বাংলাদেশে সোনা বা স্বর্ণে বিনিয়োগ করা সত্যিকার অর্থেই আসলে কতটা লাভজনক এবং এদেশে স্বর্ণ কিনে রেখে দিলে আপনার ভবিষ্যৎ কি সেটা জানার জন্য সম্প্রতি আমি বেশকিছু খোঁজ-খবর করি এই ব্যাপারে। এটা করতে গিয়ে দেখলাম, এই বিষয়টাতে বাংলাদেশে অনেক হিডেন ব্যাপার-স্যাপার আছে, যা সবার পক্ষে সাধারণভাবে জানা কখনই সম্ভব নয়।
এমনকি সোনা বা স্বর্ণ কিনতে গেলেও দোকানদাররা আপনাকে এসব কথা জানাবে না, কিন্তু যখনই বেচতে যাবেন, তখনই বুঝবেন স্বর্ণে বিনিয়োগ করাটা আপনার কতটা সঠিক কিংবা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল।
তাই স্বর্ণ কিনে রেখে দিলে বাংলাদেশে আপনার ভবিষ্যৎ কি - সে বিষয়টি নিয়েই আজকে আলোচনা করব। তবে বিষয়টি ভালভাবে বোঝার জন্য, বাংলাদেশের বিষয়াদি আলাপের আগে, আসুন জেনে নেই, স্বর্ণে বিনিয়োগের কিছু বেসিক বিষয় এবং আন্তর্জাতিক মার্কেটে স্বর্ণে বিনিয়োগ করার পুরো চক্রটা ঠিক কিভাবে কাজ করে, সে সম্পর্কে।
কেন স্বর্ণে বিনিয়োগ করা হয়?
ডলার হোক কিংবা টাকা, যেকোন মুদ্রার মান বা ভ্যালু যখন কমতে থাকে, তখন সারা বিশ্বেই মানুষজন বিকল্প এসেট ক্লাস হিসেবে সোনা বা স্বর্ণের মত দামী
ধাতুতে বিনিয়োগ করে।
বিনিয়োগের জন্য দামী এবং প্রয়োজনীয় ধাতু অনেক আছে, তবে এরমধ্যে স্বর্ণই সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত হয়, বিনিয়োগ হিসেবে। হীরার দাম বেশি হলেও, সেটা কিন্তু বিনিয়োগের জন্য মোটেই ভাল কোন এসেট নয়।
এর কারণ দামী ধতু গুলোর মধ্যে এই ধাতুটির ব্যবহার অনেক বেশি এবং এটার ব্যবহার শুধু বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ নয়। মানুষজন গহনা হিসেবেও সারা পৃথিবীতে এই ধাতুটি ব্যবহার করে থাকে এবং সংগ্রহ করতে চাইলে এই ধাতু হাতের কাছেই পাওয়া যায়।
এসব কারণে মুদ্রার বাজারে যখনই উথাল-পাথাল অবস্থা হয়, মানে উচ্চ ইনফ্লেশনের সৃষ্টি হয়, তখন মানুষজন কাগজের মুদ্রা ছেড়ে দিয়ে এই স্বর্ণে বিনিয়োগ করে। এতে করে সময়ের সাথে সাথে যখন মুদ্রার মান কমতে থাকে, তখন স্বর্ণ সেই দামকে ধরে রাখে।
মানে টাকা বা ডলারের মূল্যে তখনো স্বর্ণের দাম বাড়তে থাকে, যারফলে বিনিয়োগকারীদের অর্থ ইনফ্লেশনের বিপরীতে মূল্য ধরে রাখে।
একেবারে সহজ করে বললে, স্বর্ণে বিনিয়োগ করলে আপনার বিনিয়োগকৃত টাকা বা ডলারের পরিমাণ যদি নাও বাড়ে, তাও অন্তত তার মূল ভ্যালু হারায় না।
অর্থাৎ আপনার ১ লাখ টাকা বা ডলার ১৫ বছর পর যেখানে ইনফ্লেশনের কারণে ৫০ হাজারে পরিণত হবে, সেখানে আপনি যদি তা স্বর্ণে বিনিয়োগ করে ১৫ বছর রাখেন, তাহলে তার দাম ১৫ বছর যা হবে, তার ভ্যালু তখনকার সময়েও ১৫ বছর আগের হিসাবে কমপক্ষে ১ লাখই থাকবে।
মানে আপনার আজকের ১ লাখ টাকা ডলারের ভ্যালুকে ১৫ বছর পরও যদি ১ লাখেই ধরে রাখতে চান, তাহলে হয়তো সে সময় আপনার ২ লাখ টাকা বা ডলার লাগবে। কিন্তু স্বর্ণে বিনিয়োগ করে রাখলে তার দাম যদি বেড়ে কমপক্ষে ২ লাখ হয়, তাহলে আপনি কিন্তু কোন পরিশ্রম ছাড়াই ১৫ বছর পরও আপ্নারর টাকা বা ডলারের ভ্যালু ধরে রাখতে পারবেন।
যদিও বাস্তবে স্বর্ণের দাম আরও অনেক বেশি বাড়ে এবং এতে করে বিনিয়োগকারীদের ইনফ্লেশন কাভার হয়েও বেশ ভাল পরিমাণে ক্যাপিটাল গেইনও হয়।
মনে রাখতে হবে, সোনা বা স্বর্ণের দাম সময়ের সাথে সাথে গড়ে বাড়তে থাকে। আর এটার দাম যখন কমে, তখনো খুব বেশি হারে কমে না, তবে বাড়ার সময় হার অনেক বেশি থাকে। তাই কমা-বাড়ার খেলা শেষে দেখা যায়, স্বর্ণের দাম আসলে দিনে দিনে বেড়েই চলে।
এগুলো হচ্ছে স্বর্ণে বিনিয়োগের বেসিক কারণ, যার জন্য সারা বিশ্বেই শুধু ব্যাক্তি মানুষজনই নয়, সকল দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক গুলোও তাদের অর্থের কিছু অংশ সারা বছরই স্বর্ণে বিনিয়োগ করে থাকে।
কিভাবে স্বর্ণে বিনিয়োগ করতে হয়?
স্বর্ণে বিনিয়োগের জন্য আপনাকে শতভাগ বিশুদ্ধ স্বর্ণ কিনতে হবে। ভেজাল থাকলে চলবে না। এরকম স্বর্ণ সব দোকানে পাওয়া যায় না।
বিনিয়োগযোগ্য সোনা বা স্বর্ণ বিক্রি করে এমন কোন এক্সচেঞ্জ হাউজ থেকে তা কিনতে হবে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এধরণের বহু এক্সচেঞ্জ হাউজ আছে, যারা বিনিয়োগকারীদের কাছে শতভাগ বিশুদ্ধ স্বর্ণ বিক্রি করে।
এসব হাউস বিনিয়োগের জন্য সোনার বার (Bar) এবং কয়েন (Coin) আকারে বিশুদ্ধ স্বর্ণ কেনা-বেচা করে থাকে। আবার এই একই এক্সচেঞ্জ হাউজ গুলোই আবার বিনিয়োগ কারীদের কাছ থেকে বিশুদ্ধ স্বর্ণ কিনেও নেয়।
অর্থাৎ স্বর্ণে বিনিয়োগ করতে চাইলে আপনি একই জায়গা থেকেই কেনা এবং বেচা দুটোই করতে পারবেন।
স্বর্ণ কেনা এবং বেচার মধ্যে দামের পার্থক্য কেমন হয়?
সাধারণত পৃথিবী জুড়ে বিনিয়োগযোগ্য সোনা বা স্বর্ণ কেনা-বেচার এক্সচেঞ্জ হাউজ গুলো তাদের ক্রয়-বিক্রয়ের মধ্যে ৩% স্প্রেড রাখে। মানে তারা বাজারের যে দামে গ্রাহকের কাছে স্বর্ণ বিক্রি করে, তার থেকে ৩% কম দামে সেটা গ্রাহকের কাছ থেকে কিনে নেয়।
অর্থাৎ, আপনি যদি এখনই ১ লাখ ডলারের স্বর্ণ কিনে এখনই আবার বেচতে যান, তাহলে ৯৭ হাজার ডলার পাবেন।
কিন্তু ৭ দিন পর যদি সেই একই পরিমাণ স্বর্ণের দাম বেড়ে ২ লাখ ডলার হয়, তখন যদি আপনি আগের ১ লাখে কেনা স্বর্ণ বেচতে যান, তাহলে পাবেন ১ লাখ ৯৬ হাজার ডলার।
এভাবে শুধু দাম বাড়লেই স্বর্ণে বিনিয়োগকারীরা লাভ করতে পারে।
দাম না বাড়লে সোনা বা স্বর্ণ থেকে লাভ করার আর কোন উপায় নাই, কেননা স্বর্ণ বাচ্চা দেয় না। আবার এটাকে সংরক্ষণ করার জন্য নিরাপত্তা জনিত খরচও যোগ হয়।
তাই স্বর্ণে বিনিয়োগ থেকে লাভ করতে হলে, এর দাম পর্যাপ্ত পরিমাণে না বাড়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে।
গহনা কিনে কি স্বর্ণে বিনিয়োগ করা যায়?
না, গহনা কিনে স্বর্ণে বিনিয়োগ করা যায় না। কেননা, প্রথমত গহনা শতভাগ বিশুদ্ধ স্বর্ণ দিয়ে তৈরী হয় না, এতে অন্য ধাতু মেশাতে হয় গহনা বানানোর জন্য।
দ্বিতীয়ত, গহনা কেনা এবং বেচার মধ্যে স্প্রেড অনেক বেশি থাকে। সারা পৃথিবীতে গড়ে এই স্প্রেড ১৩-১৭%, যেটা অনেক বেশি।
শুধু তাই নয়, গহনার ক্ষেত্রে অনেক হিডেন চার্জও থাকে, যা বেচতে গেলে ফেরত পাওয়া যায় না। যেমন গহনা তৈরির মজুরি বা খরচ, দেশে দেশে গহনা বিক্রির উপর সরকারি ভ্যাট, ট্যাক্স ইত্যাদি।
এসব মিলিয়ে গহনা কিনতে গেলে অনেক খরচ হয়ে যায়, কিন্তু বেচতে গেলে তা আর ফেরত পাওয়া যায় না। বেচতে গেলে শুধু গহনাতে থাকা প্রকৃত স্বর্ণের পরিমাণই বেচা যায়, যার স্প্রেডও আবার অনেক বেশি।
স্বর্ণের দাম কমপক্ষে কত বাড়লে বিনিয়োগকারীদের লাভ শুরু হয়?
বিনিয়োগকারীদের লাভ করার জন্য সোনা বা স্বর্ণের দাম সাধারণত কমপক্ষে ৩% এর বেশি বাড়তে হয়। কেননা দুনিয়াব্যাপী বিশুদ্ধ স্বর্ণের দামের স্প্রেড ৩%। তবে স্বর্ণ সংরক্ষণের নিরাপত্তা খরচ হিসাব করলে এই হার আরও বাড়তে হবে, না হলে লোকসান হবে।
তাই কমপক্ষে ৩% এর বেশি দাম বাড়লে বিনিয়োগকারীরা সেখান থেকে লাভ করতে পারে, যদি বিশুদ্ধ স্বর্ণে বিনিয়োগ করা হয়।
আর গহনায় বিনিয়োগ করলে দাম কমপক্ষে কত বাড়লে লাভ করা সম্ভব তা বলা মুশকিল। কেননা এর স্প্রেড অনেক বেশি এবং হিডেন চার্জও অনেক।
তবে মজুরী, সরকারি ভ্যাট ট্যাক্স, সংরক্ষণ খরচ ইত্যাদি সহ স্প্রেড হিসাবে নিলে বলা যায়, এক্ষেত্রে কমপক্ষে ৩৫% দাম না বাড়লে গহনা বেচে লাভ করা খুবই কঠিন।
আর এই পরিমাণ দাম বাড়তে অনেক লম্বা সময়ের প্রয়োজন। আর এ কারণেই গহনায় কেউ বিনিয়োগ করে না। যারা গহনা কেনে, তারা মূলত তা ব্যবহার করার জন্যই কিনে থাকে।
বাংলাদেশে স্বর্ণে বিনিয়োগ করা আসলে কতটা লাভজনক?
এবারে আসুন বাংলাদেশে স্বর্ণে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আসলে বাস্তব অবস্থাটা কেমন, সেটা আলোচনা করি। উপরে যা কিছু জানলেন, সেগুলো সব ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটের জন্য প্রযোজ্য, এই বাংলাদেশের জন্য নয়। কেননা এখানে সবকিছুই চলে উল্টা নিয়মে!
বাংলাদেশে স্বর্ণে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রথম সমস্যা হল, এখানে বিনিয়োগ উপযোগি বিশুদ্ধ স্বর্ণ খুঁজে না পাওয়া! কেননা অন্যান্য দেশের মত এদেশে বিনিয়োগযোগ্য স্বর্ণ কেনা-বেচার জন্য তেমন কোন এক্সচেঞ্জ হাউস নেই।
গহনার দোকান থেকে বিনিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় শতভাগ বিশুদ্ধ স্বর্ণের বার এবং কয়েন কিনতে পাওয়া যায় না।
তবে বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি কিছু প্রতিষ্ঠানকে এরকম বিশুদ্ধ স্বর্ণ আমদানী, রিফাইন এবং কেনা-বেচার লাইসেন্স দিয়েছে বলে জানা যায়, যেখান থেকে বিনিয়োগযোগ্য স্বর্ণের বার এবং কয়েন কেনা সম্ভব।
তবে এগুলো এখনও ব্যাক্তি বিনিয়োগের জন্য হাতের কাছে গড়ে ওঠে নি। কবে তা সহজ প্রাপ্য হবে, সেটাও আন্দাজ করা কঠিন।
বাংলাদেশে স্বর্ণ কেনা-বেচার স্প্রেড কেমন?
বাংলাদেশে গহনা কেনা-বেচার ক্ষেত্রে স্প্রেড হচ্ছে গড়ে ২০% (সম্প্রতি কমিয়ে ১৫% করার একটা খবর এসেছে অবশ্য)। এই হার কিছুটা হলেও ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটের সাথে সামঞ্জস্য পূর্ণ।
কিন্তু বিনিয়োগের জন্য ব্যবহৃত বিশুদ্ধ স্বর্ণের স্প্রেডও বাংলাদেশে ২০%, যেটা একেবারেই অযৌক্তিক এবং পৃথিবীর অন্যান্য দেশ থেকে অনেক বেশি। কেননা ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে এটা মাত্র ৩%।
বাংলাদেশের একটি স্বর্ণ বার এবং কয়েন বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানে আমি নিজে যোগাযোগ করে জেনেছি, তারা বিনিয়োগের বিশুদ্ধ স্বর্ণের ক্ষেত্রেও ২০% স্প্রেড ব্যবহার করে, যেটা একরকম অমানবিক।
অন্যদিকে বাংলাদেশের ভেতরে এসব বিশুদ্ধ সোনা বা স্বর্ণের বার এবং কয়েন কেনার সময় মজুরি বা নির্মাণ খরচ দিতে না হলেও ৫% হারে ভ্যাট-ট্যাক্স দিতে হয়। যার ফলে দেশের বাজারে স্বর্ণে বিনিয়োগ করতে অন্য দেশ থেকে বেশি পূঁজি লাগে।
মানে বাংলাদেশের ভেতরে আপনি যদি ভ্যাট-ট্যাক্স সহ এরকম বিশুদ্ধ স্বর্ণের বার বা কয়েন ১ লাখ টাকায় কিনে সাথে সাথেই আবার সেখানেই বিক্রি করেন, তাহলে আপনি পাবেমাত্র ৭৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ এদেশে স্বর্ণে বিনিয়োগ করলে আপনার ২৫% টাকা (২০% স্প্রেড + ৫% ভ্যাট-ট্যাক্স) সাথেই হারাতে হবে।
এখন আপনি যদি এদেশে সোনা বা স্বর্ণ কিনে রেখে দেন, তাহলে সেখান থেকে লাভ করার জন্য আপনাকে স্বর্ণের দাম কমপক্ষে ২৫% এর বেশি বাড়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। যেটা অনেক লম্বা সময়ের ব্যাপার
এরসাথে আছে আবার নিরাপদে স্বর্ণ সংরক্ষণের খরচ।
মোট কথা, বাংলাদেশের ভেতরের বর্তমান সিস্টেমের কারণে এদেশে আপনি স্বর্ণে বিনিয়োগ করে স্বাভাবিকভাবে লাভ করতে পারবেন না, যদি না আপনি অনেক লম্বা সময় অপেক্ষা করতে পারেন অথবা স্বর্ণের দাম কোন কারনে হঠাত এক ধাক্কায় ২৫% এর বেশি বেড়ে যায়।
তাই বাংলাদেশে স্বর্ণে বিনিয়োগের আগে সবকিছু খুব ভালভাবে যাচাই-বাছাই করে তারপর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
বি.দ্রঃ এ ধরনের তথ্যগুলি সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হতে পারে। তাই পাঠকের পাঠকালীন সময়ের সাথে পোস্টের তথ্যের পার্থক্য থাকতে পারে। ডিসক্লেইমার জানতে এবং পোস্ট ব্যবহারের আগে শর্তাবলী দেখে নিন।
এই লেখাতে নতুন কোন তথ্য নেই। বেশ কয়েক বছর ধরে স্বর্ণ নিয়ে প্রতিবেদন করার কারণে কিছু খোঁজ-খবর রাখি। তাই লেখাটা পড়ে নতুন কিছু পেলাম না।
উত্তরমুছুনধন্যবাদ। এটা যারা স্বর্ণে বিনিয়োগের ব্যাপারে কিছুই জানে না, তাদের জন্য বেশ উপকারি।
মুছুনজেলা পর্যায়ে লাইন্সধারী স্বর্ণের বিশুদ্ধ কয়েন কোথায় বিক্রি করে সেটা কিভাবে খোজ নিবো??
উত্তরমুছুন