যে বেশকিছু দক্ষতা বা Skill অবশ্যই থাকতে হবে। হ্যা, মামা-চাচা-খালু কিংবা ঘুষ দেয়ার জন্য টাকা-পয়সা নয়, এই দক্ষতাই হচ্ছে এযুগে চাকরি পাওয়ার একমাত্র যোগ্যতা। আপনার মধ্যে যদি উপযুক্ত দক্ষতা থাকে, তাহলে চাকরি নিজেই আপনাকে খুঁজে নেবে। আপনাকে আর চাকরির পিছনে দৌড়াতে হবে না। কিন্তু আপনার মধ্যে যদি সময়ের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষতা না থাকে তাহলে, আপনি যতই জুতা ক্ষয় করেন না কেন, সহজে চাকরি পাবেন না। তাই সময়ের চাহিদা অনুযায়ী উপযুক্ত দক্ষতা বা Skill অর্জনের দিকে মনোযোগ দিন।  আর এজন্য ঠিক কি কি দক্ষতা এই যুগের চাকরির জন্য প্রয়োজন, সেটি জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, কিভাবে চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে এবং কিভাবে ভাল একটি চাকরি পাওয়া যায়, সে সম্পর্কে শুরু থেকেই আপনার পর

শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ শুরুর প্রথম পাঠ

কিভাবে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে ব্যবসা করতে হয়, সেটা অনেকেরই অজানা। বিশেষ করে নতুনদের জন্য শেয়ার বাজারে আগমনের পথটা সব সময়ই কঠিন। কেননা, শেয়ার বাজারে শুরুটা ঠিক কিভাবে করতে হয়, সে সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সবসময়ই অপ্রতুল।  শেয়ার বাজার বা স্টক মার্কেট সবসময়ই একটি উচ্চ ঝুঁকপূর্ণ জটিল জায়গা। তাই এখানে আসার আগে প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু পড়াশুনা করে নূন্যতম জ্ঞান নিয়ে আসা উচিত। তা না হলে, শেয়ার বাজারে এসে টাকা খোয়ানো কেউ ঠেকাতে পারবে না!  তবে শুরুতেই ভয় পাওয়ার কিছু নেই! কেননা বিখ্যাত বিনিয়গকারী পিটার লিঞ্চ যেমনটা বলেছেন, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের জন্য পৃথিবীর সব মানুষেরই যথেষ্ট বুদ্ধি-বিবেচনা বোধ রয়েছে। ক্লাস ফাইভের অংক করতে জানেন, এমন লোকও শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করার জন্য উপযুক্ত। তবে কথা আছে। শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের জন্য একজন বিনিয়োগকারীর অবশ্যই যথেষ্ট ধৈর্য, প্রচেষ্টা এবং পর্যাপ্ত সময় ব্যয় করার ইচ্ছা থকতে হবে। আর তাহলেই কেবল একজন বিনিয়গকারী সফল হওয়ার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবে।  তাই আজকের এই লেখায়, আমি শেয়ার  বাজারে বিনিয়োগ শুরু করার বেসিক ধাপ গুলো নিয়ে আলোচনা করব। এই বিষয় গুলো জানাটা সব বিনিয়ো

মাত্র ২ টাকা দিয়ে শুরু করে এক বছরেই লাখ টাকা জমানোর ক্রেইজি উপায়

টাকা জমানো মোটেই সহজ কোন কাজ নয়। অনেকেই নানাভাবে চেষ্টা করেও টাকা জমাতে পারে না। তাই টাকা জমানোর এই কঠিন  কাজটিকে সহজ করতে পৃথিবীতে আবিষ্কৃত হয়েছে নানা তত্ত্ব এবং উপায়। সেখান থেকেই আজ আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব এমন  একটি উপায়, যেটা দিয়ে টাকা জমানোর কাজটা হয়ে যাবে অনেক সহজ, আর এটার শুরুটা করা যাবে মাত্র ২ টাকা দিয়ে। তবে এই পদ্ধতিটির আবিষ্কারক কে, সেটা আমার সঠিকভাবে জানা নেই, তাই কারও নাম উল্লেখ করতে পারলাম না। তবে আপনাদের কারও যদি জানা থাকে, তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। চলুন তাহলে আলোচনা শুরু করি। মাত্র ২ টাকা দিয়ে জমানো শুরু করে কিভাবে ১ বছরেই লাখপতি হওয়া যায়?  মাত্র ২ টাকা দিয়ে জমানো শুরু করে ১ বছরে লাখপতি হওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমে যে কাজটি করতে হবে, সেটি হল, আপনাকে আগে একটা নির্দিষ্ট তারিখ বেছে নিতে হবে, যেদিন থেকে আপনার একবছর গণনা শুরু হবে। বছরের যে কোন দিন থেকে আপনি শুরু করতে পারেন, তবে সেখান থেকে একটানা ৩৬৫ দিনের হিসাব আপনাকে ঠিক ভাবে রাখতে হবে। দ্বিতীয়ত, এ পদ্ধতির সফলতার জন্য আপনার একাগ্রতা এং নিষ্ঠার দরকার হবে। মাঝপথে ছেড়ে যাওয়া যাবে না। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ঠিক ভাবে লেগে থ

আয় যেমনই হোক, সঞ্চয় বাড়ানোর সেরা জাপানি কৌশলে টাকা জমবে সহজে

সবাই টাকা জমাতে চায়, তবে বাস্তবতা হল, সবার টাকা জমানোর ক্ষমতা কিন্তু সমান নয়। বেশি আয় করলেই যে বেশি সঞ্চয় করতে পারবেন, বিষয়টা মোটেই তেমন নয়। সেকারণে দেখা যায়, অনেকেই অল্প আয় করেও অনেক টাকা জমিয়ে ফেলে, আবার অনেকে প্রচুর আয় করেও এক পয়সাও জমাতে পারে না!  তাই সঞ্চয়ের জন্য সবার আগে জানতে হবে, আপনার আসলে টাকা জমানোর প্রকৃত ক্ষমতা কতটুকু? আর এটা জানার জন্য আমরা ব্যবহার করব শতাধিক বছরের পুরনো জাপানি পদ্ধতি, যার নাম 'কাকিবো' (জাপানি ভাষার উচ্চারণ ভিন্ন হতে পারে) । এই জাপানি পদ্ধতিতে আপনি মাত্র ৪টি সহজ প্রশ্নের উত্তর দিয়েই যাচাই করতে পারবেন, আপনার আসলে সঞ্চয়ের ক্ষমতা কতটুকু। শুধু তাই নয়, কাকিবো  আপনার সঞ্চয়রে সামর্থ্য কিভাবে বাড়িয়ে তোলা যায়, সে পদ্ধতিও বাতলে দিবে।   কাকিবো পদ্ধতির জন্ম  ১৯০৪ সালে, জাপানে। পারসোনাল ফিন্যান্স বা ব্যক্তিগত বাজেট ম্যানেজম্যান্টের জন্য এইপদ্ধতিটি আবিষ্কার করেন, জাপানি নারী সাংবাদিক হানি মটোকো।   অনেকেই কাকিবোকে টাকা জমানোর একটি উপায় বলে মনে করেন, যা আসলে সঠিক নয়। সত্য কথা হল, কাকিবো আসলে টাকা জমানোর কোন পদ্ধতি নয়, এটা হল, আপনার টাকা জমানোর প্রকৃত ক্ষমতা বের

ক্রেডিট কার্ডের সুদ হিসাবের ভয়ঙ্কর পদ্ধতি এবং চক্রবৃদ্ধির সুদের ফাঁদ থেকে বাঁচার উপায়

আপনি মানেন আর না মানেন, এটা সত্যি যে, ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড (Credit Card) অনেকের জীবনেই ধ্বংস ডেকে এনেছে। ক্রেডিট কার্ডের উচ্চ সুদের ভয়ঙ্কর ঋণের ফাঁদে পড়ে অনেকের জীবনেরই আজ ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। এর অন্যতম একটি কারণ, ক্রেডিট কার্ডের সুদ হিসাবের ভয়ঙ্কর পদ্ধতি। অনেকেই জানেন না, ব্যাংক গুলোতে ঠিক কি পদ্ধতিতে ক্রেডিট কার্ডের সুদ হিসাব করা হয়? আবার ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা ও অসুবিধা গুলো আসলে কি, সেটাও অনেকে জানে না। অথচ একটু বুদ্ধি খাটিয়ে স্মার্টলি ব্যবহার করতে পারলেই কিন্তু Credit Card থেকে অনেক সুবিধা নেয়া যায়।  যাইহোক, ক্রেডিট কার্ড আসলে কি এবং Credit Card ব্যবহার করতে গিয়ে কেন এবং কিভাবে মানুষ চক্রবৃদ্ধি হারে সুদের গ্যাড়াকলে আষ্টেপৃষ্ঠে আটকে পড়ে, সেইসব রহস্যই ভেদ করার চেষ্টা করেছি আজকের এই পোস্টে।  Credit Card স্মার্টলি ব্যবহার করার জন্য এর সাথে সম্পর্কিত সকল তথ্য সঠিক ভাবে জানা প্রয়োজন। বিশেষ করে বিভিন্ন Bank- এর ক্রেডিট কার্ডের সুদের হার এবং নানা ধরনের চার্জ গুলো সম্পর্কে না জানলে বিপদে পড়ার সম্ভাবনা প্রায় শতভাগ। কেননা এই তথ্যগুলো না জানা কিংবা গুরুত্ব না দেয়ার কারণেই ক্রেডিট কার্ড মান

আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের মাধ্যমে সমাজে নিজের গুরুত্ব বাড়িয়ে তোলার উপায়

শুধুমাত্র বিপুল টাকা-পয়সা কিংবা সম্পদের পাহাড়ের মালিক হলেই কেউ অন্যের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে না। নিজেকে অন্যদের কাছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ করে তলার জন্য ব্যক্তির মধ্যে বিশেষ কিছু গুণ বা বৈশিষ্ট্য থাকতে হয়। এসব গুণ বা বৈশিষ্ট্য অর্জন করতে পারলেই কেবল আপনি নিজেকে অন্যের কাছে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে পারবেন।  জীবনে সফল হতে হলে, অবশ্যই নিজের গুরুত্ব বাড়াতে হবে এবং অন্যদের মাঝে নিজেকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে জায়গা করে নিতে হবে। আজকের পৃথিবীর সফল ব্যক্তি যারা, তারাও সফল হওয়ার অনেক আগে থেকেই নিজেদেরকে সমাজের কাছে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছেন, যা তাদেরকে আজকের এই পর্যায়ে আসতে সাহায্য করেছে।  জীবনে সফল হওয়ার জন্য কেউ যখন কাজ করতে থাকে, ঠিক তখন থেকেই তাকে নিজের গুরুত্ব বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হয়। তা না হলে পরবর্তীতে, নিজেকে সামজের অন্যদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলাটা অনেক কঠিন হয়ে যায়। তাই নিজেকে সবার মাঝে ধনী তথা সফল ব্যক্তিদের মত গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে চাইলে, এখন থেকেই আপনাকে কাজ শুরু করে দিতে হবে। কিন্তু কিভাবে নিজের মধ্যে ধনীদের মত আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব গড়ে তুলে নিজেকে সবার মাঝে গুরুত্বপূর্ণ করে

এ যুগের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যেভাবে কর্মীদের বেতন নির্ধারণ করে

আপনি কি জানেন, বেসরকারি চাকরিতে কিভাবে আপনার বেতন নির্ধারণ করা হয়?  নিয়োগকর্তা বা কোম্পানিগুলো ঠিক কি পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত নেয়, আপনার বেতন কত হবে? কেন একই যোগ্যতা থাকার পরও ভিন্ন ভিন্ন কোম্পানি ভিন্ন ভিন্ন অংকের বেতন দেয়? কিভাবে আপনার চেয়ে ১০ বছরের ছোট ছেলেটা আপনার চেয়ে বেশি বেতনে জয়েন করল? বেতনের ক্ষেত্রে সিনিয়রিটি নাকি দক্ষতা, কোনটিকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়? এসব প্রশ্নের  উত্তর নিয়েই আজকের এই পোস্ট।  আজকে এখানে আমি ব্যাখ্যা করেছি বেতন নির্ধারণের মূল ৫ টি ফ্যাক্টর, যেগুলো বেতন নির্ধারণের ক্ষেত্রে সারাবিশ্বেই সাধারনভাবে চর্চা করা হয়। কোন একটি কোম্পানিতে কার বেতন কত হবে, সেটা আসলে নির্ভর করে অনেকগুলো ফ্যাক্টরের ওপর।  আর নিয়োগকারী কোম্পানি কোন ফ্যাক্টরকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে সেটাও আপনার বেতনের অংকে প্রভাব ফেলতে পারে। যেকারনে একই সমান অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকার পরও দুটি ভিন্ন কোম্পানিতে দু’জনের আলাদা অংকের বেতন হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। তবে একটি আদর্শ কোম্পানিতে সাধারণত কিভাবে কোন এমপ্লোয়ির বেতন নির্ধারণ করা হয়, সেটা জানা থাকলে ব্যাপারটা বুঝতে সবার সুবিধা হবে। আসুন দেখা যাক কিভাবে সেটা

বাংলাদেশে স্বর্ণে বিনিয়োগ আসলে কতটা লাভজনক?

বাংলাদেশে সোনা বা স্বর্ণে বিনিয়োগ করা সত্যিকার অর্থেই আসলে কতটা লাভজনক এবং এদেশে  স্বর্ণ কিনে রেখে দিলে আপনার ভবিষ্যৎ কি  সেটা জানার জন্য সম্প্রতি আমি বেশকিছু খোঁজ-খবর করি এই ব্যাপারে।  এটা করতে গিয়ে দেখলাম, এই বিষয়টাতে বাংলাদেশে অনেক হিডেন ব্যাপার-স্যাপার আছে, যা সবার পক্ষে সাধারণভাবে জানা কখনই সম্ভব নয়।  এমনকি সোনা বা স্বর্ণ কিনতে গেলেও দোকানদাররা আপনাকে এসব কথা জানাবে না, কিন্তু যখনই বেচতে যাবেন, তখনই বুঝবেন স্বর্ণে বিনিয়োগ করাটা আপনার কতটা সঠিক কিংবা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল।  তাই  স্বর্ণ কিনে রেখে দিলে বাংলাদেশে আপনার ভবিষ্যৎ কি - সে বিষয়টি নিয়েই আজকে আলোচনা করব। তবে বিষয়টি ভালভাবে বোঝার জন্য, বাংলাদেশের বিষয়াদি আলাপের আগে, আসুন জেনে নেই, স্বর্ণে বিনিয়োগের কিছু বেসিক বিষয় এবং আন্তর্জাতিক মার্কেটে স্বর্ণে বিনিয়োগ করার পুরো চক্রটা ঠিক  কিভাবে  কাজ করে, সে সম্পর্কে।  কেন স্বর্ণে বিনিয়োগ করা হয়?  ডলার হোক কিংবা টাকা , যেকোন মুদ্রার মান বা ভ্যালু যখন কমতে থাকে , তখন সারা বিশ্বেই মানুষজন বিকল্প এসেট ক্লাস হিসেবে সোনা বা স্বর্ণের মত দামী ধাতুতে বিনিয়োগ করে। বিনিয়োগের জন্য দামী এবং প্রয়োজনীয় ধ