সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বাংলাদেশে স্বর্ণে বিনিয়োগ আসলে কতটা লাভজনক?

Gold, Investment, Bangladesh, Money, Rich, Russel Arefin,
বাংলাদেশে সোনা বা স্বর্ণে বিনিয়োগ করা সত্যিকার অর্থেই আসলে কতটা লাভজনক এবং এদেশে স্বর্ণ কিনে রেখে দিলে আপনার ভবিষ্যৎ কি সেটা জানার জন্য সম্প্রতি আমি বেশকিছু খোঁজ-খবর করি এই ব্যাপারে। এটা করতে গিয়ে দেখলাম, এই বিষয়টাতে বাংলাদেশে অনেক হিডেন ব্যাপার-স্যাপার আছে, যা সবার পক্ষে সাধারণভাবে জানা কখনই সম্ভব নয়। 

এমনকি সোনা বা স্বর্ণ কিনতে গেলেও দোকানদাররা আপনাকে এসব কথা জানাবে না, কিন্তু যখনই বেচতে যাবেন, তখনই বুঝবেন স্বর্ণে বিনিয়োগ করাটা আপনার কতটা সঠিক কিংবা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। 

তাই স্বর্ণ কিনে রেখে দিলে বাংলাদেশে আপনার ভবিষ্যৎ কি - সে বিষয়টি নিয়েই আজকে আলোচনা করব। তবে বিষয়টি ভালভাবে বোঝার জন্য, বাংলাদেশের বিষয়াদি আলাপের আগে, আসুন জেনে নেই, স্বর্ণে বিনিয়োগের কিছু বেসিক বিষয় এবং আন্তর্জাতিক মার্কেটে স্বর্ণে বিনিয়োগ করার পুরো চক্রটা ঠিক কিভাবে  কাজ করে, সে সম্পর্কে। 


কেন স্বর্ণে বিনিয়োগ করা হয়? 

ডলার হোক কিংবা টাকা, যেকোন মুদ্রার মান বা ভ্যালু যখন কমতে থাকে, তখন সারা বিশ্বেই মানুষজন বিকল্প এসেট ক্লাস হিসেবে সোনা বা স্বর্ণের মত দামী ধাতুতে বিনিয়োগ করে।

বিনিয়োগের জন্য দামী এবং প্রয়োজনীয় ধাতু অনেক আছে, তবে এরমধ্যে স্বর্ণই সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত হয়, বিনিয়োগ হিসেবে। হীরার দাম বেশি হলেও, সেটা কিন্তু বিনিয়োগের জন্য মোটেই ভাল কোন এসেট নয়। 

এর কারণ দামী ধতু গুলোর মধ্যে এই ধাতুটির ব্যবহার অনেক বেশি এবং এটার ব্যবহার শুধু বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ নয়। মানুষজন গহনা হিসেবেও সারা পৃথিবীতে এই ধাতুটি ব্যবহার করে থাকে এবং সংগ্রহ করতে চাইলে এই ধাতু হাতের কাছেই পাওয়া যায়। 

এসব কারণে মুদ্রার বাজারে যখনই উথাল-পাথাল অবস্থা হয়, মানে উচ্চ ইনফ্লেশনের সৃষ্টি হয়, তখন মানুষজন কাগজের মুদ্রা ছেড়ে দিয়ে এই স্বর্ণে বিনিয়োগ করে। এতে করে সময়ের সাথে সাথে যখন মুদ্রার মান কমতে থাকে, তখন স্বর্ণ সেই দামকে ধরে রাখে।

মানে টাকা বা ডলারের মূল্যে তখনো স্বর্ণের দাম বাড়তে থাকে, যারফলে বিনিয়োগকারীদের অর্থ ইনফ্লেশনের বিপরীতে মূল্য ধরে রাখে।

একেবারে সহজ করে বললে, স্বর্ণে বিনিয়োগ করলে আপনার বিনিয়োগকৃত টাকা বা ডলারের পরিমাণ যদি নাও বাড়ে, তাও অন্তত তার মূল ভ্যালু হারায় না। 

অর্থাৎ আপনার ১ লাখ টাকা বা ডলার ১৫ বছর পর যেখানে ইনফ্লেশনের কারণে ৫০ হাজারে পরিণত হবে, সেখানে আপনি যদি তা স্বর্ণে বিনিয়োগ করে ১৫ বছর রাখেন, তাহলে তার দাম ১৫ বছর যা হবে, তার ভ্যালু তখনকার সময়েও ১৫ বছর আগের হিসাবে কমপক্ষে ১ লাখই থাকবে।

মানে আপনার আজকের ১ লাখ টাকা ডলারের ভ্যালুকে ১৫ বছর পরও যদি ১ লাখেই ধরে রাখতে চান, তাহলে হয়তো সে সময় আপনার ২ লাখ টাকা বা ডলার লাগবে। কিন্তু স্বর্ণে বিনিয়োগ করে রাখলে তার দাম যদি বেড়ে কমপক্ষে ২ লাখ হয়, তাহলে আপনি কিন্তু কোন পরিশ্রম ছাড়াই ১৫ বছর পরও আপ্নারর টাকা বা ডলারের ভ্যালু ধরে রাখতে পারবেন। 

যদিও বাস্তবে স্বর্ণের দাম আরও অনেক বেশি বাড়ে এবং এতে করে বিনিয়োগকারীদের ইনফ্লেশন কাভার হয়েও বেশ ভাল পরিমাণে ক্যাপিটাল গেইনও হয়।

মনে রাখতে হবেসোনা বা স্বর্ণের দাম সময়ের সাথে সাথে গড়ে বাড়তে থাকে। আর এটার দাম যখন কমে, তখনো খুব বেশি হারে কমে না, তবে বাড়ার সময় হার অনেক বেশি থাকে। তাই কমা-বাড়ার খেলা শেষে দেখা যায়, স্বর্ণের দাম আসলে দিনে দিনে বেড়েই চলে।

এগুলো হচ্ছে স্বর্ণে বিনিয়োগের বেসিক কারণ, যার জন্য সারা বিশ্বেই শুধু ব্যাক্তি মানুষজনই নয়, সকল দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক গুলোও তাদের অর্থের কিছু অংশ সারা বছরই স্বর্ণে বিনিয়োগ করে থাকে।


কিভাবে স্বর্ণে বিনিয়োগ করতে হয়?

স্বর্ণে বিনিয়োগের জন্য আপনাকে শতভাগ বিশুদ্ধ স্বর্ণ কিনতে হবে। ভেজাল থাকলে চলবে না। এরকম স্বর্ণ সব দোকানে পাওয়া যায় না।

বিনিয়োগযোগ্য সোনা বা  স্বর্ণ বিক্রি করে এমন কোন এক্সচেঞ্জ হাউজ থেকে তা কিনতে হবে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এধরণের বহু এক্সচেঞ্জ হাউজ আছে, যারা বিনিয়োগকারীদের কাছে শতভাগ বিশুদ্ধ স্বর্ণ বিক্রি করে। 

এসব হাউস বিনিয়োগের জন্য সোনার বার (Bar) এবং কয়েন (Coin) আকারে বিশুদ্ধ স্বর্ণ কেনা-বেচা করে থাকে। আবার এই একই এক্সচেঞ্জ হাউজ গুলোই আবার বিনিয়োগ কারীদের কাছ থেকে বিশুদ্ধ স্বর্ণ কিনেও নেয়। 

অর্থাৎ স্বর্ণে বিনিয়োগ করতে চাইলে আপনি একই জায়গা থেকেই কেনা এবং বেচা দুটোই করতে পারবেন।


স্বর্ণ কেনা এবং বেচার মধ্যে দামের পার্থক্য কেমন হয়?

সাধারণত পৃথিবী জুড়ে বিনিয়োগযোগ্য সোনা বা  স্বর্ণ কেনা-বেচার এক্সচেঞ্জ হাউজ গুলো তাদের ক্রয়-বিক্রয়ের মধ্যে ৩% স্প্রেড রাখে। মানে তারা বাজারের যে দামে গ্রাহকের কাছে স্বর্ণ বিক্রি করে, তার থেকে ৩% কম দামে সেটা গ্রাহকের কাছ থেকে কিনে নেয়।

অর্থাৎ, আপনি যদি এখনই ১ লাখ ডলারের স্বর্ণ কিনে এখনই আবার বেচতে যান, তাহলে ৯৭ হাজার ডলার পাবেন।

কিন্তু ৭ দিন পর যদি সেই একই পরিমাণ স্বর্ণের দাম বেড়ে ২ লাখ ডলার হয়, তখন যদি আপনি আগের ১ লাখে কেনা স্বর্ণ বেচতে যান, তাহলে পাবেন ১ লাখ ৯৬ হাজার ডলার।

এভাবে শুধু দাম বাড়লেই স্বর্ণে বিনিয়োগকারীরা লাভ করতে পারে।

দাম না বাড়লে সোনা বা  স্বর্ণ থেকে লাভ করার আর কোন উপায় নাই, কেননা স্বর্ণ বাচ্চা দেয় না। আবার এটাকে সংরক্ষণ করার জন্য নিরাপত্তা জনিত খরচও যোগ হয়। 

তাই স্বর্ণে বিনিয়োগ থেকে লাভ করতে হলে, এর দাম পর্যাপ্ত পরিমাণে না বাড়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে। 


গহনা কিনে কি স্বর্ণে বিনিয়োগ করা যায়?

না, গহনা কিনে স্বর্ণে বিনিয়োগ করা যায় না। কেননা, প্রথমত গহনা শতভাগ বিশুদ্ধ স্বর্ণ দিয়ে তৈরী হয় না, এতে অন্য ধাতু মেশাতে হয় গহনা বানানোর জন্য। 

দ্বিতীয়ত, গহনা কেনা এবং বেচার মধ্যে স্প্রেড অনেক বেশি থাকে। সারা পৃথিবীতে গড়ে এই স্প্রেড ১৩-১৭%, যেটা অনেক বেশি। 

শুধু তাই নয়, গহনার ক্ষেত্রে অনেক হিডেন চার্জও থাকে, যা বেচতে গেলে ফেরত পাওয়া যায় না। যেমন গহনা তৈরির মজুরি বা খরচ, দেশে দেশে গহনা বিক্রির উপর সরকারি ভ্যাট, ট্যাক্স ইত্যাদি।

এসব মিলিয়ে গহনা কিনতে গেলে অনেক খরচ হয়ে যায়, কিন্তু বেচতে গেলে তা আর ফেরত পাওয়া যায় না। বেচতে গেলে শুধু গহনাতে থাকা প্রকৃত স্বর্ণের পরিমাণই বেচা যায়, যার স্প্রেডও আবার অনেক বেশি।


স্বর্ণের দাম কমপক্ষে কত বাড়লে বিনিয়োগকারীদের লাভ শুরু হয়?

বিনিয়োগকারীদের লাভ করার জন্য সোনা বা  স্বর্ণের দাম সাধারণত কমপক্ষে ৩% এর বেশি বাড়তে হয়। কেননা দুনিয়াব্যাপী বিশুদ্ধ স্বর্ণের দামের স্প্রেড ৩%। তবে স্বর্ণ সংরক্ষণের নিরাপত্তা খরচ হিসাব করলে এই হার আরও বাড়তে হবে, না হলে লোকসান হবে। 

তাই কমপক্ষে ৩% এর বেশি দাম বাড়লে বিনিয়োগকারীরা সেখান থেকে লাভ করতে পারে, যদি বিশুদ্ধ স্বর্ণে বিনিয়োগ করা হয়।

আর গহনায় বিনিয়োগ করলে দাম কমপক্ষে কত বাড়লে লাভ করা সম্ভব তা বলা মুশকিল। কেননা এর স্প্রেড অনেক বেশি এবং হিডেন চার্জও অনেক।

তবে মজুরী, সরকারি ভ্যাট ট্যাক্স, সংরক্ষণ খরচ ইত্যাদি সহ স্প্রেড হিসাবে নিলে বলা যায়, এক্ষেত্রে কমপক্ষে ৩৫% দাম না বাড়লে গহনা বেচে লাভ করা খুবই কঠিন।

আর এই পরিমাণ দাম বাড়তে অনেক লম্বা সময়ের প্রয়োজন। আর এ কারণেই গহনায় কেউ বিনিয়োগ করে না। যারা গহনা কেনে, তারা মূলত তা ব্যবহার করার জন্যই কিনে থাকে। 


বাংলাদেশে স্বর্ণে বিনিয়োগ করা আসলে কতটা লাভজনক?

এবারে আসুন বাংলাদেশে স্বর্ণে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আসলে বাস্তব অবস্থাটা কেমন, সেটা আলোচনা করি। উপরে যা কিছু জানলেন, সেগুলো সব ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটের জন্য প্রযোজ্য, এই বাংলাদেশের জন্য নয়। কেননা এখানে সবকিছুই চলে উল্টা নিয়মে!

বাংলাদেশে স্বর্ণে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রথম সমস্যা হল, এখানে বিনিয়োগ উপযোগি বিশুদ্ধ স্বর্ণ খুঁজে না পাওয়া! কেননা অন্যান্য দেশের মত এদেশে বিনিয়োগযোগ্য স্বর্ণ কেনা-বেচার জন্য তেমন কোন এক্সচেঞ্জ হাউস নেই।

গহনার দোকান থেকে বিনিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় শতভাগ বিশুদ্ধ স্বর্ণের বার এবং কয়েন কিনতে পাওয়া যায় না।

তবে বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি কিছু প্রতিষ্ঠানকে এরকম বিশুদ্ধ স্বর্ণ আমদানী, রিফাইন এবং কেনা-বেচার লাইসেন্স দিয়েছে বলে জানা যায়, যেখান থেকে বিনিয়োগযোগ্য স্বর্ণের বার এবং কয়েন কেনা সম্ভব।

তবে এগুলো এখনও ব্যাক্তি বিনিয়োগের জন্য হাতের কাছে গড়ে ওঠে নি। কবে তা সহজ প্রাপ্য হবে, সেটাও আন্দাজ করা কঠিন। 


বাংলাদেশে স্বর্ণ কেনা-বেচার স্প্রেড কেমন?

বাংলাদেশে গহনা কেনা-বেচার ক্ষেত্রে স্প্রেড হচ্ছে গড়ে ২০% (সম্প্রতি কমিয়ে ১৫% করার একটা খবর এসেছে অবশ্য)। এই হার কিছুটা হলেও ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটের সাথে সামঞ্জস্য পূর্ণ।

কিন্তু বিনিয়োগের জন্য ব্যবহৃত বিশুদ্ধ স্বর্ণের স্প্রেডও বাংলাদেশে ২০%, যেটা একেবারেই অযৌক্তিক এবং পৃথিবীর অন্যান্য দেশ থেকে অনেক বেশি। কেননা ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে এটা মাত্র ৩%।

বাংলাদেশের একটি স্বর্ণ বার এবং কয়েন বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানে আমি নিজে যোগাযোগ করে জেনেছি, তারা বিনিয়োগের বিশুদ্ধ স্বর্ণের ক্ষেত্রেও ২০% স্প্রেড ব্যবহার করে, যেটা একরকম  অমানবিক। 

অন্যদিকে বাংলাদেশের ভেতরে এসব বিশুদ্ধ সোনা বা  স্বর্ণের বার এবং কয়েন কেনার সময় মজুরি বা নির্মাণ খরচ দিতে না হলেও ৫% হারে ভ্যাট-ট্যাক্স দিতে হয়। যার ফলে দেশের বাজারে স্বর্ণে বিনিয়োগ করতে অন্য দেশ থেকে বেশি পূঁজি লাগে। 

মানে বাংলাদেশের ভেতরে আপনি যদি ভ্যাট-ট্যাক্স সহ এরকম বিশুদ্ধ স্বর্ণের বার বা কয়েন ১ লাখ টাকায় কিনে সাথে সাথেই আবার সেখানেই বিক্রি করেন, তাহলে আপনি পাবেমাত্র ৭৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ এদেশে স্বর্ণে বিনিয়োগ করলে আপনার ২৫% টাকা (২০% স্প্রেড + ৫% ভ্যাট-ট্যাক্স) সাথেই হারাতে হবে।

এখন আপনি যদি এদেশে সোনা বা  স্বর্ণ কিনে রেখে দেন, তাহলে সেখান থেকে লাভ করার জন্য আপনাকে স্বর্ণের দাম কমপক্ষে ২৫% এর বেশি বাড়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। যেটা অনেক লম্বা সময়ের ব্যাপার

এরসাথে আছে আবার নিরাপদে স্বর্ণ সংরক্ষণের খরচ।

মোট কথা, বাংলাদেশের ভেতরের বর্তমান সিস্টেমের কারণে এদেশে আপনি স্বর্ণে বিনিয়োগ করে স্বাভাবিকভাবে লাভ করতে পারবেন না, যদি না আপনি অনেক লম্বা সময় অপেক্ষা করতে পারেন অথবা স্বর্ণের দাম কোন কারনে হঠাত এক ধাক্কায় ২৫% এর বেশি বেড়ে যায়।

তাই বাংলাদেশে স্বর্ণে বিনিয়োগের আগে সবকিছু খুব ভালভাবে যাচাই-বাছাই করে তারপর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

বি.দ্রঃ এ ধরনের তথ্যগুলি সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হতে পারে। তাই পাঠকের পাঠকালীন সময়ের সাথে পোস্টের তথ্যের পার্থক্য থাকতে পারে। ডিসক্লেইমার জানতে এবং পোস্ট ব্যবহারের আগে শর্তাবলী দেখে নিন।

মন্তব্যসমূহ

  1. এই লেখাতে নতুন কোন তথ্য নেই। বেশ কয়েক বছর ধরে স্বর্ণ নিয়ে প্রতিবেদন করার কারণে কিছু খোঁজ-খবর রাখি। তাই লেখাটা পড়ে নতুন কিছু পেলাম না।

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. ধন্যবাদ। এটা যারা স্বর্ণে বিনিয়োগের ব্যাপারে কিছুই জানে না, তাদের জন্য বেশ উপকারি।

      মুছুন
  2. জেলা পর্যায়ে লাইন্সধারী স্বর্ণের বিশুদ্ধ কয়েন কোথায় বিক্রি করে সেটা কিভাবে খোজ নিবো??

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মতামত জানান।

জনপ্রিয় পোস্টগুলি

Provident Fund এবং Gratuity আসলে কি? কিভাবে প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্রাচ্যুইটির হিসাব করা হয়?

চাকরিতে বেতনের বাইরে আরও যেসব আর্থিক সুবিধাদি থাকে, তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে প্রভিডেন্ট ফান্ড ( Provident Fund ) এবং গ্রাচ্যুইটি ( Gratuity )। কিন্তু এসব বিষয়ে অনেকেরই তেমন কোন সুস্পষ্ট ধারনা নেই। অনেকেই জানেন না, প্রভিডেন্ট ফান্ড (PF) এবং গ্রাচ্যুইটি (Gratuity) আসলে কি? এগুলো কিভাবে কাজ করে আর এখান থেকে কি ধরেনর সুবিধা পাওয়া যায়? প্রত্যেক চাকরিজীবীর জানা থাকা দরকার যে, কিভাবে প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্রাচ্যুইটির হিসাব করা হয়? কিন্তু বাস্তবতা হল, নিজ চাকরিতে এসব সুবিধা থাকার পরও অনেকই বিষয়গুলো ভাল করে বোঝেন না। অথচ একজন স্মার্ট ক্যারিয়ারিস্ট হিসেবে প্রত্যেকের উচিৎ চাকরি সংশ্লিষ্ট প্রতিটি সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে ভাল করে জানা। আবার যারা চাকরিপ্রার্থী, তারাও এই বিষয় গুলো তেমন একটা বোঝে না। বিভিন্ন চাকরির বিজ্ঞাপনে প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্রাচ্যুইটি সুবিধার কথা লেখা দেখে অনেকেই কিছু না বুঝেই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে, যা অনেক সময়ই তাদের প্রত্যাশার সাথে মেলে না। যেহেতু প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্রাচ্যুটি হচ্ছে বেতনের বাইরে প্রাপ্ত আর্থিক সুবিধা, তাই এগুলো সম্পর্কে ভাল করে জানাটা জরুরী। তাই এসব বিষয় নিয়েই

যে ১০টি দক্ষতা থাকলে চাকরি পেতে কারও রেফারেন্স লাগে না

বলুন দেখি, চাকরি পেতে কোন জিনিসটি আপনার অবশ্যই থাকতে হবে? টাকা-পয়সা, মামা-চাচা-খালু, নাকি বড় বড় চটকদার ডিগ্রি?  সত্য বলতে আসলে এসব কিছুই না! যে কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েই আপনি মানানসই একটি ভাল চাকরি অনায়াসেই পেতে পারেন, যদি আপনার মধ্যে একটি মাত্র জিনিস থাকে! আর সেই জিনিসটির নাম হচ্ছে দক্ষতা বা স্কিল। এ যুগে চাকরি পেতে হলে একজন প্রার্থীর মধ্যে বেশকিছু দক্ষতা বা Skill অবশ্যই থাকতে হবে। হ্যা, মামা-চাচা-খালু কিংবা ঘুষ দেয়ার জন্য টাকা-পয়সা নয়, এই দক্ষতাই হচ্ছে এযুগে চাকরি পাওয়ার একমাত্র যোগ্যতা। আপনার মধ্যে যদি উপযুক্ত দক্ষতা থাকে, তাহলে চাকরি নিজেই আপনাকে খুঁজে নেবে। আপনাকে আর চাকরির পিছনে দৌড়াতে হবে না। কিন্তু আপনার মধ্যে যদি সময়ের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষতা না থাকে তাহলে, আপনি যতই জুতা ক্ষয় করেন না কেন, সহজে চাকরি পাবেন না। তাই সময়ের চাহিদা অনুযায়ী উপযুক্ত দক্ষতা বা Skill অর্জনের দিকে মনোযোগ দিন।  আর এজন্য ঠিক কি কি দক্ষতা এই যুগের চাকরির জন্য প্রয়োজন, সেটি জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, কিভাবে চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে এবং কিভাবে ভাল একটি চাকরি পাওয়া যায়, সে সম্পর্কে শুরু থেকেই আপনার পর

শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ শুরুর প্রথম পাঠ

কিভাবে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে ব্যবসা করতে হয়, সেটা অনেকেরই অজানা। বিশেষ করে নতুনদের জন্য শেয়ার বাজারে আগমনের পথটা সব সময়ই কঠিন। কেননা, শেয়ার বাজারে শুরুটা ঠিক কিভাবে করতে হয়, সে সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সবসময়ই অপ্রতুল।  শেয়ার বাজার বা স্টক মার্কেট সবসময়ই একটি উচ্চ ঝুঁকপূর্ণ জটিল জায়গা। তাই এখানে আসার আগে প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু পড়াশুনা করে নূন্যতম জ্ঞান নিয়ে আসা উচিত। তা না হলে, শেয়ার বাজারে এসে টাকা খোয়ানো কেউ ঠেকাতে পারবে না!  তবে শুরুতেই ভয় পাওয়ার কিছু নেই! কেননা বিখ্যাত বিনিয়গকারী পিটার লিঞ্চ যেমনটা বলেছেন, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের জন্য পৃথিবীর সব মানুষেরই যথেষ্ট বুদ্ধি-বিবেচনা বোধ রয়েছে। ক্লাস ফাইভের অংক করতে জানেন, এমন লোকও শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করার জন্য উপযুক্ত। তবে কথা আছে। শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের জন্য একজন বিনিয়োগকারীর অবশ্যই যথেষ্ট ধৈর্য, প্রচেষ্টা এবং পর্যাপ্ত সময় ব্যয় করার ইচ্ছা থকতে হবে। আর তাহলেই কেবল একজন বিনিয়গকারী সফল হওয়ার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবে।  তাই আজকের এই লেখায়, আমি শেয়ার  বাজারে বিনিয়োগ শুরু করার বেসিক ধাপ গুলো নিয়ে আলোচনা করব। এই বিষয় গুলো জানাটা সব বিনিয়ো

মাত্র ২ টাকা দিয়ে শুরু করে এক বছরেই লাখ টাকা জমানোর ক্রেইজি উপায়

টাকা জমানো মোটেই সহজ কোন কাজ নয়। অনেকেই নানাভাবে চেষ্টা করেও টাকা জমাতে পারে না। তাই টাকা জমানোর এই কঠিন  কাজটিকে সহজ করতে পৃথিবীতে আবিষ্কৃত হয়েছে নানা তত্ত্ব এবং উপায়। সেখান থেকেই আজ আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব এমন  একটি উপায়, যেটা দিয়ে টাকা জমানোর কাজটা হয়ে যাবে অনেক সহজ, আর এটার শুরুটা করা যাবে মাত্র ২ টাকা দিয়ে। তবে এই পদ্ধতিটির আবিষ্কারক কে, সেটা আমার সঠিকভাবে জানা নেই, তাই কারও নাম উল্লেখ করতে পারলাম না। তবে আপনাদের কারও যদি জানা থাকে, তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। চলুন তাহলে আলোচনা শুরু করি। মাত্র ২ টাকা দিয়ে জমানো শুরু করে কিভাবে ১ বছরেই লাখপতি হওয়া যায়?  মাত্র ২ টাকা দিয়ে জমানো শুরু করে ১ বছরে লাখপতি হওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমে যে কাজটি করতে হবে, সেটি হল, আপনাকে আগে একটা নির্দিষ্ট তারিখ বেছে নিতে হবে, যেদিন থেকে আপনার একবছর গণনা শুরু হবে। বছরের যে কোন দিন থেকে আপনি শুরু করতে পারেন, তবে সেখান থেকে একটানা ৩৬৫ দিনের হিসাব আপনাকে ঠিক ভাবে রাখতে হবে। দ্বিতীয়ত, এ পদ্ধতির সফলতার জন্য আপনার একাগ্রতা এং নিষ্ঠার দরকার হবে। মাঝপথে ছেড়ে যাওয়া যাবে না। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ঠিক ভাবে লেগে থ

আয় যেমনই হোক, সঞ্চয় বাড়ানোর সেরা জাপানি কৌশলে টাকা জমবে সহজে

সবাই টাকা জমাতে চায়, তবে বাস্তবতা হল, সবার টাকা জমানোর ক্ষমতা কিন্তু সমান নয়। বেশি আয় করলেই যে বেশি সঞ্চয় করতে পারবেন, বিষয়টা মোটেই তেমন নয়। সেকারণে দেখা যায়, অনেকেই অল্প আয় করেও অনেক টাকা জমিয়ে ফেলে, আবার অনেকে প্রচুর আয় করেও এক পয়সাও জমাতে পারে না!  তাই সঞ্চয়ের জন্য সবার আগে জানতে হবে, আপনার আসলে টাকা জমানোর প্রকৃত ক্ষমতা কতটুকু? আর এটা জানার জন্য আমরা ব্যবহার করব শতাধিক বছরের পুরনো জাপানি পদ্ধতি, যার নাম 'কাকিবো' (জাপানি ভাষার উচ্চারণ ভিন্ন হতে পারে) । এই জাপানি পদ্ধতিতে আপনি মাত্র ৪টি সহজ প্রশ্নের উত্তর দিয়েই যাচাই করতে পারবেন, আপনার আসলে সঞ্চয়ের ক্ষমতা কতটুকু। শুধু তাই নয়, কাকিবো  আপনার সঞ্চয়রে সামর্থ্য কিভাবে বাড়িয়ে তোলা যায়, সে পদ্ধতিও বাতলে দিবে।   কাকিবো পদ্ধতির জন্ম  ১৯০৪ সালে, জাপানে। পারসোনাল ফিন্যান্স বা ব্যক্তিগত বাজেট ম্যানেজম্যান্টের জন্য এইপদ্ধতিটি আবিষ্কার করেন, জাপানি নারী সাংবাদিক হানি মটোকো।   অনেকেই কাকিবোকে টাকা জমানোর একটি উপায় বলে মনে করেন, যা আসলে সঠিক নয়। সত্য কথা হল, কাকিবো আসলে টাকা জমানোর কোন পদ্ধতি নয়, এটা হল, আপনার টাকা জমানোর প্রকৃত ক্ষমতা বের

শেয়ার ব্যবসায় মুনাফা করার অব্যর্থ টেকনিক

শেয়ার বাজার বা Stock Market - এ বিনিয়োগ করে ধরা খেতে না চাইলে আপনাকে অবশ্যই কিছু বেসিক নিয়ম মেনে বিনিয়োগ করতে হবে। কেননা, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে যারা ধরা খেয়েছেন, তাদের একটা বড় অংশ এই মার্কেটে বিনিয়োগের বেসিক নিয়ম গুলো জেনেই বিনিয়োগ করে ফেলেছিলেন। শেয়ার বাজার একটি উচ্চ ঝুকি পূর্ণ স্পর্শকাতর জায়গা। তাই এখানে বিনিয়োগ করতে হয় বুঝে শুনে, গুজবের উপর ভিত্তি করে নয়। শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের কিছু বেসিক নিয়ম আছে, যেগুলো বেশিরভাগ বিনিয়োগকারীই জানেন না অথবা বিনিয়োগের সময় সেগুলো প্রয়োগ করেন না। এরফলে তাদের বিনিয়োগ থেকে যায় ঝুঁকিপূর্ণ এবং বাজারের সামান্য উত্থান-পতনেই তাদের বিনিয়োগ নেমে আসে শুন্যের কোটায়। তাই শেয়ার বাজারে ভাল কোম্পানিতে দীর্ঘ মেয়াদে নিরাপদ এবং টেকসই বিনিয়োগ করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই বেশ কিছু বেসিক বিষয় মাথায় রাখতে হবে। কিন্তু কি সেই বিষয় গুলো? - এই নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে এই পোস্টে।  আজকের এই লেখায় আমি আপনাদের জানাব, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের এমন ৫ টি অব্যর্থ টেকনিক, যেগুলো না জেনে বিনিয়োগ করা কখনই উচিৎ হবে না। আর এই টেকনিক গুলো সার্বজনীন, অর্থাৎ এগুলো যেকোন দেশের যে

ক্রেডিট কার্ডের সুদ হিসাবের ভয়ঙ্কর পদ্ধতি এবং চক্রবৃদ্ধির সুদের ফাঁদ থেকে বাঁচার উপায়

আপনি মানেন আর না মানেন, এটা সত্যি যে, ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড (Credit Card) অনেকের জীবনেই ধ্বংস ডেকে এনেছে। ক্রেডিট কার্ডের উচ্চ সুদের ভয়ঙ্কর ঋণের ফাঁদে পড়ে অনেকের জীবনেরই আজ ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। এর অন্যতম একটি কারণ, ক্রেডিট কার্ডের সুদ হিসাবের ভয়ঙ্কর পদ্ধতি। অনেকেই জানেন না, ব্যাংক গুলোতে ঠিক কি পদ্ধতিতে ক্রেডিট কার্ডের সুদ হিসাব করা হয়? আবার ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা ও অসুবিধা গুলো আসলে কি, সেটাও অনেকে জানে না। অথচ একটু বুদ্ধি খাটিয়ে স্মার্টলি ব্যবহার করতে পারলেই কিন্তু Credit Card থেকে অনেক সুবিধা নেয়া যায়।  যাইহোক, ক্রেডিট কার্ড আসলে কি এবং Credit Card ব্যবহার করতে গিয়ে কেন এবং কিভাবে মানুষ চক্রবৃদ্ধি হারে সুদের গ্যাড়াকলে আষ্টেপৃষ্ঠে আটকে পড়ে, সেইসব রহস্যই ভেদ করার চেষ্টা করেছি আজকের এই পোস্টে।  Credit Card স্মার্টলি ব্যবহার করার জন্য এর সাথে সম্পর্কিত সকল তথ্য সঠিক ভাবে জানা প্রয়োজন। বিশেষ করে বিভিন্ন Bank- এর ক্রেডিট কার্ডের সুদের হার এবং নানা ধরনের চার্জ গুলো সম্পর্কে না জানলে বিপদে পড়ার সম্ভাবনা প্রায় শতভাগ। কেননা এই তথ্যগুলো না জানা কিংবা গুরুত্ব না দেয়ার কারণেই ক্রেডিট কার্ড মান

আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের মাধ্যমে সমাজে নিজের গুরুত্ব বাড়িয়ে তোলার উপায়

শুধুমাত্র বিপুল টাকা-পয়সা কিংবা সম্পদের পাহাড়ের মালিক হলেই কেউ অন্যের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে না। নিজেকে অন্যদের কাছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ করে তলার জন্য ব্যক্তির মধ্যে বিশেষ কিছু গুণ বা বৈশিষ্ট্য থাকতে হয়। এসব গুণ বা বৈশিষ্ট্য অর্জন করতে পারলেই কেবল আপনি নিজেকে অন্যের কাছে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে পারবেন।  জীবনে সফল হতে হলে, অবশ্যই নিজের গুরুত্ব বাড়াতে হবে এবং অন্যদের মাঝে নিজেকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে জায়গা করে নিতে হবে। আজকের পৃথিবীর সফল ব্যক্তি যারা, তারাও সফল হওয়ার অনেক আগে থেকেই নিজেদেরকে সমাজের কাছে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছেন, যা তাদেরকে আজকের এই পর্যায়ে আসতে সাহায্য করেছে।  জীবনে সফল হওয়ার জন্য কেউ যখন কাজ করতে থাকে, ঠিক তখন থেকেই তাকে নিজের গুরুত্ব বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হয়। তা না হলে পরবর্তীতে, নিজেকে সামজের অন্যদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলাটা অনেক কঠিন হয়ে যায়। তাই নিজেকে সবার মাঝে ধনী তথা সফল ব্যক্তিদের মত গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে চাইলে, এখন থেকেই আপনাকে কাজ শুরু করে দিতে হবে। কিন্তু কিভাবে নিজের মধ্যে ধনীদের মত আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব গড়ে তুলে নিজেকে সবার মাঝে গুরুত্বপূর্ণ করে

এ যুগের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যেভাবে কর্মীদের বেতন নির্ধারণ করে

আপনি কি জানেন, বেসরকারি চাকরিতে কিভাবে আপনার বেতন নির্ধারণ করা হয়?  নিয়োগকর্তা বা কোম্পানিগুলো ঠিক কি পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত নেয়, আপনার বেতন কত হবে? কেন একই যোগ্যতা থাকার পরও ভিন্ন ভিন্ন কোম্পানি ভিন্ন ভিন্ন অংকের বেতন দেয়? কিভাবে আপনার চেয়ে ১০ বছরের ছোট ছেলেটা আপনার চেয়ে বেশি বেতনে জয়েন করল? বেতনের ক্ষেত্রে সিনিয়রিটি নাকি দক্ষতা, কোনটিকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়? এসব প্রশ্নের  উত্তর নিয়েই আজকের এই পোস্ট।  আজকে এখানে আমি ব্যাখ্যা করেছি বেতন নির্ধারণের মূল ৫ টি ফ্যাক্টর, যেগুলো বেতন নির্ধারণের ক্ষেত্রে সারাবিশ্বেই সাধারনভাবে চর্চা করা হয়। কোন একটি কোম্পানিতে কার বেতন কত হবে, সেটা আসলে নির্ভর করে অনেকগুলো ফ্যাক্টরের ওপর।  আর নিয়োগকারী কোম্পানি কোন ফ্যাক্টরকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে সেটাও আপনার বেতনের অংকে প্রভাব ফেলতে পারে। যেকারনে একই সমান অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকার পরও দুটি ভিন্ন কোম্পানিতে দু’জনের আলাদা অংকের বেতন হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। তবে একটি আদর্শ কোম্পানিতে সাধারণত কিভাবে কোন এমপ্লোয়ির বেতন নির্ধারণ করা হয়, সেটা জানা থাকলে ব্যাপারটা বুঝতে সবার সুবিধা হবে। আসুন দেখা যাক কিভাবে সেটা