সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

Provident Fund এবং Gratuity আসলে কি? কিভাবে প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্রাচ্যুইটির হিসাব করা হয়?

What is Provident Fund and Gratuity in a Job
চাকরিতে বেতনের বাইরে আরও যেসব আর্থিক সুবিধাদি থাকে, তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে প্রভিডেন্ট ফান্ড (Provident Fund) এবং গ্রাচ্যুইটি (Gratuity)। কিন্তু এসব বিষয়ে অনেকেরই তেমন কোন সুস্পষ্ট ধারনা নেই।


অনেকেই জানেন না, প্রভিডেন্ট ফান্ড (PF) এবং গ্রাচ্যুইটি (Gratuity) আসলে কি? এগুলো কিভাবে কাজ করে আর এখান থেকে কি ধরেনর সুবিধা পাওয়া যায়?


প্রত্যেক চাকরিজীবীর জানা থাকা দরকার যে, কিভাবে প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্রাচ্যুইটির হিসাব করা হয়?


কিন্তু বাস্তবতা হল, নিজ চাকরিতে এসব সুবিধা থাকার পরও অনেকই বিষয়গুলো ভাল করে বোঝেন না। অথচ একজন স্মার্ট ক্যারিয়ারিস্ট হিসেবে প্রত্যেকের উচিৎ চাকরি সংশ্লিষ্ট প্রতিটি সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে ভাল করে জানা।


আবার যারা চাকরিপ্রার্থী, তারাও এই বিষয় গুলো তেমন একটা বোঝে না।


বিভিন্ন চাকরির বিজ্ঞাপনে প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্রাচ্যুইটি সুবিধার কথা লেখা দেখে অনেকেই কিছু না বুঝেই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে, যা অনেক সময়ই তাদের প্রত্যাশার সাথে মেলে না।


যেহেতু প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্রাচ্যুটি হচ্ছে বেতনের বাইরে প্রাপ্ত আর্থিক সুবিধা, তাই এগুলো সম্পর্কে ভাল করে জানাটা জরুরী।


তাই এসব বিষয় নিয়েই আজকের আলোচনা। আশাকরি এই পোস্টটি পড়ার পর প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্রাচ্যুইটি সম্পর্কে সবার একটি পরিষ্কার ধারনা তৈরি হবে।



প্রভিডেন্ট ফান্ড


এটি একটি কন্ট্রিবিউটরি বা অংশ গ্রহণ মূলক আর্থিক সুবিধা, যা ভালো যেকোন প্রতিষ্ঠানই তার কর্মীদের অফার করে থাকে।


আপনার প্রতিষ্ঠানে যদি প্রভিডেন্ট ফান্ড সুবিধা থাকে, তাহলে আপনি তাতে যোগ দিয়ে  সেখান থেকে উপকৃত হতে পারেন।


প্রভিডেন্ট ফান্ডে যোগ দিতে হলে একজন কর্মীকে সাধারণত কমপক্ষে ৬ মাস ঐ প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে হয়। তবে অনেক প্রতিষ্ঠানে যোগদানের শুরু থেকেই প্রভিডেন্ট ফান্ডে যুক্ত হওয়ার সুযোগ দেয়। আবার অনেক প্রতিষ্ঠান কমপক্ষে ২ বছর চাকরি না করলে এই সুযোগ দেয় না।


এখন আপনি যদি আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রভিডেন্ট ফান্ডে যোগ দেন, তাহলে প্রতিমাসে আপনার বেতন থেকে একটি নির্দিষ্ট অংশ সেখানে জমা রাখতে হবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, এই জমার পরিমাণ হয় মূল বেতনের ১০ শতাংশ।


তবে প্রতিষ্ঠান ভেদে এর কম বেশি হতে পারে। যেমন কিছু প্রতিষ্ঠানে এই হার ৭ শতাংশ আবার কোথাও ১৫ শতাংশ!


আপনার জমার হার যাই হোক না কেন, এই টাকার মালিক আপনি, এবং এটা আপনারই থেকে যাবে। আইনে সেই  সুরক্ষা দেয়া আছে।


এখানে জানার বিষয় হল, যেহেতু এটা একটা কন্ট্রিবিউটরি বা অংশিদারিত্বমূলক আর্থিক সুবিধা, তাই প্রতিমাসে আপনি যে পরিমাণ টাকা ফান্ডে জমা করবেন, আপনার চাকরিদাতাও একই পরিমাণ অর্থ প্রতিমাসে আপনার নামে সেই ফান্ডে জমা করবে।


অর্থাৎ আপনি যদি প্রতিমাসে ১ হাজার টাকা প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমা রাখেন, তাহলে, আপনার চাকরিদাতাও আপনার নামে আরও ১ হাজার টাকা জমা করবে। তারমানে আপনার জমা করা অর্থ আসলে জমার সাথে সাথেই দ্বিগুণ হয়ে গেল!


এভাবে প্রতিষ্ঠানের সব কর্মী একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমা করবে আর প্রতিষ্ঠানও একই পরিমাণ অর্থ দেবে। এতে করে খুব অল্প সময়েই বেশ বড় আকারের একটি ফান্ড দাঁড়িয়ে যায়।


কিন্তু এই ফান্ডের অর্থ কর্মীরা চাইলেই যখন তখন উঠিয়ে  নিতে পারে না। কেননা পুরো ব্যাবস্থাটি একটি আইন দ্বারা পরিচালিত হয়। 


প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থ আরও বাড়ানোর জন্য সেই ফান্ড কোন ঝুকি বিহীন নিরাপদ খাতে বিনিয়োগ করা হয়। এতে করে ফান্ডের আকার আরও বড় হয়।


পুরো সিস্টেমটি এভাবেই চলতে থাকে আর এটি পরিচালনার জন্য একটি ট্রাস্টি বোর্ড থাকে। এই ট্রাস্টি বোর্ড আবার গঠিত হয় প্রতিষ্ঠানের কর্মী এবং মালিক পক্ষের সমন্বয়ে। এরফলে উভয় দিক থেকেই প্রতিশ্রুত অর্থের যোগান এবং এর সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত হয়।


তো এই ফান্ড থেকে কিভাবে একজন কর্মী উপকৃত হয়?


প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে উপকৃত হওয়ার দুটি উপায় আছে। মনে রাখবেন, এটি একটি কল্যাণ ফান্ড এবং এর মুল উদ্দেশ্যই হচ্ছে ফান্ড সদস্যদের উপকার করা।


প্রভিডেন্ট ফান্ডের সবচেয়ে বড় প্রতিদান আপনি পাবেন, আপনার শেষ জীবনে অবসর নেয়ার সময়। সারা জীবন চাকরি করার পর, এই ফান্ড থেকে আপনি এককালীন অনেক বড় একটা অংকের অর্থ পাবেন যা আপনার অনেক উপকারে আসবে নিশ্চিতভাবেই।


আপনি একা সারা জীবন টাকা জমালে যত টাকা জমানো সম্ভব হত, প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে আপনি তার চেয়েও অনেক বেশি পরিমাণ অর্থ পাবেন। কেননা, এই ফান্ডে শুধু আপনার জমা করা টাকাই নয়, আপনার প্রতিষ্ঠানের দেয়া টাকা এবং বিনিয়োগ থেকে প্রাপ্ত মুনাফার একটা অংশও আপনি পাবেন।


আবার অবসর নেয়ার আগে , অর্থাৎ চাকরি কালীন সময়েও আপনি এই ফান্ড থেকে উপকৃত হতে পারেন। আপনি চাইলে এই ফান্ডে আপনি যে পরিমাণ টাকা জমা করেছেন, তার একটা অংশ ঋণ হিসেবে নিতে পারেন।


যেহেতু নিজের রেখে দেয়া অর্থই আপনি ঋণ হিসেবে নিচ্ছেন, তাই এই ঋণের সুদের হার অত্যন্ত কম হয়। প্রতিমাসে ঋণের কিস্তি দেয়ার মাধ্যমে আপনি তা একসময় শোধ করতে পারবেন। 


মনে রাখবেন, ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে আপনি শুধু নিজের জমা রাখা অংশের উপরই ঋণ পাবেন, আপনার পক্ষে প্রতিষ্ঠান যে অর্থ জমা করে  সেটা এবং বিনিয়গের মুনাফার অংশ থেকে আপনি ঋণ পাবেন না।


আর ঋণের কিস্তি চলার সময়ও আপনাকে নিয়মিত ভাবে প্রভিডেন্ট ফান্ডে আপনার নির্ধারিত মাসিক চাঁদা প্রদান করে যেতে হবে। 



গ্রাচ্যুইটি


এটি একটি এককালীন আর্থিক সুবিধা যা চাকরি ছেড়ে দিলে বা চাকরি থেকে অবসর নিলে পাওয়া যায়। এটা অনেকটা পশ্চিমা বিশ্বের রিডানডেন্সি পলিসির মত। 


তবে প্রভিডেন্ট ফান্ডের মত এক্ষেত্রে কাউকে নিজের পকেট থেকে কোন টাকা জমা রাখতে হয় না। গ্রাচ্যুইটির পুরো অর্থই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দেয়া হয়।


এখন আপনি কি পরিমাণ অর্থ গ্রাচ্যুটি হিসেবে পাবেন, সেটা নির্ভর করে আপনি কোন প্রতিষ্ঠানে কতদিন চাকরি করেছেন তার উপর।


যেসব প্রতিষ্ঠান তার কর্মীদের গ্রাচ্যুইটি সুবিধা দেয়, তারা সাধারণত প্রতিবছর চাকরি করার জন্য একজন কর্মীকে তার বিদায়বেলায় ৩০ দিনের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ প্রদান করে।


এই ৩০ দিনের বেতন হিসেব করা হয়, কর্মীর সর্বশেষ মাসের বেতনকে ভিত্তি ধরে।


অর্থাৎ আপনি চাকরিতে যোগদানের সময় যদি আপনার বেতন কমও থাকে, কিন্তু পরবর্তীতে বেড়ে যায়, তাহলেও আপনি ক্ষতি গ্রস্থ হবেন না, কেননা, আপনার গ্রাচ্যুইটি হিসেব হবে, আপনার সর্বশেষ মাসের বেতনের হিসেবে। 


এখন ধরুন আপনি কোন প্রতিষ্ঠানে ৫ বছর চাকরি করেছেন। আর সেখানে আপনার সর্বশেষ মাসের বেতন ১ লাখ টাকা। তাহলে ৫ বছর চাকরি করার জন্য আপনার গ্রাচ্যুইটি কত হবে বলুন দেখি?


অনেকেই হয়ত বলবেন ৫ লাখ টাকা। কেননা ৫বছরের  জন্য ৫টি ৩০ দিন বা ১ মাসের বেতন তো ৫ লাখই হয়।


কিন্তু না, আপনি আসলে পাবেন সারে ৭  লাখ টাকা। কিভাবে? দেখুন তাহলে…


Provident Fund and Gratuity at a glance
গ্রাচ্যুইটি আইন অনুযায়ী, প্রতি বছরের জন্য আপনি পাবেন সর্বশেষ মাসের হিসেব অনুযায়ী ৩০ দিনের সমপরিমাণ অর্থ, ১ মাসের বেতন নয়। ব্যাপারটি ভাল করে বুঝুন।


আপনি প্রতিমাসে যে বেতন পান, সেটা কিন্তু ৩০ দিন কাজের জন্য নয়। বরং গড়ে ২০ দিন কাজের জন্য। তাহলে মাসে আপনার ১ লাখ টাকা মূল বেতন হলে, আপনার ১ দিনের বেতন হয় ৫ হাজার টাকা।


তাহলে আপনার ৩০ দিনের বেতন দাড়ায় ১৫০ হাজার বা দেড় লাখ টাকা।


এখন তাইলে ৫ বছর চাকরি করার জন্য আপনি পাবেন ৫ X ১৫০ হাজার = ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। 


আশা করি ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছেন আর নিজের গ্রাচ্যুইটির হিসেব এখন নিজেই বের করতে পারবেন।


তবে এখানে বলে রাখা ভাল যে, অনেক প্রতিষ্ঠানই ৩০ দিনের বেতন বলতে ১ মাসের বেতনই বোঝে এবং সেভাবেই কর্মীদের গ্রাচ্যুইটি সেটেল করে। তাই প্রকৃত হিসাবের পদ্ধতি জানতে একজন বিশেষজ্ঞ আইনজীবীর পরামর্শ নেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। কেননা এই ব্লগ কোন আইনগত পরামর্শ দেয় না


এখন কেউ যদি তার প্রাপ্য গ্রাচুইটির অর্থের পরিমাণ সরাসরি দেড়গুণ বাড়াতে চায়, তাহলে তাকে কোন প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে  একটানা ১০ বছর চাকরি করতে হবে।


অর্থাৎ আপনি যদি ১০ বছর বা তারচেয়েও বেশিদিন কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন, তাহলে প্রতিবছর চাকরি করার জন্য আপনার গ্রাচ্যুইটি হবে সর্বশেষ মাসের ভিত্তিতে ৪৫ দিনের বেতনের সমান। 


তারমানে ৯ বছর পর্যন্ত চাকরি করলে আপনি পাবেন ৩০ দিনের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ আর ১০ বছর বা তার বেশিদিন কাজ করলে পাবেন ৪৫  দিনের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ।


যাইহোক, আজ এ পর্যন্তই। গ্রাচ্যুইটি এবং প্রভিডেন্ট ফান্ড সম্পর্কে আপনার যদি আরও কিছু জানা থাকে তাহলে তা আমদের কমেন্ট করে জানান।



বি.দ্রঃ এ ধরনের তথ্যগুলি সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হতে পারে। তাই পাঠকের পাঠকালীন সময়ের সাথে পোস্টের তথ্যের পার্থক্য থাকতে পারে। ডিসক্লেইমার জানতে এবং পোস্ট ব্যবহারের আগে শর্তাবলী দেখে নিন।

মন্তব্যসমূহ

  1. প্রভিডেন্ট ফাণ্ড কি বাংলাদেশ সরকারের আইন দ্বারা সুরক্ষিত? নাকি কোন প্রতিষ্ঠান চাইলেই তার কর্মীদের চাকরি ছেড়ে দেওয়ার সময় প্রভিডেন্ট ফাণ্ডের টাকা থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে বঞ্চিত করতে পারে?

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. অবশ্যই সুরক্ষিত। এ সম্পর্কিত আইন আছে, আবার শ্রম আইনেও এ নিয়ে কথা বলা আছে।

      মুছুন
  2. আমি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৭ বছর সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছি। এখন যদি আম চাকুরী থেকে অবসর নিতে চাই, তাহলে কি আমি গ্রাচুইটি পাব,,,?

    উত্তরমুছুন
  3. গ্র‍্যাচুয়িটি ফান্ড ট্রাষ্ট এর অর্জিত সুদ কে ভোগ করবে?

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. গ্রাচ্যুইটি যেহেতু সম্পূর্ণ ভাবে নিয়োগকর্তা প্রদান করে, তাই এর অর্জিত সুদও নিয়োগকর্তা ব্যবহার করতে পারে। ধন্যবাদ।

      মুছুন
  4. কোনো প্রতিষ্ঠানে গ্রাজুইটি পলিসি না থাকলে কি হবে?

    উত্তরমুছুন
  5. বেসরকরী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সকল শিক্ষক ও কর্মচরী কি একই হারে টাকা জমা দিবে, না স্কেল অনুযায়ী টাকা জমা দিবে?

    উত্তরমুছুন
  6. চাকুরি ছেড়ে দিলে কি প্রভিডেন্ট ফান্ড এর টাকা পাওয়া যায়?

    উত্তরমুছুন
  7. provident fund এর সূচনা কত সাল থেকে হয়?

    উত্তরমুছুন
  8. কোম্পানীর চাকরি থেকে অব্যাহতি নিতে চাইলে প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা পাওয়ার জন্য চাকুরি থেকে অব্যাহতি ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা চেয়ে একসাথে আবেদন করতে হবে?

    উত্তরমুছুন
  9. প্রভিডেন্টফান্ড এর জন্য জাতীয়পরিচয়পত্র এর পরিবর্তে জন্ম নিবন্ধন বা পাসপোর্ট দিলে হবে

    উত্তরমুছুন
  10. আমি প্রভিডী ফান্ডের টাকা তুলে কি লোন কাটবো বেতন থেকে

    উত্তরমুছুন
  11. অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে

    উত্তরমুছুন
  12. চাকরিজীবীর বয়স ৫০:বছর পূর্ণ হলে প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা তুলে নিতে পারে, পরিশোধ করতে হয় না এ রকম শিথিল বিশেষ কোনো নীতিমালা আছে কি না?

    উত্তরমুছুন
  13. গ্রাচ্যুইটি কি সরকার কর্তৃক সংরক্ষিত?

    প্রতিটি লিমিটেড কোম্পানি কি সেটা দিতে বাধ্য নাকি তারা না দিলে কিছুই করার নেই?

    উত্তরমুছুন
  14. প্রভিডেন্ট ফান্ড করার নীতিমালা আছে ?? থাকলে আমার দরকার । marufbellah@gmail.com

    উত্তরমুছুন
  15. এমপিও বিহীন অস্থায়ী, খন্ডকালীন, চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকগন বিধিমোতাবেক পিএপ ফান্ডের সুবিধা পাবেন কিনা।

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মতামত জানান।

জনপ্রিয় পোস্টগুলি

যে ১০টি দক্ষতা থাকলে চাকরি পেতে কারও রেফারেন্স লাগে না

বলুন দেখি, চাকরি পেতে কোন জিনিসটি আপনার অবশ্যই থাকতে হবে? টাকা-পয়সা, মামা-চাচা-খালু, নাকি বড় বড় চটকদার ডিগ্রি?  সত্য বলতে আসলে এসব কিছুই না! যে কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েই আপনি মানানসই একটি ভাল চাকরি অনায়াসেই পেতে পারেন, যদি আপনার মধ্যে একটি মাত্র জিনিস থাকে! আর সেই জিনিসটির নাম হচ্ছে দক্ষতা বা স্কিল। এ যুগে চাকরি পেতে হলে একজন প্রার্থীর মধ্যে বেশকিছু দক্ষতা বা Skill অবশ্যই থাকতে হবে। হ্যা, মামা-চাচা-খালু কিংবা ঘুষ দেয়ার জন্য টাকা-পয়সা নয়, এই দক্ষতাই হচ্ছে এযুগে চাকরি পাওয়ার একমাত্র যোগ্যতা। আপনার মধ্যে যদি উপযুক্ত দক্ষতা থাকে, তাহলে চাকরি নিজেই আপনাকে খুঁজে নেবে। আপনাকে আর চাকরির পিছনে দৌড়াতে হবে না। কিন্তু আপনার মধ্যে যদি সময়ের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষতা না থাকে তাহলে, আপনি যতই জুতা ক্ষয় করেন না কেন, সহজে চাকরি পাবেন না। তাই সময়ের চাহিদা অনুযায়ী উপযুক্ত দক্ষতা বা Skill অর্জনের দিকে মনোযোগ দিন।  আর এজন্য ঠিক কি কি দক্ষতা এই যুগের চাকরির জন্য প্রয়োজন, সেটি জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, কিভাবে চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে এবং কিভাবে ভাল একটি চাকরি পাওয়া যায়, সে সম্পর্কে শুরু থেকেই আপনার পর

শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ শুরুর প্রথম পাঠ

কিভাবে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে ব্যবসা করতে হয়, সেটা অনেকেরই অজানা। বিশেষ করে নতুনদের জন্য শেয়ার বাজারে আগমনের পথটা সব সময়ই কঠিন। কেননা, শেয়ার বাজারে শুরুটা ঠিক কিভাবে করতে হয়, সে সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সবসময়ই অপ্রতুল।  শেয়ার বাজার বা স্টক মার্কেট সবসময়ই একটি উচ্চ ঝুঁকপূর্ণ জটিল জায়গা। তাই এখানে আসার আগে প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু পড়াশুনা করে নূন্যতম জ্ঞান নিয়ে আসা উচিত। তা না হলে, শেয়ার বাজারে এসে টাকা খোয়ানো কেউ ঠেকাতে পারবে না!  তবে শুরুতেই ভয় পাওয়ার কিছু নেই! কেননা বিখ্যাত বিনিয়গকারী পিটার লিঞ্চ যেমনটা বলেছেন, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের জন্য পৃথিবীর সব মানুষেরই যথেষ্ট বুদ্ধি-বিবেচনা বোধ রয়েছে। ক্লাস ফাইভের অংক করতে জানেন, এমন লোকও শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করার জন্য উপযুক্ত। তবে কথা আছে। শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের জন্য একজন বিনিয়োগকারীর অবশ্যই যথেষ্ট ধৈর্য, প্রচেষ্টা এবং পর্যাপ্ত সময় ব্যয় করার ইচ্ছা থকতে হবে। আর তাহলেই কেবল একজন বিনিয়গকারী সফল হওয়ার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবে।  তাই আজকের এই লেখায়, আমি শেয়ার  বাজারে বিনিয়োগ শুরু করার বেসিক ধাপ গুলো নিয়ে আলোচনা করব। এই বিষয় গুলো জানাটা সব বিনিয়ো

মাত্র ২ টাকা দিয়ে শুরু করে এক বছরেই লাখ টাকা জমানোর ক্রেইজি উপায়

টাকা জমানো মোটেই সহজ কোন কাজ নয়। অনেকেই নানাভাবে চেষ্টা করেও টাকা জমাতে পারে না। তাই টাকা জমানোর এই কঠিন  কাজটিকে সহজ করতে পৃথিবীতে আবিষ্কৃত হয়েছে নানা তত্ত্ব এবং উপায়। সেখান থেকেই আজ আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব এমন  একটি উপায়, যেটা দিয়ে টাকা জমানোর কাজটা হয়ে যাবে অনেক সহজ, আর এটার শুরুটা করা যাবে মাত্র ২ টাকা দিয়ে। তবে এই পদ্ধতিটির আবিষ্কারক কে, সেটা আমার সঠিকভাবে জানা নেই, তাই কারও নাম উল্লেখ করতে পারলাম না। তবে আপনাদের কারও যদি জানা থাকে, তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। চলুন তাহলে আলোচনা শুরু করি। মাত্র ২ টাকা দিয়ে জমানো শুরু করে কিভাবে ১ বছরেই লাখপতি হওয়া যায়?  মাত্র ২ টাকা দিয়ে জমানো শুরু করে ১ বছরে লাখপতি হওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমে যে কাজটি করতে হবে, সেটি হল, আপনাকে আগে একটা নির্দিষ্ট তারিখ বেছে নিতে হবে, যেদিন থেকে আপনার একবছর গণনা শুরু হবে। বছরের যে কোন দিন থেকে আপনি শুরু করতে পারেন, তবে সেখান থেকে একটানা ৩৬৫ দিনের হিসাব আপনাকে ঠিক ভাবে রাখতে হবে। দ্বিতীয়ত, এ পদ্ধতির সফলতার জন্য আপনার একাগ্রতা এং নিষ্ঠার দরকার হবে। মাঝপথে ছেড়ে যাওয়া যাবে না। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ঠিক ভাবে লেগে থ

আয় যেমনই হোক, সঞ্চয় বাড়ানোর সেরা জাপানি কৌশলে টাকা জমবে সহজে

সবাই টাকা জমাতে চায়, তবে বাস্তবতা হল, সবার টাকা জমানোর ক্ষমতা কিন্তু সমান নয়। বেশি আয় করলেই যে বেশি সঞ্চয় করতে পারবেন, বিষয়টা মোটেই তেমন নয়। সেকারণে দেখা যায়, অনেকেই অল্প আয় করেও অনেক টাকা জমিয়ে ফেলে, আবার অনেকে প্রচুর আয় করেও এক পয়সাও জমাতে পারে না!  তাই সঞ্চয়ের জন্য সবার আগে জানতে হবে, আপনার আসলে টাকা জমানোর প্রকৃত ক্ষমতা কতটুকু? আর এটা জানার জন্য আমরা ব্যবহার করব শতাধিক বছরের পুরনো জাপানি পদ্ধতি, যার নাম 'কাকিবো' (জাপানি ভাষার উচ্চারণ ভিন্ন হতে পারে) । এই জাপানি পদ্ধতিতে আপনি মাত্র ৪টি সহজ প্রশ্নের উত্তর দিয়েই যাচাই করতে পারবেন, আপনার আসলে সঞ্চয়ের ক্ষমতা কতটুকু। শুধু তাই নয়, কাকিবো  আপনার সঞ্চয়রে সামর্থ্য কিভাবে বাড়িয়ে তোলা যায়, সে পদ্ধতিও বাতলে দিবে।   কাকিবো পদ্ধতির জন্ম  ১৯০৪ সালে, জাপানে। পারসোনাল ফিন্যান্স বা ব্যক্তিগত বাজেট ম্যানেজম্যান্টের জন্য এইপদ্ধতিটি আবিষ্কার করেন, জাপানি নারী সাংবাদিক হানি মটোকো।   অনেকেই কাকিবোকে টাকা জমানোর একটি উপায় বলে মনে করেন, যা আসলে সঠিক নয়। সত্য কথা হল, কাকিবো আসলে টাকা জমানোর কোন পদ্ধতি নয়, এটা হল, আপনার টাকা জমানোর প্রকৃত ক্ষমতা বের

শেয়ার ব্যবসায় মুনাফা করার অব্যর্থ টেকনিক

শেয়ার বাজার বা Stock Market - এ বিনিয়োগ করে ধরা খেতে না চাইলে আপনাকে অবশ্যই কিছু বেসিক নিয়ম মেনে বিনিয়োগ করতে হবে। কেননা, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে যারা ধরা খেয়েছেন, তাদের একটা বড় অংশ এই মার্কেটে বিনিয়োগের বেসিক নিয়ম গুলো জেনেই বিনিয়োগ করে ফেলেছিলেন। শেয়ার বাজার একটি উচ্চ ঝুকি পূর্ণ স্পর্শকাতর জায়গা। তাই এখানে বিনিয়োগ করতে হয় বুঝে শুনে, গুজবের উপর ভিত্তি করে নয়। শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের কিছু বেসিক নিয়ম আছে, যেগুলো বেশিরভাগ বিনিয়োগকারীই জানেন না অথবা বিনিয়োগের সময় সেগুলো প্রয়োগ করেন না। এরফলে তাদের বিনিয়োগ থেকে যায় ঝুঁকিপূর্ণ এবং বাজারের সামান্য উত্থান-পতনেই তাদের বিনিয়োগ নেমে আসে শুন্যের কোটায়। তাই শেয়ার বাজারে ভাল কোম্পানিতে দীর্ঘ মেয়াদে নিরাপদ এবং টেকসই বিনিয়োগ করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই বেশ কিছু বেসিক বিষয় মাথায় রাখতে হবে। কিন্তু কি সেই বিষয় গুলো? - এই নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে এই পোস্টে।  আজকের এই লেখায় আমি আপনাদের জানাব, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের এমন ৫ টি অব্যর্থ টেকনিক, যেগুলো না জেনে বিনিয়োগ করা কখনই উচিৎ হবে না। আর এই টেকনিক গুলো সার্বজনীন, অর্থাৎ এগুলো যেকোন দেশের যে

ক্রেডিট কার্ডের সুদ হিসাবের ভয়ঙ্কর পদ্ধতি এবং চক্রবৃদ্ধির সুদের ফাঁদ থেকে বাঁচার উপায়

আপনি মানেন আর না মানেন, এটা সত্যি যে, ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড (Credit Card) অনেকের জীবনেই ধ্বংস ডেকে এনেছে। ক্রেডিট কার্ডের উচ্চ সুদের ভয়ঙ্কর ঋণের ফাঁদে পড়ে অনেকের জীবনেরই আজ ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। এর অন্যতম একটি কারণ, ক্রেডিট কার্ডের সুদ হিসাবের ভয়ঙ্কর পদ্ধতি। অনেকেই জানেন না, ব্যাংক গুলোতে ঠিক কি পদ্ধতিতে ক্রেডিট কার্ডের সুদ হিসাব করা হয়? আবার ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা ও অসুবিধা গুলো আসলে কি, সেটাও অনেকে জানে না। অথচ একটু বুদ্ধি খাটিয়ে স্মার্টলি ব্যবহার করতে পারলেই কিন্তু Credit Card থেকে অনেক সুবিধা নেয়া যায়।  যাইহোক, ক্রেডিট কার্ড আসলে কি এবং Credit Card ব্যবহার করতে গিয়ে কেন এবং কিভাবে মানুষ চক্রবৃদ্ধি হারে সুদের গ্যাড়াকলে আষ্টেপৃষ্ঠে আটকে পড়ে, সেইসব রহস্যই ভেদ করার চেষ্টা করেছি আজকের এই পোস্টে।  Credit Card স্মার্টলি ব্যবহার করার জন্য এর সাথে সম্পর্কিত সকল তথ্য সঠিক ভাবে জানা প্রয়োজন। বিশেষ করে বিভিন্ন Bank- এর ক্রেডিট কার্ডের সুদের হার এবং নানা ধরনের চার্জ গুলো সম্পর্কে না জানলে বিপদে পড়ার সম্ভাবনা প্রায় শতভাগ। কেননা এই তথ্যগুলো না জানা কিংবা গুরুত্ব না দেয়ার কারণেই ক্রেডিট কার্ড মান

আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের মাধ্যমে সমাজে নিজের গুরুত্ব বাড়িয়ে তোলার উপায়

শুধুমাত্র বিপুল টাকা-পয়সা কিংবা সম্পদের পাহাড়ের মালিক হলেই কেউ অন্যের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে না। নিজেকে অন্যদের কাছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ করে তলার জন্য ব্যক্তির মধ্যে বিশেষ কিছু গুণ বা বৈশিষ্ট্য থাকতে হয়। এসব গুণ বা বৈশিষ্ট্য অর্জন করতে পারলেই কেবল আপনি নিজেকে অন্যের কাছে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে পারবেন।  জীবনে সফল হতে হলে, অবশ্যই নিজের গুরুত্ব বাড়াতে হবে এবং অন্যদের মাঝে নিজেকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে জায়গা করে নিতে হবে। আজকের পৃথিবীর সফল ব্যক্তি যারা, তারাও সফল হওয়ার অনেক আগে থেকেই নিজেদেরকে সমাজের কাছে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছেন, যা তাদেরকে আজকের এই পর্যায়ে আসতে সাহায্য করেছে।  জীবনে সফল হওয়ার জন্য কেউ যখন কাজ করতে থাকে, ঠিক তখন থেকেই তাকে নিজের গুরুত্ব বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হয়। তা না হলে পরবর্তীতে, নিজেকে সামজের অন্যদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলাটা অনেক কঠিন হয়ে যায়। তাই নিজেকে সবার মাঝে ধনী তথা সফল ব্যক্তিদের মত গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে চাইলে, এখন থেকেই আপনাকে কাজ শুরু করে দিতে হবে। কিন্তু কিভাবে নিজের মধ্যে ধনীদের মত আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব গড়ে তুলে নিজেকে সবার মাঝে গুরুত্বপূর্ণ করে

এ যুগের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যেভাবে কর্মীদের বেতন নির্ধারণ করে

আপনি কি জানেন, বেসরকারি চাকরিতে কিভাবে আপনার বেতন নির্ধারণ করা হয়?  নিয়োগকর্তা বা কোম্পানিগুলো ঠিক কি পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত নেয়, আপনার বেতন কত হবে? কেন একই যোগ্যতা থাকার পরও ভিন্ন ভিন্ন কোম্পানি ভিন্ন ভিন্ন অংকের বেতন দেয়? কিভাবে আপনার চেয়ে ১০ বছরের ছোট ছেলেটা আপনার চেয়ে বেশি বেতনে জয়েন করল? বেতনের ক্ষেত্রে সিনিয়রিটি নাকি দক্ষতা, কোনটিকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়? এসব প্রশ্নের  উত্তর নিয়েই আজকের এই পোস্ট।  আজকে এখানে আমি ব্যাখ্যা করেছি বেতন নির্ধারণের মূল ৫ টি ফ্যাক্টর, যেগুলো বেতন নির্ধারণের ক্ষেত্রে সারাবিশ্বেই সাধারনভাবে চর্চা করা হয়। কোন একটি কোম্পানিতে কার বেতন কত হবে, সেটা আসলে নির্ভর করে অনেকগুলো ফ্যাক্টরের ওপর।  আর নিয়োগকারী কোম্পানি কোন ফ্যাক্টরকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে সেটাও আপনার বেতনের অংকে প্রভাব ফেলতে পারে। যেকারনে একই সমান অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকার পরও দুটি ভিন্ন কোম্পানিতে দু’জনের আলাদা অংকের বেতন হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। তবে একটি আদর্শ কোম্পানিতে সাধারণত কিভাবে কোন এমপ্লোয়ির বেতন নির্ধারণ করা হয়, সেটা জানা থাকলে ব্যাপারটা বুঝতে সবার সুবিধা হবে। আসুন দেখা যাক কিভাবে সেটা

বাংলাদেশে স্বর্ণে বিনিয়োগ আসলে কতটা লাভজনক?

বাংলাদেশে সোনা বা স্বর্ণে বিনিয়োগ করা সত্যিকার অর্থেই আসলে কতটা লাভজনক এবং এদেশে  স্বর্ণ কিনে রেখে দিলে আপনার ভবিষ্যৎ কি  সেটা জানার জন্য সম্প্রতি আমি বেশকিছু খোঁজ-খবর করি এই ব্যাপারে।  এটা করতে গিয়ে দেখলাম, এই বিষয়টাতে বাংলাদেশে অনেক হিডেন ব্যাপার-স্যাপার আছে, যা সবার পক্ষে সাধারণভাবে জানা কখনই সম্ভব নয়।  এমনকি সোনা বা স্বর্ণ কিনতে গেলেও দোকানদাররা আপনাকে এসব কথা জানাবে না, কিন্তু যখনই বেচতে যাবেন, তখনই বুঝবেন স্বর্ণে বিনিয়োগ করাটা আপনার কতটা সঠিক কিংবা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল।  তাই  স্বর্ণ কিনে রেখে দিলে বাংলাদেশে আপনার ভবিষ্যৎ কি - সে বিষয়টি নিয়েই আজকে আলোচনা করব। তবে বিষয়টি ভালভাবে বোঝার জন্য, বাংলাদেশের বিষয়াদি আলাপের আগে, আসুন জেনে নেই, স্বর্ণে বিনিয়োগের কিছু বেসিক বিষয় এবং আন্তর্জাতিক মার্কেটে স্বর্ণে বিনিয়োগ করার পুরো চক্রটা ঠিক  কিভাবে  কাজ করে, সে সম্পর্কে।  কেন স্বর্ণে বিনিয়োগ করা হয়?  ডলার হোক কিংবা টাকা , যেকোন মুদ্রার মান বা ভ্যালু যখন কমতে থাকে , তখন সারা বিশ্বেই মানুষজন বিকল্প এসেট ক্লাস হিসেবে সোনা বা স্বর্ণের মত দামী ধাতুতে বিনিয়োগ করে। বিনিয়োগের জন্য দামী এবং প্রয়োজনীয় ধ