সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

এ যুগের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যেভাবে কর্মীদের বেতন নির্ধারণ করে

Salary Determination
আপনি কি জানেন, বেসরকারি চাকরিতে কিভাবে আপনার বেতন নির্ধারণ করা হয়? 
নিয়োগকর্তা বা কোম্পানিগুলো ঠিক কি পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত নেয়, আপনার বেতন কত হবে?


কেন একই যোগ্যতা থাকার পরও ভিন্ন ভিন্ন কোম্পানি ভিন্ন ভিন্ন অংকের বেতন দেয়? কিভাবে আপনার চেয়ে ১০ বছরের ছোট ছেলেটা আপনার চেয়ে বেশি বেতনে জয়েন করল?


বেতনের ক্ষেত্রে সিনিয়রিটি নাকি দক্ষতা, কোনটিকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়?


এসব প্রশ্নের  উত্তর নিয়েই আজকের এই পোস্ট।  আজকে এখানে আমি ব্যাখ্যা করেছি বেতন নির্ধারণের মূল ৫ টি ফ্যাক্টর, যেগুলো বেতন নির্ধারণের ক্ষেত্রে সারাবিশ্বেই সাধারনভাবে চর্চা করা হয়।


কোন একটি কোম্পানিতে কার বেতন কত হবে, সেটা আসলে নির্ভর করে অনেকগুলো ফ্যাক্টরের ওপর। আর নিয়োগকারী কোম্পানি কোন ফ্যাক্টরকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে সেটাও আপনার বেতনের অংকে প্রভাব ফেলতে পারে।


যেকারনে একই সমান অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকার পরও দুটি ভিন্ন কোম্পানিতে দু’জনের আলাদা অংকের বেতন হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক।


তবে একটি আদর্শ কোম্পানিতে সাধারণত কিভাবে কোন এমপ্লোয়ির বেতন নির্ধারণ করা হয়, সেটা জানা থাকলে ব্যাপারটা বুঝতে সবার সুবিধা হবে। আসুন দেখা যাক কিভাবে সেটা করা হয়।


ফ্যাক্টর # ১

কোম্পানির ব্রান্ড ভ্যালু এবং ব্যবসার সুনাম


যেকোন কোম্পানির জন্যই ব্রান্ড ভ্যালু এবং মার্কেটে তাদের ব্যবসার সুনাম একটি অমুল্য সম্পদ।


এজন্যই আপনার যোগ্যতা নয়, বরং বেতন নির্ধারণের ক্ষেত্রে বড় কোম্পানিগুলো প্রথমেই বিবেচনা করে নিজেদের ব্রান্ড ভ্যালু এবং বাজারে তাদের সুনাম কতটা, সেটা।


উচ্চ ব্রান্ড ভ্যালু এবং বাজারে সুনামধারি কোম্পানিগুলো খুব সহজেই বাজারের সেরা কর্মীদের আকর্ষণ করতে পারে। 


এমনকি অপেক্ষাকৃত কম বেতনেও অনেকেই এইসব কোম্পানিতে কাজ করতে রাজি থাকে।


এই  ক্ষেত্রে বেতনের টাকার অংক নয়, বরং নামধারি বড় কোম্পানিতে কাজ করার সম্মানটাই বড় হয়ে দেখা দেয়।


আর কোম্পানিগুলোও এই বিষয়টি জানে। সেকারণে, বড় কোম্পানিগুলো বেশি বেতন দিয়ে নয়, বরং নিজেদের ব্রান্ড এবং সুনাম বাড়িয়ে বাজারের সেরা কর্মীদের সবসময় আকর্ষণের চেষ্টা করে।


অন্যদিকে, সেরা কর্মী আকর্ষণের জন্য অন্যান্য কোম্পানিগুলোর প্রধান অস্ত্র হচ্ছে আকর্ষণীয় অংকের বেতন।


আর সেটা করতে গিয়ে অনেক সময় তারা নিজেদের নির্ধারিত রেঞ্জের চেয়েও বেশি বেতন অফার করে।


যেকারনে, বাস্তব জীবনেই দেখতে পাবেন, অনেক মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির চেয়ে লোকাল কোম্পানিগুলো বেশি বেতন অফার করছে।


আর একারনেই, একই সমান যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতা নিয়েও দুটি ভিন্ন কোম্পানিতে দু’জনের বেতন দুই রকমের হয়।


আপনি হয়ত কোন নামধারি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে কাজ করেন, কিন্তু আপনারই বন্ধু লোকাল কোম্পানিতে কাজ করেও কিন্তু ঠিকই আপনার চেয়ে বেশি বেতন পায়! আর কিভাবে এটা সম্ভব হচ্ছে, তা নিশ্চয় এতক্ষণে বুঝে গেছেন!


ফ্যাক্টর # ২

বাজারে আগ্রহী কর্মীর সংখ্যা এবং চাহিদা


এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। আপনি যে শহরে কাজ করতে চান, যদি সেখানে চাকরির চাহিদার তুলনায় কর্মীর যোগান বেশি হয়, তাহলে আপনি খুব বেশি বেতন পাবেন না।


বেকারত্ব বেশি এমন দেশ বা শহরের জন্য এটা একটা কমন সমস্যা।


শহরে যদি কর্ম উপযোগী ট্যালেন্টের সংখ্যা অনেক বেশি হয় আর সে তুলনায় পর্যাপ্ত পরিমাণে যদি চাকরির সুযোগ সৃষ্টি না হয়, তাহলে চাকরি দাতার হাতে অনেক অপশন চলে আসে।


চাকরিদাতা তখন অপেক্ষাকৃত কম বেতনেই চাকরি করতে ইচ্ছুক এমন অনেক লোককে পেয়ে যায়।


তাই এরকম পরিস্থিতিতে বেশি বা প্রিমিয়াম বেতনে সাধারণত কেউ চাকরি অফার করে না।


আবার এর উল্টোটাও সত্যি।


ধরুন, আপনার শহরে যদি এমন অবস্থা হয়, যে শহরে যে কজন হিসাববিদ আছে তার তুলনায় সেখানকার কোম্পানিগুলোতে হিসববিদের চাহিদা অনেক বেশি আছে, তাহলে বুজতেই পারছেন, এমন পরিস্থিতিতে কি ঘটবে।


হ্যা, ঐ শহরে হিসাববিদরা অনেক বেশি ডিমান্ডিং হবে এবং তারা অনেক বেশি বেতনে চাকরির সুযোগ পাবে।


এমনকি এক্ষেত্রে অনেক হিসাববিদ হয়ত কোম্পানিগুলোর সাথে বেতন নিয়ে দেন-দরবার করারও সুযোগ পাবে, আর বাগিয়ে নেবে প্রিমিয়াম স্যালারি।


এখন আপনার অবস্থা পর্যালোচনা করে দেখুন, আপনি কোন অবস্থায় আছেন। আপনার কাজের ক্ষেত্র কি ওভার পপুলেটেড হয়ে পড়েছে? হয়ে থাকলে বিকল্প চিন্তা করুন অথবা নিজের দক্ষতা বাড়ান।


ফ্যাক্টর # ৩

অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা


শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতা আপনার কাজ পাওয়ার জন্য অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ তবে বেতন নির্ধারণের ক্ষেত্রে অতটা নয়।


কেননা আপনার মত একই রকম শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন কর্মী সব সময়ই অনেক থাকবে কারণ প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একই সঙ্গে অনেককে একই ডিগ্রি দিচ্ছে।


তবে অভিজ্ঞতার কারণে আপনার বেতনের হের-ফের হতে পারে। কেননা সবসময় নির্দিষ্ট অভিজ্ঞতা সম্পন্ন লোক পাওয়া যায় না।


আবার আপনার দেশে বা শহরে যদি কোন নির্দিষ্ট ডিগ্রি ধারি চাকরি প্রার্থীর সংখ্যা বেড়ে যায়, এই যেমন ধরেন এমবিএ ডিগ্রি, তাহলেও সেই ডিগ্রির চাহিদা সম্পন্ন চাকরিতে কম বেতনের অফার থাকবে।


তবে কারও যদি অতি উচ্চ মানের ডিগ্রি থাকে, যেমন পিএইচডি, তাহলে সে বেতন নিয়ে দর- কষাকষির সুযোগ নিতে পারে।


ফ্যাক্টর # ৪

পারফর্মেন্স


বেতনের ক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হচ্ছে পারফর্মেন্স । এর আবার দুটি দিক রয়েছে।


প্রথমটি হচ্ছে, আপনি যে কোম্পানিতে চাকরি করতে চাচ্ছেন বা করছেন, সেই  কোম্পানির ব্যবসায়িক পারফর্মেন্স।


কোম্পানি যদি ব্যবসায় ভাল করে, তাহলে অবশ্যই কর্মীদের ভাল বেতন অফার করে। কিন্তু কোম্পানির নিজের পারফর্মেন্সই যদি খারাপ হয়, তাহলে সেই কোম্পানি থেকে ভাল বেতন আশা না করাই ভাল।


কোম্পানির ব্যবসায়িক পারফর্মেন্সের পর দেখা হয়, কর্মীর তথা আপনার নিজের পারফর্মেন্স। এক্ষেত্রে আপনি যদি চাকরিরত অবস্থায় থাকেন তাহলে কোম্পানি আপনার অতীত পারফর্মেন্স বিবেচনা করবে আপনার বেতন নির্ধারণের ক্ষেত্রে।


আর আপনি যদি একেবারে ফ্রেশার হন, তাহলে আপনার সম্ভাব্য উৎপাদনশীলতা বিবেচনা করে আপনাকে বেতন অফার করবে।


সুতরাং ভালো বেতনের চাকরি পেতে হলে, আপনাকে ভালো ব্যবসায়িক পারফর্মেন্সের কম্পানিতে যেতে হবে।


ফ্যাক্টর # ৫

জীবন যাপনের ব্যয়


বেতন নির্ধারণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বিতর্কিত ফ্যাক্টর হচ্ছে এটি।


অনেকে কোম্পানিই বিশেষ করে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে এই ফ্যাক্টরটির অপব্যবহার করার অনেক অভিযোগ আছে।


Things to Consider for Determining Salary
আপনি যে শহরে চাকরি করেন বা করবেন, সেই শহরের জীবনযাত্রা ব্যয়ের সাথে মিলিয়েই আপনার বেতন নির্ধারণ হবে, সাধারনভাবে সেটাই প্রচলিত নিয়ম।


সেকারনেই, বিশ্বের ব্যয়বহুল শহরগুলোতে অপেক্ষেকৃত বেশি বেতন পাওয়া যায়।


কিন্তু মাঝারি মানের ব্যয়বহুল শহরগুলোতে জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক সময়ই কোম্পানিগুলো সঠিকভাবে বিবেচনা করে না।


সেকারনে এই শহরগুলোতে চাকরিরত অনেকেই শহরের ক্রমবর্ধমান জীবন-যাত্রার ব্যয়ের সাথে তাল মেলাতে হিমশিম খায়।


আবার কোন শহরের জীবনযাত্রার ব্যয় কত, সেটা নির্ধারণকারী কতৃপক্ষ যদি হিসেবে ভুল করে বা সঠিক ভাবে নিয়মিত হিসাব প্রদান না করে তাহলে এই ফ্যাক্টরটির অপব্যবহারের সুযোগ কোম্পানিগুলোর হাতে চলে আসে।


অন্যদিকে কোন দেশে যদি জীবনযাত্রা ব্যয় খুব ঘনঘন ওঠানামা করে তাহলেও কোম্পানিগুলোর জন্য তা সমস্যা হয়ে দেখা দেয় বেতন নির্ধারণের ক্ষেত্রে। 


আজকে এপর্যন্তই। আপনার যদি বেতন নির্ধারণের আরাও কোন ফ্যাক্টরের কথা যদি জানা থাকে তাহলে সেটা আমাদের কমেন্ট করে জানিয়ে দিন।


বিষয়টি ভালভাবে বুঝতে নিচের ভিডিওটি দেখে নিতে পারেন।



বি.দ্রঃ এ ধরনের তথ্যগুলি সময়ে সময়ে পরিবর্তন হয়ে থাকে। তাই বর্তমান সময়ের একচুয়াল তথ্যের সাথে পোস্টের তথ্যের পার্থক্য থাকতে পারে। ডিসক্লেইমার জানতে এবং পোস্ট ব্যবহারের আগে শর্তাবলী দেখে নিন।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টগুলি

Provident Fund এবং Gratuity আসলে কি? কিভাবে প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্রাচ্যুইটির হিসাব করা হয়?

চাকরিতে বেতনের বাইরে আরও যেসব আর্থিক সুবিধাদি থাকে, তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে প্রভিডেন্ট ফান্ড ( Provident Fund ) এবং গ্রাচ্যুইটি ( Gratuity )। কিন্তু এসব বিষয়ে অনেকেরই তেমন কোন সুস্পষ্ট ধারনা নেই। অনেকেই জানেন না, প্রভিডেন্ট ফান্ড (PF) এবং গ্রাচ্যুইটি (Gratuity) আসলে কি? এগুলো কিভাবে কাজ করে আর এখান থেকে কি ধরেনর সুবিধা পাওয়া যায়? প্রত্যেক চাকরিজীবীর জানা থাকা দরকার যে, কিভাবে প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্রাচ্যুইটির হিসাব করা হয়? কিন্তু বাস্তবতা হল, নিজ চাকরিতে এসব সুবিধা থাকার পরও অনেকই বিষয়গুলো ভাল করে বোঝেন না। অথচ একজন স্মার্ট ক্যারিয়ারিস্ট হিসেবে প্রত্যেকের উচিৎ চাকরি সংশ্লিষ্ট প্রতিটি সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে ভাল করে জানা। আবার যারা চাকরিপ্রার্থী, তারাও এই বিষয় গুলো তেমন একটা বোঝে না। বিভিন্ন চাকরির বিজ্ঞাপনে প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্রাচ্যুইটি সুবিধার কথা লেখা দেখে অনেকেই কিছু না বুঝেই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে, যা অনেক সময়ই তাদের প্রত্যাশার সাথে মেলে না। যেহেতু প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্রাচ্যুটি হচ্ছে বেতনের বাইরে প্রাপ্ত আর্থিক সুবিধা, তাই এগুলো সম্পর্কে ভাল করে জানাটা জরুরী। তাই এসব বিষয় নিয়েই

যে ১০টি দক্ষতা থাকলে চাকরি পেতে কারও রেফারেন্স লাগে না

বলুন দেখি, চাকরি পেতে কোন জিনিসটি আপনার অবশ্যই থাকতে হবে? টাকা-পয়সা, মামা-চাচা-খালু, নাকি বড় বড় চটকদার ডিগ্রি?  সত্য বলতে আসলে এসব কিছুই না! যে কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েই আপনি মানানসই একটি ভাল চাকরি অনায়াসেই পেতে পারেন, যদি আপনার মধ্যে একটি মাত্র জিনিস থাকে! আর সেই জিনিসটির নাম হচ্ছে দক্ষতা বা স্কিল। এ যুগে চাকরি পেতে হলে একজন প্রার্থীর মধ্যে বেশকিছু দক্ষতা বা Skill অবশ্যই থাকতে হবে। হ্যা, মামা-চাচা-খালু কিংবা ঘুষ দেয়ার জন্য টাকা-পয়সা নয়, এই দক্ষতাই হচ্ছে এযুগে চাকরি পাওয়ার একমাত্র যোগ্যতা। আপনার মধ্যে যদি উপযুক্ত দক্ষতা থাকে, তাহলে চাকরি নিজেই আপনাকে খুঁজে নেবে। আপনাকে আর চাকরির পিছনে দৌড়াতে হবে না। কিন্তু আপনার মধ্যে যদি সময়ের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষতা না থাকে তাহলে, আপনি যতই জুতা ক্ষয় করেন না কেন, সহজে চাকরি পাবেন না। তাই সময়ের চাহিদা অনুযায়ী উপযুক্ত দক্ষতা বা Skill অর্জনের দিকে মনোযোগ দিন।  আর এজন্য ঠিক কি কি দক্ষতা এই যুগের চাকরির জন্য প্রয়োজন, সেটি জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, কিভাবে চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে এবং কিভাবে ভাল একটি চাকরি পাওয়া যায়, সে সম্পর্কে শুরু থেকেই আপনার পর

শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ শুরুর প্রথম পাঠ

কিভাবে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে ব্যবসা করতে হয়, সেটা অনেকেরই অজানা। বিশেষ করে নতুনদের জন্য শেয়ার বাজারে আগমনের পথটা সব সময়ই কঠিন। কেননা, শেয়ার বাজারে শুরুটা ঠিক কিভাবে করতে হয়, সে সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সবসময়ই অপ্রতুল।  শেয়ার বাজার বা স্টক মার্কেট সবসময়ই একটি উচ্চ ঝুঁকপূর্ণ জটিল জায়গা। তাই এখানে আসার আগে প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু পড়াশুনা করে নূন্যতম জ্ঞান নিয়ে আসা উচিত। তা না হলে, শেয়ার বাজারে এসে টাকা খোয়ানো কেউ ঠেকাতে পারবে না!  তবে শুরুতেই ভয় পাওয়ার কিছু নেই! কেননা বিখ্যাত বিনিয়গকারী পিটার লিঞ্চ যেমনটা বলেছেন, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের জন্য পৃথিবীর সব মানুষেরই যথেষ্ট বুদ্ধি-বিবেচনা বোধ রয়েছে। ক্লাস ফাইভের অংক করতে জানেন, এমন লোকও শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করার জন্য উপযুক্ত। তবে কথা আছে। শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের জন্য একজন বিনিয়োগকারীর অবশ্যই যথেষ্ট ধৈর্য, প্রচেষ্টা এবং পর্যাপ্ত সময় ব্যয় করার ইচ্ছা থকতে হবে। আর তাহলেই কেবল একজন বিনিয়গকারী সফল হওয়ার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবে।  তাই আজকের এই লেখায়, আমি শেয়ার  বাজারে বিনিয়োগ শুরু করার বেসিক ধাপ গুলো নিয়ে আলোচনা করব। এই বিষয় গুলো জানাটা সব বিনিয়ো

মাত্র ২ টাকা দিয়ে শুরু করে এক বছরেই লাখ টাকা জমানোর ক্রেইজি উপায়

টাকা জমানো মোটেই সহজ কোন কাজ নয়। অনেকেই নানাভাবে চেষ্টা করেও টাকা জমাতে পারে না। তাই টাকা জমানোর এই কঠিন  কাজটিকে সহজ করতে পৃথিবীতে আবিষ্কৃত হয়েছে নানা তত্ত্ব এবং উপায়। সেখান থেকেই আজ আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব এমন  একটি উপায়, যেটা দিয়ে টাকা জমানোর কাজটা হয়ে যাবে অনেক সহজ, আর এটার শুরুটা করা যাবে মাত্র ২ টাকা দিয়ে। তবে এই পদ্ধতিটির আবিষ্কারক কে, সেটা আমার সঠিকভাবে জানা নেই, তাই কারও নাম উল্লেখ করতে পারলাম না। তবে আপনাদের কারও যদি জানা থাকে, তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। চলুন তাহলে আলোচনা শুরু করি। মাত্র ২ টাকা দিয়ে জমানো শুরু করে কিভাবে ১ বছরেই লাখপতি হওয়া যায়?  মাত্র ২ টাকা দিয়ে জমানো শুরু করে ১ বছরে লাখপতি হওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমে যে কাজটি করতে হবে, সেটি হল, আপনাকে আগে একটা নির্দিষ্ট তারিখ বেছে নিতে হবে, যেদিন থেকে আপনার একবছর গণনা শুরু হবে। বছরের যে কোন দিন থেকে আপনি শুরু করতে পারেন, তবে সেখান থেকে একটানা ৩৬৫ দিনের হিসাব আপনাকে ঠিক ভাবে রাখতে হবে। দ্বিতীয়ত, এ পদ্ধতির সফলতার জন্য আপনার একাগ্রতা এং নিষ্ঠার দরকার হবে। মাঝপথে ছেড়ে যাওয়া যাবে না। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ঠিক ভাবে লেগে থ

আয় যেমনই হোক, সঞ্চয় বাড়ানোর সেরা জাপানি কৌশলে টাকা জমবে সহজে

সবাই টাকা জমাতে চায়, তবে বাস্তবতা হল, সবার টাকা জমানোর ক্ষমতা কিন্তু সমান নয়। বেশি আয় করলেই যে বেশি সঞ্চয় করতে পারবেন, বিষয়টা মোটেই তেমন নয়। সেকারণে দেখা যায়, অনেকেই অল্প আয় করেও অনেক টাকা জমিয়ে ফেলে, আবার অনেকে প্রচুর আয় করেও এক পয়সাও জমাতে পারে না!  তাই সঞ্চয়ের জন্য সবার আগে জানতে হবে, আপনার আসলে টাকা জমানোর প্রকৃত ক্ষমতা কতটুকু? আর এটা জানার জন্য আমরা ব্যবহার করব শতাধিক বছরের পুরনো জাপানি পদ্ধতি, যার নাম 'কাকিবো' (জাপানি ভাষার উচ্চারণ ভিন্ন হতে পারে) । এই জাপানি পদ্ধতিতে আপনি মাত্র ৪টি সহজ প্রশ্নের উত্তর দিয়েই যাচাই করতে পারবেন, আপনার আসলে সঞ্চয়ের ক্ষমতা কতটুকু। শুধু তাই নয়, কাকিবো  আপনার সঞ্চয়রে সামর্থ্য কিভাবে বাড়িয়ে তোলা যায়, সে পদ্ধতিও বাতলে দিবে।   কাকিবো পদ্ধতির জন্ম  ১৯০৪ সালে, জাপানে। পারসোনাল ফিন্যান্স বা ব্যক্তিগত বাজেট ম্যানেজম্যান্টের জন্য এইপদ্ধতিটি আবিষ্কার করেন, জাপানি নারী সাংবাদিক হানি মটোকো।   অনেকেই কাকিবোকে টাকা জমানোর একটি উপায় বলে মনে করেন, যা আসলে সঠিক নয়। সত্য কথা হল, কাকিবো আসলে টাকা জমানোর কোন পদ্ধতি নয়, এটা হল, আপনার টাকা জমানোর প্রকৃত ক্ষমতা বের

শেয়ার ব্যবসায় মুনাফা করার অব্যর্থ টেকনিক

শেয়ার বাজার বা Stock Market - এ বিনিয়োগ করে ধরা খেতে না চাইলে আপনাকে অবশ্যই কিছু বেসিক নিয়ম মেনে বিনিয়োগ করতে হবে। কেননা, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে যারা ধরা খেয়েছেন, তাদের একটা বড় অংশ এই মার্কেটে বিনিয়োগের বেসিক নিয়ম গুলো জেনেই বিনিয়োগ করে ফেলেছিলেন। শেয়ার বাজার একটি উচ্চ ঝুকি পূর্ণ স্পর্শকাতর জায়গা। তাই এখানে বিনিয়োগ করতে হয় বুঝে শুনে, গুজবের উপর ভিত্তি করে নয়। শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের কিছু বেসিক নিয়ম আছে, যেগুলো বেশিরভাগ বিনিয়োগকারীই জানেন না অথবা বিনিয়োগের সময় সেগুলো প্রয়োগ করেন না। এরফলে তাদের বিনিয়োগ থেকে যায় ঝুঁকিপূর্ণ এবং বাজারের সামান্য উত্থান-পতনেই তাদের বিনিয়োগ নেমে আসে শুন্যের কোটায়। তাই শেয়ার বাজারে ভাল কোম্পানিতে দীর্ঘ মেয়াদে নিরাপদ এবং টেকসই বিনিয়োগ করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই বেশ কিছু বেসিক বিষয় মাথায় রাখতে হবে। কিন্তু কি সেই বিষয় গুলো? - এই নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে এই পোস্টে।  আজকের এই লেখায় আমি আপনাদের জানাব, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের এমন ৫ টি অব্যর্থ টেকনিক, যেগুলো না জেনে বিনিয়োগ করা কখনই উচিৎ হবে না। আর এই টেকনিক গুলো সার্বজনীন, অর্থাৎ এগুলো যেকোন দেশের যে

ক্রেডিট কার্ডের সুদ হিসাবের ভয়ঙ্কর পদ্ধতি এবং চক্রবৃদ্ধির সুদের ফাঁদ থেকে বাঁচার উপায়

আপনি মানেন আর না মানেন, এটা সত্যি যে, ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড (Credit Card) অনেকের জীবনেই ধ্বংস ডেকে এনেছে। ক্রেডিট কার্ডের উচ্চ সুদের ভয়ঙ্কর ঋণের ফাঁদে পড়ে অনেকের জীবনেরই আজ ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। এর অন্যতম একটি কারণ, ক্রেডিট কার্ডের সুদ হিসাবের ভয়ঙ্কর পদ্ধতি। অনেকেই জানেন না, ব্যাংক গুলোতে ঠিক কি পদ্ধতিতে ক্রেডিট কার্ডের সুদ হিসাব করা হয়? আবার ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা ও অসুবিধা গুলো আসলে কি, সেটাও অনেকে জানে না। অথচ একটু বুদ্ধি খাটিয়ে স্মার্টলি ব্যবহার করতে পারলেই কিন্তু Credit Card থেকে অনেক সুবিধা নেয়া যায়।  যাইহোক, ক্রেডিট কার্ড আসলে কি এবং Credit Card ব্যবহার করতে গিয়ে কেন এবং কিভাবে মানুষ চক্রবৃদ্ধি হারে সুদের গ্যাড়াকলে আষ্টেপৃষ্ঠে আটকে পড়ে, সেইসব রহস্যই ভেদ করার চেষ্টা করেছি আজকের এই পোস্টে।  Credit Card স্মার্টলি ব্যবহার করার জন্য এর সাথে সম্পর্কিত সকল তথ্য সঠিক ভাবে জানা প্রয়োজন। বিশেষ করে বিভিন্ন Bank- এর ক্রেডিট কার্ডের সুদের হার এবং নানা ধরনের চার্জ গুলো সম্পর্কে না জানলে বিপদে পড়ার সম্ভাবনা প্রায় শতভাগ। কেননা এই তথ্যগুলো না জানা কিংবা গুরুত্ব না দেয়ার কারণেই ক্রেডিট কার্ড মান

আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের মাধ্যমে সমাজে নিজের গুরুত্ব বাড়িয়ে তোলার উপায়

শুধুমাত্র বিপুল টাকা-পয়সা কিংবা সম্পদের পাহাড়ের মালিক হলেই কেউ অন্যের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে না। নিজেকে অন্যদের কাছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ করে তলার জন্য ব্যক্তির মধ্যে বিশেষ কিছু গুণ বা বৈশিষ্ট্য থাকতে হয়। এসব গুণ বা বৈশিষ্ট্য অর্জন করতে পারলেই কেবল আপনি নিজেকে অন্যের কাছে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে পারবেন।  জীবনে সফল হতে হলে, অবশ্যই নিজের গুরুত্ব বাড়াতে হবে এবং অন্যদের মাঝে নিজেকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে জায়গা করে নিতে হবে। আজকের পৃথিবীর সফল ব্যক্তি যারা, তারাও সফল হওয়ার অনেক আগে থেকেই নিজেদেরকে সমাজের কাছে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছেন, যা তাদেরকে আজকের এই পর্যায়ে আসতে সাহায্য করেছে।  জীবনে সফল হওয়ার জন্য কেউ যখন কাজ করতে থাকে, ঠিক তখন থেকেই তাকে নিজের গুরুত্ব বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হয়। তা না হলে পরবর্তীতে, নিজেকে সামজের অন্যদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলাটা অনেক কঠিন হয়ে যায়। তাই নিজেকে সবার মাঝে ধনী তথা সফল ব্যক্তিদের মত গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে চাইলে, এখন থেকেই আপনাকে কাজ শুরু করে দিতে হবে। কিন্তু কিভাবে নিজের মধ্যে ধনীদের মত আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব গড়ে তুলে নিজেকে সবার মাঝে গুরুত্বপূর্ণ করে

বাংলাদেশে স্বর্ণে বিনিয়োগ আসলে কতটা লাভজনক?

বাংলাদেশে সোনা বা স্বর্ণে বিনিয়োগ করা সত্যিকার অর্থেই আসলে কতটা লাভজনক এবং এদেশে  স্বর্ণ কিনে রেখে দিলে আপনার ভবিষ্যৎ কি  সেটা জানার জন্য সম্প্রতি আমি বেশকিছু খোঁজ-খবর করি এই ব্যাপারে।  এটা করতে গিয়ে দেখলাম, এই বিষয়টাতে বাংলাদেশে অনেক হিডেন ব্যাপার-স্যাপার আছে, যা সবার পক্ষে সাধারণভাবে জানা কখনই সম্ভব নয়।  এমনকি সোনা বা স্বর্ণ কিনতে গেলেও দোকানদাররা আপনাকে এসব কথা জানাবে না, কিন্তু যখনই বেচতে যাবেন, তখনই বুঝবেন স্বর্ণে বিনিয়োগ করাটা আপনার কতটা সঠিক কিংবা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল।  তাই  স্বর্ণ কিনে রেখে দিলে বাংলাদেশে আপনার ভবিষ্যৎ কি - সে বিষয়টি নিয়েই আজকে আলোচনা করব। তবে বিষয়টি ভালভাবে বোঝার জন্য, বাংলাদেশের বিষয়াদি আলাপের আগে, আসুন জেনে নেই, স্বর্ণে বিনিয়োগের কিছু বেসিক বিষয় এবং আন্তর্জাতিক মার্কেটে স্বর্ণে বিনিয়োগ করার পুরো চক্রটা ঠিক  কিভাবে  কাজ করে, সে সম্পর্কে।  কেন স্বর্ণে বিনিয়োগ করা হয়?  ডলার হোক কিংবা টাকা , যেকোন মুদ্রার মান বা ভ্যালু যখন কমতে থাকে , তখন সারা বিশ্বেই মানুষজন বিকল্প এসেট ক্লাস হিসেবে সোনা বা স্বর্ণের মত দামী ধাতুতে বিনিয়োগ করে। বিনিয়োগের জন্য দামী এবং প্রয়োজনীয় ধ