সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

যেকোন ভাল চাকরিতে বেতনের বাইরে অতিরিক্ত আরও যেসব সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়

Benefits Other Than Salary in a Good Job
চাকরিতে শুধু বেতনই কি সবকিছু? কখনই নয়। কেননা যেকোন ভাল চাকরিতেই বেতন ছাড়াও আরও অনেক সুযোগ-সুবিধা থাকে। 
কিন্তু অনেক চাকরিদাতাই বেতনের বাইরে আর তেমন কোন সুবিধা দিতে রাজি থাকে না। আবার অনেক প্রতিষ্ঠানে বেতনটাও ঠিক সময়মত পাওয়া যায় না। ফলে অনেকের কাছেই চাকরির বেতনটাই হয়ে ওঠে সবেধন-নীলমণি!


তবে ভালো প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কর্মীদের বেতনের বাইরেও নানা রকম সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে। আর এরফলে তারা পরিণত হয় বাজারের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত চাকরি দাতা হিসেবে। 


তাই কি কি সুবিধা থাকলে কোন চাকরি কে একটি 'ভালো চাকরি' বলা যায়, সেটা জানাটা জরুরী।


আজকের এই পোস্টে তাই চাকরিতে বেতনের বাইরের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আলোচনা করেছি। পোস্টটি পড়লে আপনি জানতে পারবেন, একটি ভালো চাকরিতে বেতন ছাড়া সাধারণত আর কি কি সুবিধা থাকে সে সম্পর্কে।  


এরফলে আপনি বুঝতে পারবেন, আপনার বর্তমান চাকরিটি কি কোন 'ভাল চাকরি'র আওতায় পড়ে কি না? বেতন ছাড়া আর কি কি সুবিধা আপনার পাওয়া উচিত, সেসব বিষয়ে।


আর আপনি যদি সদ্য গ্রাজুয়েট বা চাকরি প্রার্থী হয়ে থাকেন, তাহলে চাকরি বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে আপনার কি কি বিষয় আগে থেকে জানা দরকার, সেটাও আপনি জানতে পারবেন আজকের এই লেখা থেকে।


যাইহোক, প্রথমেই বলে রাখি,
Compensation Management - এর নীতি অনুযায়ী কোন কর্মীর বেনেফিট বা পাওনা  নির্ধারণের জন্য বেশ কিছু সূচক ব্যবহার করা হয়।


শুধু বেতন নয়, একজন কর্মীর Reward হতে পারে আরও অনেককিছুই।


ফ্রি কার পার্কিং , ফ্রি লাঞ্চ এমন অনেক কিছুই হয়ত আপনি পেয়ে থাকেন, যাকে বলা হয় Perks। কিন্তু সমস্যা হল, বেশিরভাগ কর্মীই এগুলোকে Reward হিসেবে মনে করে না!


বেশিরভাগ কর্মীর কাছেই এখনও বেতনটাই আসল রিওয়ার্ড। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের কাছে আপনাকে দেয়া সকল সুবিধাই আপনার সামগ্রিক বেনিফিটের অংশ বলে ধরে নেয়া হয়।


কিন্তু বেতন ছাড়াও একটি আদর্শ চাকরিতে আরও অনেক বেনেফিট এবং Perks থাকে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কমন এবং যেগুলো না থাকলে চাকরি করা আর না করার মধ্যে তেমন কোন পার্থক্যই থাকে না, সেগুলোকে আজকের এই লেখায় তুলে ধরা হল।


১# ইন্সুরেন্স বা বীমা সুবিধা


যেকোন ভাল কোম্পানিই বেতন ছাড়া আপনাকে অন্যান্য আর যেসব সুবিধা অফার করবে, তার মধ্যে প্রথমেই থাকবে ইন্সুরেন্স বা বীমা সুবিধা। ভাল কোম্পানি গুলোর কর্মীদের জন্য এটা অনেকটা বেতনের মতই বেসিক রিওয়ার্ড।


এই বীমা সুবিধা অবশ্যই আপনার জীবন এবং স্বাস্থ্য সেবার সুরক্ষা দেয়ার মত পর্যাপ্ত হতে হবে। অর্থাৎ আপনার অফিস আপনাকে একই সঙ্গে একটি জীবন বীমা এবং একটি স্বাস্থ্য বীমা সুবিধা প্রদান করবে।


আপনার অনাকাঙ্ক্ষিত জীবনাবসান কিংবা কর্ম অক্ষমতার ক্ষেত্রে সুরক্ষা দেবে জীবন বীমা।


আর আকস্মিক অসুস্থ্যতাজনিত চিকিৎসা খরচ থেকে আপনাকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে আপনার অফিস থেকে পাওয়া স্বাস্থ্য বীমা।


মনে রাখবেন, এই বীমা সুবিধা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং চাকরি নেয়ার ক্ষেত্রে অনেকে এটাকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। কেননা, অনিশ্চিত জীবন এবং স্বাস্থ্যের সুরক্ষা প্রয়োজন সবার আগে। 


আবার অনেক ভালো প্রতিষ্ঠানই স্বাস্থ্য বিমার ক্ষেত্রে, পরিবারকেও অন্তর্ভুক্ত করে, যেটা একটি বাড়তি পাওনা। এরফলে পরিবারের স্বাস্থ্যসেবা খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তা অনেকটাই কমে যায়।


তাই আপনার বর্তমান চাকরিতে যথাযথ বীমা সুবিধা আছে কি না, সেটা খেয়াল করুন। যদি না থাকে, তাহলে নতুন করে চিন্তা করুন, আপনি কি আসলেই কোন ভাল প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন, যারা আপনার দুঃসময়ে পাশে থাকবে?


আর আপনি যদি এখনও কোথাও যোগ না দিয়ে থাকেন, তাহলে যোগ দেয়ার আগেই ঠিকমত জেনে নিন, যেখানে কাজ করতে যাচ্ছেন, সেখানে যথাযথ বীমা সুবিধা আছে কি না?


২# প্রভিডেন্ট ফান্ড


বেতনের বাইরে আর্থিক সুবিধাদির মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে প্রভিডেন্ট ফান্ড। সাধারণত প্রভিডেন্ট ফান্ড বলতে আমারা কন্ট্রিবিউটরি বা অংশিদারিত্ব মূলক  প্রভিডেন্ট ফান্ডকেই বুঝি। 


প্রভিডেন্ট ফান্ড হচ্ছে এমন একটি ফান্ড যেখানে আপনি আপনার বেতনের নির্দিষ্ট একটি অংশ প্রতিমাসে জমা রাখবেন আর আপনার নিয়োগদাতাও এরসাথে যোগ করবেন সমপরিমাণ অর্থ ।


সাধারনত একজন কর্মী তার বেতনের ১০ শতাংশ প্রতিমাসে প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমা রাখে।


আর চাকরিদাতাও একই পরিমাণ অর্থ প্রতিমাসে আপনার পক্ষে জমা করবে সেই ফান্ডে। এই দুই জনের প্রদত্ত অর্থ মিলে যে ফান্ড দাঁড়াবে, সেটা আবার লাভজনক এবং নিরাপদ স্থানে বিনিয়োগ করে এই ফান্ডের আকার আরও বাড়ানো হয়।


সাধারণত এই ফান্ড ম্যনেজের কাজটি করে মালিক এবং শ্রমিক উভয় পক্ষের সমন্বয়ে গঠিত একটি ট্রাস্টি বোর্ড। 


আর এরফলে কোন কর্মী যখন চাকরি থেকে অবসর নেয় বা চাকরি ছেড়ে চলে যায়, তখন সে এই ফান্ড থেকে একটা বড় অংকের অর্থ পেয়ে থাকে, যা তার অনেক কাজে লাগে।


আবার চাকরিরত অবস্থায় এই ফান্ড থেকে স্বল্প সুদে ঋণ নেয়ার সুবিধাও থাকে।


সুতরাং আপনার প্রতিষ্ঠানে প্রভিডেন্ট ফান্ডের সুবিধা আছে কি না সেটা দেখে নেয়াটা জরুরী।


আর না থাকলে এখনি ভাবুন, চাকরি জীবন শেষে কি পাবেন আপনি?


৩# গ্রাচ্যুইটি


এটিও একটি আর্থিক সুবিধা এবং এতে প্রভিডেন্ট ফান্ডের মত কর্মীকে টাকা জমা রাখতে হয় না। এটা পুরপুরি চাকরিদাতা  প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত সুবিধা।


সাধারণত, একটি নির্দিষ্ট সময় চাকরি করার পর, একজন কর্মী তার প্রতি বছর কাজ করার জন্য চাক্তিরির বয়সকাল অনুযায়ী অতিরিক্ত ৩০ বা ৪৫ দিনের বেতন তার গ্রাচ্যুইটি হিসেবে বরাদ্দ পেয়ে থাকেন।


অর্থাৎ, কেউ যদি কোন প্রতিষ্ঠানে একটানা ৫ বছর কাজ করে, তাহলে সে বিদায় বেলায় প্রতি বছরের জন্য অতিরিক্ত ৩০ দিনের সর্বশেষ বেতন তার গ্রাচ্যুটি হিসেবে পেয়ে থাকে। আর ১০ বছরের বেশি যদি কেউ কাজ করে, তাহলে সাধারণত প্রতিবছরের জন্য ৪৫ দিনের সর্বশেষ বেতনের সমপরিমাণ অর্থ পেয়ে থাকে।


এটা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত অর্থ, এজন্য কর্মীকে কোন অর্থ জমা রাখতে হয় না।


সুতরাং এটা একটা চমৎকার সুবিধা, যা অনেক গড়পড়তা কোম্পানিই দিতে চায় না।


কিন্তু ভালো প্রতিষ্ঠানগুলিতে এই সুবিধা থাকে। তাই আপনার বর্তমান চাকরিতে গ্রাচ্যুইটি সুবিধা আছে কি না তা যাচাই করে দেখুন।


আর চাকরিতে যোগ দেয়ার অপেক্ষায় থাকলে, শুরুতেই জেনে নিন আপনার চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রাচ্যুইটি সুবিধা দেয় কি না।


৪# বেতন সহ পর্যাপ্ত ছুটি


যেকোন ভাল প্রতিষ্ঠান তার কর্মীদের পর্যাপ্ত ছুটির ব্যবস্থা করে থাকে। অন্যদিকে খারাপ প্রতিষ্ঠান কথায় কথায় ছুটির জন্য বেতন কাটে!


আপনার প্রতিষ্ঠানে পর্যাপ্ত ছুটির ব্যবস্থা আছে কি না দেখে নিন। এই ছুটির মধ্যে অর্জিত ছুটি ছাড়াও রয়েছে, বেতন সহ অসুস্থতা জনিত ছুটি, পিতৃত্বকালিন ছুটি, মাতৃত্বকালিন ছুটি, বিনোদন ছুটি এবং অন্যান্য বা ক্যাজুয়াল ছুটি।


এসব ছুটি একজন কর্মীর উৎপাদনশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


আপনার প্রতিষ্ঠান এসব ছুটির জন্য যদি বেতন কেটে রাখে, তাহলে সেই প্রতিষ্ঠানে কাজ করবেন কি না তা দ্বিতীয়বার ভাবুন।


এর বাইরেও ভাল প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘকালীন শিক্ষা ছুটিও দিয়ে থাকে তবে তা বিনা বেতনে। কিন্তু এটিও অনেক বড় একটি সুবিধা।


৫# ট্রেনিং এবং পারফর্মেন্স বোনাস


ভাল প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলে, আপনি আরও যেসব সুবিধা পাবেন তার মধ্যে রয়েছে, নিয়মিত ট্রেনিং বা দক্ষতা বৃদ্ধির সুবিধা। 


Job Benefits Other Than Salary
আর আপনার দক্ষতা বাড়ানোর পুরষ্কার স্বরুপ ভালো প্রতিষ্ঠানে রয়েছে পারফর্মেন্স বোনাসের ব্যবস্থা। 
গড়পড়তা অনেক প্রতিষ্ঠানই তার কর্মীদের প্রশিক্ষণ বা ট্রেনিং দিতে অনীহা প্রকাশ করে, কেননা এতে প্রচুর খরচ হয়। অন্যদিকে ভাল প্রতিষ্ঠান এই খরচকে দেখে বিনিয়োগ হিসেবে।

সুতরাং ভাল আর খারাপ প্রতিষ্ঠানের পার্থক্য বুঝতেই পারছেন। এখন আপনার প্রতিষ্ঠানের অবস্থা আপনি নিজেই যাচাই করুন। 


এগুলো ছাড়াও ভাল একটি চাকরিতে আপনি আরও অনেক সুবিধা পেতে পারেন, যেগুলো অন্য কোন পোস্টে আলোচনা করব।


পুরো বিষয়টি ভালভাবে বুঝতে নিচের ভিডিওটি দেখে নিতে পারেন।


বি.দ্রঃ এ ধরনের তথ্যগুলি সময়ে সময়ে পরিবর্তন হয়ে থাকে। তাই বর্তমান সময়ের একচুয়াল তথ্যের সাথে পোস্টের তথ্যের পার্থক্য থাকতে পারে। ডিসক্লেইমার জানতে এবং পোস্ট ব্যবহারের আগে শর্তাবলী দেখে নিন।  

মন্তব্যসমূহ

  1. খুব ভালো লাগছে, এমন ভালো প্রিষ্ঠান ত প্রান ও হয় নাই, 🤣,,

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. তাই না কি, বলেন কি!! প্রাণের মত প্রতিষ্ঠান এসব বেসিক সুবিধাদি তাদের কর্মীদের দেয় না জেনে অবাক হলাম!

      মুছুন
  2. Here are some photos I simply took in the identical casino, identical 메리트카지노 type recreation, identical denomination. The first one pays 9 & 6 for the complete home and flush respectively, and the second pays solely 8 & 5 for these hands. So in case you have three hands, three outcomes are performed; 5 hands, 5 outcomes, and so forth. Quite simply, the machine deals you 5 cards, you've got got} the choice of drawing as much as} 5 new ones. You press the “hold” button for these cards you need to maintain, and then press the “deal” button, and your discarded cards shall be replaced with new ones.

    উত্তরমুছুন
  3. ভালো লাগে.. ইনশাআল্লাহ আমি এমন একটা প্রতিষ্ঠান গড়তে চাই

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মতামত জানান।

জনপ্রিয় পোস্টগুলি

Provident Fund এবং Gratuity আসলে কি? কিভাবে প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্রাচ্যুইটির হিসাব করা হয়?

চাকরিতে বেতনের বাইরে আরও যেসব আর্থিক সুবিধাদি থাকে, তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে প্রভিডেন্ট ফান্ড ( Provident Fund ) এবং গ্রাচ্যুইটি ( Gratuity )। কিন্তু এসব বিষয়ে অনেকেরই তেমন কোন সুস্পষ্ট ধারনা নেই। অনেকেই জানেন না, প্রভিডেন্ট ফান্ড (PF) এবং গ্রাচ্যুইটি (Gratuity) আসলে কি? এগুলো কিভাবে কাজ করে আর এখান থেকে কি ধরেনর সুবিধা পাওয়া যায়? প্রত্যেক চাকরিজীবীর জানা থাকা দরকার যে, কিভাবে প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্রাচ্যুইটির হিসাব করা হয়? কিন্তু বাস্তবতা হল, নিজ চাকরিতে এসব সুবিধা থাকার পরও অনেকই বিষয়গুলো ভাল করে বোঝেন না। অথচ একজন স্মার্ট ক্যারিয়ারিস্ট হিসেবে প্রত্যেকের উচিৎ চাকরি সংশ্লিষ্ট প্রতিটি সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে ভাল করে জানা। আবার যারা চাকরিপ্রার্থী, তারাও এই বিষয় গুলো তেমন একটা বোঝে না। বিভিন্ন চাকরির বিজ্ঞাপনে প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্রাচ্যুইটি সুবিধার কথা লেখা দেখে অনেকেই কিছু না বুঝেই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে, যা অনেক সময়ই তাদের প্রত্যাশার সাথে মেলে না। যেহেতু প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্রাচ্যুটি হচ্ছে বেতনের বাইরে প্রাপ্ত আর্থিক সুবিধা, তাই এগুলো সম্পর্কে ভাল করে জানাটা জরুরী। তাই এসব বিষয় নিয়েই

যে ১০টি দক্ষতা থাকলে চাকরি পেতে কারও রেফারেন্স লাগে না

বলুন দেখি, চাকরি পেতে কোন জিনিসটি আপনার অবশ্যই থাকতে হবে? টাকা-পয়সা, মামা-চাচা-খালু, নাকি বড় বড় চটকদার ডিগ্রি?  সত্য বলতে আসলে এসব কিছুই না! যে কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েই আপনি মানানসই একটি ভাল চাকরি অনায়াসেই পেতে পারেন, যদি আপনার মধ্যে একটি মাত্র জিনিস থাকে! আর সেই জিনিসটির নাম হচ্ছে দক্ষতা বা স্কিল। এ যুগে চাকরি পেতে হলে একজন প্রার্থীর মধ্যে বেশকিছু দক্ষতা বা Skill অবশ্যই থাকতে হবে। হ্যা, মামা-চাচা-খালু কিংবা ঘুষ দেয়ার জন্য টাকা-পয়সা নয়, এই দক্ষতাই হচ্ছে এযুগে চাকরি পাওয়ার একমাত্র যোগ্যতা। আপনার মধ্যে যদি উপযুক্ত দক্ষতা থাকে, তাহলে চাকরি নিজেই আপনাকে খুঁজে নেবে। আপনাকে আর চাকরির পিছনে দৌড়াতে হবে না। কিন্তু আপনার মধ্যে যদি সময়ের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষতা না থাকে তাহলে, আপনি যতই জুতা ক্ষয় করেন না কেন, সহজে চাকরি পাবেন না। তাই সময়ের চাহিদা অনুযায়ী উপযুক্ত দক্ষতা বা Skill অর্জনের দিকে মনোযোগ দিন।  আর এজন্য ঠিক কি কি দক্ষতা এই যুগের চাকরির জন্য প্রয়োজন, সেটি জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, কিভাবে চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে এবং কিভাবে ভাল একটি চাকরি পাওয়া যায়, সে সম্পর্কে শুরু থেকেই আপনার পর

শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ শুরুর প্রথম পাঠ

কিভাবে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে ব্যবসা করতে হয়, সেটা অনেকেরই অজানা। বিশেষ করে নতুনদের জন্য শেয়ার বাজারে আগমনের পথটা সব সময়ই কঠিন। কেননা, শেয়ার বাজারে শুরুটা ঠিক কিভাবে করতে হয়, সে সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সবসময়ই অপ্রতুল।  শেয়ার বাজার বা স্টক মার্কেট সবসময়ই একটি উচ্চ ঝুঁকপূর্ণ জটিল জায়গা। তাই এখানে আসার আগে প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু পড়াশুনা করে নূন্যতম জ্ঞান নিয়ে আসা উচিত। তা না হলে, শেয়ার বাজারে এসে টাকা খোয়ানো কেউ ঠেকাতে পারবে না!  তবে শুরুতেই ভয় পাওয়ার কিছু নেই! কেননা বিখ্যাত বিনিয়গকারী পিটার লিঞ্চ যেমনটা বলেছেন, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের জন্য পৃথিবীর সব মানুষেরই যথেষ্ট বুদ্ধি-বিবেচনা বোধ রয়েছে। ক্লাস ফাইভের অংক করতে জানেন, এমন লোকও শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করার জন্য উপযুক্ত। তবে কথা আছে। শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের জন্য একজন বিনিয়োগকারীর অবশ্যই যথেষ্ট ধৈর্য, প্রচেষ্টা এবং পর্যাপ্ত সময় ব্যয় করার ইচ্ছা থকতে হবে। আর তাহলেই কেবল একজন বিনিয়গকারী সফল হওয়ার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবে।  তাই আজকের এই লেখায়, আমি শেয়ার  বাজারে বিনিয়োগ শুরু করার বেসিক ধাপ গুলো নিয়ে আলোচনা করব। এই বিষয় গুলো জানাটা সব বিনিয়ো

মাত্র ২ টাকা দিয়ে শুরু করে এক বছরেই লাখ টাকা জমানোর ক্রেইজি উপায়

টাকা জমানো মোটেই সহজ কোন কাজ নয়। অনেকেই নানাভাবে চেষ্টা করেও টাকা জমাতে পারে না। তাই টাকা জমানোর এই কঠিন  কাজটিকে সহজ করতে পৃথিবীতে আবিষ্কৃত হয়েছে নানা তত্ত্ব এবং উপায়। সেখান থেকেই আজ আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব এমন  একটি উপায়, যেটা দিয়ে টাকা জমানোর কাজটা হয়ে যাবে অনেক সহজ, আর এটার শুরুটা করা যাবে মাত্র ২ টাকা দিয়ে। তবে এই পদ্ধতিটির আবিষ্কারক কে, সেটা আমার সঠিকভাবে জানা নেই, তাই কারও নাম উল্লেখ করতে পারলাম না। তবে আপনাদের কারও যদি জানা থাকে, তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। চলুন তাহলে আলোচনা শুরু করি। মাত্র ২ টাকা দিয়ে জমানো শুরু করে কিভাবে ১ বছরেই লাখপতি হওয়া যায়?  মাত্র ২ টাকা দিয়ে জমানো শুরু করে ১ বছরে লাখপতি হওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমে যে কাজটি করতে হবে, সেটি হল, আপনাকে আগে একটা নির্দিষ্ট তারিখ বেছে নিতে হবে, যেদিন থেকে আপনার একবছর গণনা শুরু হবে। বছরের যে কোন দিন থেকে আপনি শুরু করতে পারেন, তবে সেখান থেকে একটানা ৩৬৫ দিনের হিসাব আপনাকে ঠিক ভাবে রাখতে হবে। দ্বিতীয়ত, এ পদ্ধতির সফলতার জন্য আপনার একাগ্রতা এং নিষ্ঠার দরকার হবে। মাঝপথে ছেড়ে যাওয়া যাবে না। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ঠিক ভাবে লেগে থ

আয় যেমনই হোক, সঞ্চয় বাড়ানোর সেরা জাপানি কৌশলে টাকা জমবে সহজে

সবাই টাকা জমাতে চায়, তবে বাস্তবতা হল, সবার টাকা জমানোর ক্ষমতা কিন্তু সমান নয়। বেশি আয় করলেই যে বেশি সঞ্চয় করতে পারবেন, বিষয়টা মোটেই তেমন নয়। সেকারণে দেখা যায়, অনেকেই অল্প আয় করেও অনেক টাকা জমিয়ে ফেলে, আবার অনেকে প্রচুর আয় করেও এক পয়সাও জমাতে পারে না!  তাই সঞ্চয়ের জন্য সবার আগে জানতে হবে, আপনার আসলে টাকা জমানোর প্রকৃত ক্ষমতা কতটুকু? আর এটা জানার জন্য আমরা ব্যবহার করব শতাধিক বছরের পুরনো জাপানি পদ্ধতি, যার নাম 'কাকিবো' (জাপানি ভাষার উচ্চারণ ভিন্ন হতে পারে) । এই জাপানি পদ্ধতিতে আপনি মাত্র ৪টি সহজ প্রশ্নের উত্তর দিয়েই যাচাই করতে পারবেন, আপনার আসলে সঞ্চয়ের ক্ষমতা কতটুকু। শুধু তাই নয়, কাকিবো  আপনার সঞ্চয়রে সামর্থ্য কিভাবে বাড়িয়ে তোলা যায়, সে পদ্ধতিও বাতলে দিবে।   কাকিবো পদ্ধতির জন্ম  ১৯০৪ সালে, জাপানে। পারসোনাল ফিন্যান্স বা ব্যক্তিগত বাজেট ম্যানেজম্যান্টের জন্য এইপদ্ধতিটি আবিষ্কার করেন, জাপানি নারী সাংবাদিক হানি মটোকো।   অনেকেই কাকিবোকে টাকা জমানোর একটি উপায় বলে মনে করেন, যা আসলে সঠিক নয়। সত্য কথা হল, কাকিবো আসলে টাকা জমানোর কোন পদ্ধতি নয়, এটা হল, আপনার টাকা জমানোর প্রকৃত ক্ষমতা বের

শেয়ার ব্যবসায় মুনাফা করার অব্যর্থ টেকনিক

শেয়ার বাজার বা Stock Market - এ বিনিয়োগ করে ধরা খেতে না চাইলে আপনাকে অবশ্যই কিছু বেসিক নিয়ম মেনে বিনিয়োগ করতে হবে। কেননা, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে যারা ধরা খেয়েছেন, তাদের একটা বড় অংশ এই মার্কেটে বিনিয়োগের বেসিক নিয়ম গুলো জেনেই বিনিয়োগ করে ফেলেছিলেন। শেয়ার বাজার একটি উচ্চ ঝুকি পূর্ণ স্পর্শকাতর জায়গা। তাই এখানে বিনিয়োগ করতে হয় বুঝে শুনে, গুজবের উপর ভিত্তি করে নয়। শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের কিছু বেসিক নিয়ম আছে, যেগুলো বেশিরভাগ বিনিয়োগকারীই জানেন না অথবা বিনিয়োগের সময় সেগুলো প্রয়োগ করেন না। এরফলে তাদের বিনিয়োগ থেকে যায় ঝুঁকিপূর্ণ এবং বাজারের সামান্য উত্থান-পতনেই তাদের বিনিয়োগ নেমে আসে শুন্যের কোটায়। তাই শেয়ার বাজারে ভাল কোম্পানিতে দীর্ঘ মেয়াদে নিরাপদ এবং টেকসই বিনিয়োগ করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই বেশ কিছু বেসিক বিষয় মাথায় রাখতে হবে। কিন্তু কি সেই বিষয় গুলো? - এই নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে এই পোস্টে।  আজকের এই লেখায় আমি আপনাদের জানাব, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের এমন ৫ টি অব্যর্থ টেকনিক, যেগুলো না জেনে বিনিয়োগ করা কখনই উচিৎ হবে না। আর এই টেকনিক গুলো সার্বজনীন, অর্থাৎ এগুলো যেকোন দেশের যে

ক্রেডিট কার্ডের সুদ হিসাবের ভয়ঙ্কর পদ্ধতি এবং চক্রবৃদ্ধির সুদের ফাঁদ থেকে বাঁচার উপায়

আপনি মানেন আর না মানেন, এটা সত্যি যে, ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড (Credit Card) অনেকের জীবনেই ধ্বংস ডেকে এনেছে। ক্রেডিট কার্ডের উচ্চ সুদের ভয়ঙ্কর ঋণের ফাঁদে পড়ে অনেকের জীবনেরই আজ ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। এর অন্যতম একটি কারণ, ক্রেডিট কার্ডের সুদ হিসাবের ভয়ঙ্কর পদ্ধতি। অনেকেই জানেন না, ব্যাংক গুলোতে ঠিক কি পদ্ধতিতে ক্রেডিট কার্ডের সুদ হিসাব করা হয়? আবার ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা ও অসুবিধা গুলো আসলে কি, সেটাও অনেকে জানে না। অথচ একটু বুদ্ধি খাটিয়ে স্মার্টলি ব্যবহার করতে পারলেই কিন্তু Credit Card থেকে অনেক সুবিধা নেয়া যায়।  যাইহোক, ক্রেডিট কার্ড আসলে কি এবং Credit Card ব্যবহার করতে গিয়ে কেন এবং কিভাবে মানুষ চক্রবৃদ্ধি হারে সুদের গ্যাড়াকলে আষ্টেপৃষ্ঠে আটকে পড়ে, সেইসব রহস্যই ভেদ করার চেষ্টা করেছি আজকের এই পোস্টে।  Credit Card স্মার্টলি ব্যবহার করার জন্য এর সাথে সম্পর্কিত সকল তথ্য সঠিক ভাবে জানা প্রয়োজন। বিশেষ করে বিভিন্ন Bank- এর ক্রেডিট কার্ডের সুদের হার এবং নানা ধরনের চার্জ গুলো সম্পর্কে না জানলে বিপদে পড়ার সম্ভাবনা প্রায় শতভাগ। কেননা এই তথ্যগুলো না জানা কিংবা গুরুত্ব না দেয়ার কারণেই ক্রেডিট কার্ড মান

আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের মাধ্যমে সমাজে নিজের গুরুত্ব বাড়িয়ে তোলার উপায়

শুধুমাত্র বিপুল টাকা-পয়সা কিংবা সম্পদের পাহাড়ের মালিক হলেই কেউ অন্যের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে না। নিজেকে অন্যদের কাছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ করে তলার জন্য ব্যক্তির মধ্যে বিশেষ কিছু গুণ বা বৈশিষ্ট্য থাকতে হয়। এসব গুণ বা বৈশিষ্ট্য অর্জন করতে পারলেই কেবল আপনি নিজেকে অন্যের কাছে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে পারবেন।  জীবনে সফল হতে হলে, অবশ্যই নিজের গুরুত্ব বাড়াতে হবে এবং অন্যদের মাঝে নিজেকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে জায়গা করে নিতে হবে। আজকের পৃথিবীর সফল ব্যক্তি যারা, তারাও সফল হওয়ার অনেক আগে থেকেই নিজেদেরকে সমাজের কাছে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছেন, যা তাদেরকে আজকের এই পর্যায়ে আসতে সাহায্য করেছে।  জীবনে সফল হওয়ার জন্য কেউ যখন কাজ করতে থাকে, ঠিক তখন থেকেই তাকে নিজের গুরুত্ব বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হয়। তা না হলে পরবর্তীতে, নিজেকে সামজের অন্যদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলাটা অনেক কঠিন হয়ে যায়। তাই নিজেকে সবার মাঝে ধনী তথা সফল ব্যক্তিদের মত গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে চাইলে, এখন থেকেই আপনাকে কাজ শুরু করে দিতে হবে। কিন্তু কিভাবে নিজের মধ্যে ধনীদের মত আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব গড়ে তুলে নিজেকে সবার মাঝে গুরুত্বপূর্ণ করে

এ যুগের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যেভাবে কর্মীদের বেতন নির্ধারণ করে

আপনি কি জানেন, বেসরকারি চাকরিতে কিভাবে আপনার বেতন নির্ধারণ করা হয়?  নিয়োগকর্তা বা কোম্পানিগুলো ঠিক কি পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত নেয়, আপনার বেতন কত হবে? কেন একই যোগ্যতা থাকার পরও ভিন্ন ভিন্ন কোম্পানি ভিন্ন ভিন্ন অংকের বেতন দেয়? কিভাবে আপনার চেয়ে ১০ বছরের ছোট ছেলেটা আপনার চেয়ে বেশি বেতনে জয়েন করল? বেতনের ক্ষেত্রে সিনিয়রিটি নাকি দক্ষতা, কোনটিকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়? এসব প্রশ্নের  উত্তর নিয়েই আজকের এই পোস্ট।  আজকে এখানে আমি ব্যাখ্যা করেছি বেতন নির্ধারণের মূল ৫ টি ফ্যাক্টর, যেগুলো বেতন নির্ধারণের ক্ষেত্রে সারাবিশ্বেই সাধারনভাবে চর্চা করা হয়। কোন একটি কোম্পানিতে কার বেতন কত হবে, সেটা আসলে নির্ভর করে অনেকগুলো ফ্যাক্টরের ওপর।  আর নিয়োগকারী কোম্পানি কোন ফ্যাক্টরকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে সেটাও আপনার বেতনের অংকে প্রভাব ফেলতে পারে। যেকারনে একই সমান অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকার পরও দুটি ভিন্ন কোম্পানিতে দু’জনের আলাদা অংকের বেতন হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। তবে একটি আদর্শ কোম্পানিতে সাধারণত কিভাবে কোন এমপ্লোয়ির বেতন নির্ধারণ করা হয়, সেটা জানা থাকলে ব্যাপারটা বুঝতে সবার সুবিধা হবে। আসুন দেখা যাক কিভাবে সেটা

বাংলাদেশে স্বর্ণে বিনিয়োগ আসলে কতটা লাভজনক?

বাংলাদেশে সোনা বা স্বর্ণে বিনিয়োগ করা সত্যিকার অর্থেই আসলে কতটা লাভজনক এবং এদেশে  স্বর্ণ কিনে রেখে দিলে আপনার ভবিষ্যৎ কি  সেটা জানার জন্য সম্প্রতি আমি বেশকিছু খোঁজ-খবর করি এই ব্যাপারে।  এটা করতে গিয়ে দেখলাম, এই বিষয়টাতে বাংলাদেশে অনেক হিডেন ব্যাপার-স্যাপার আছে, যা সবার পক্ষে সাধারণভাবে জানা কখনই সম্ভব নয়।  এমনকি সোনা বা স্বর্ণ কিনতে গেলেও দোকানদাররা আপনাকে এসব কথা জানাবে না, কিন্তু যখনই বেচতে যাবেন, তখনই বুঝবেন স্বর্ণে বিনিয়োগ করাটা আপনার কতটা সঠিক কিংবা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল।  তাই  স্বর্ণ কিনে রেখে দিলে বাংলাদেশে আপনার ভবিষ্যৎ কি - সে বিষয়টি নিয়েই আজকে আলোচনা করব। তবে বিষয়টি ভালভাবে বোঝার জন্য, বাংলাদেশের বিষয়াদি আলাপের আগে, আসুন জেনে নেই, স্বর্ণে বিনিয়োগের কিছু বেসিক বিষয় এবং আন্তর্জাতিক মার্কেটে স্বর্ণে বিনিয়োগ করার পুরো চক্রটা ঠিক  কিভাবে  কাজ করে, সে সম্পর্কে।  কেন স্বর্ণে বিনিয়োগ করা হয়?  ডলার হোক কিংবা টাকা , যেকোন মুদ্রার মান বা ভ্যালু যখন কমতে থাকে , তখন সারা বিশ্বেই মানুষজন বিকল্প এসেট ক্লাস হিসেবে সোনা বা স্বর্ণের মত দামী ধাতুতে বিনিয়োগ করে। বিনিয়োগের জন্য দামী এবং প্রয়োজনীয় ধ