কিন্তু নতুন অফিসে নিজেকে খাপ খাওয়ানোর জন্য সহকর্মী বা কলিগদের সাথে দ্রুত বন্ধুত্ব তৈরি করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কেননা, প্রথম প্রথম সবাই আপনাকে একজন আগুন্তক হিসেবেই দেখবে, তাই দ্রুততার সাথে অফিসের অন্য সবার সাথে মিশে যেতে না পারলে, কাজ করে মজা পাবেন না। সবসময় নিজেকে খাপছাড়া মনে হবে, আর তখন এর প্রভাব গিয়ে পড়বে আপনার পারফরম্যান্সে।
আর নতুন অফিসে এসেই যদি নিজেকে হারিয়ে ফেলেন, তাহলে আপনার পারফরম্যান্স ড্রপ হতে শুরু করবে। আর এটা যদি হয়, তাহলে পরবর্তীতে আর সহজে নিজেকে খুঁজে পাবেন না। তখন ঐ অফিসে আপনি যতদিন থাকবেন, ততদিনই আপনাকে নিজের সাথে আপস করে চলতে হবে, কাজ করে আর তৃপ্তি পাবেন না।
তাছাড়া সহকর্মীদের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে না পারলে আপনি কোন টিম-ওয়ার্ক ঠিকমত করতে পারবেন না। অফিসের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইনফরমেশন হয়ত আপনার কাছে আসবে না। তখন কর্পোরেট পলিটিক্সের শিকার না হলেও শেষ পর্যন্ত হয়ত অফিসে টিকে থাকাই আপনার জন্য কঠিন হয়ে যাবে!
তাই কর্মস্থলে সহকর্মী বা কলিগদের সাথে বন্ধুত্ব তৈরি করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর কিভাবে অফিসে দ্রুত বন্ধু বানাবেন, সে বিষয়টি নিয়েই লিখেছি আজকের এই পোস্টে।
সহকর্মীদের সাথে দ্রুত বন্ধুত্ব করার জন্য ৫টি টিপস আজকে আমি শেয়ার করছি আপনাদের সাথে। এই টিপস গুলো কাজে লাগিয়ে দেখতে পারেন, আপনার সমস্যার সমাধান হয় কি না!
টিপসঃ এক
সকাল সকাল অফিসে এসে ছোট-খাট একটা আড্ডা দিন
নতুন অফিসে জয়েন করার পর, প্রথম দিকে আপনাকে সকাল সকাল অফিসে আসতেই হবে, একদম লেট করা যাবে না। কারণ জানেনই তো, লেট করলেই দেরি হয়ে যায়!
যাইহোক, সময়ের আগেই অফিসে আসার এই সুযোগটি আপনি কাজে লাগাতে পারেন আপনার সহকর্মীদের সাথে বন্ধুত্ব তৈরিতে।
সকালে এসেই নতুন সহকর্মীদের সাথে একটা ছোট-খাট আড্ডা দিন। এতে করে, আপনি যেমন আপনার কলিগদের সাথে ফ্রি হতে পারবেন, তেমনি তারাও আপনার সাথে সহজ হতে পারবে।
আর একবার সবার সাথে ফ্রি হয়ে গেলে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন, কার সাথে কিভাবে বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে হবে।
টিপসঃ দুই
সহকর্মীদের সাথে একত্রে লাঞ্চ করুন
দুপুরের খাবারে কলিগদের সাথে যোগ দিন। লাঞ্চ টাইমে মানুষ বেশ হালকা মেজাজে থাকে। আর অফিসে লাঞ্চ টাইমে কর্মীরা নানা বিষয় নিয়ে একে অন্যের সাথে কথা বলে।
তাই প্রতিদিন সহকর্মীদের সাথে একত্রে লাঞ্চ করার চেষ্টা করুন। দেখবেন, খাবার টেবিলেই আপনার সাথে অনেকের বন্ধুত্ব হয়ে গেছে।
আর বন্ধুত্ব গাঢ় হলে দেখবেন, প্রায়ই হয়ত ফ্রি লাঞ্চ কপালে জুটবে!
টিপসঃ তিন
কলিগদের নাম মনে রাখুন
এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সহকর্মীদের নাম আপনার মনে রাখাটা জরুরী। অবশ্য অনেকের জন্যই এটা বেশ কষ্টকর। তবে বন্ধুত্ব করতে চাইলে, আপনাকে আপনার সহকর্মীদের নাম মনে রাখতেই হবে।
যারা সহজে অন্যের নাম মনে রাখতে পারেন না, তারা প্রয়োজন হলে, মোবাইলে ছবি সহ সবার নাম সেভ করে রাখতে পারেন অথবা অন্য কোথাও লিখে রাখতে পারেন।
নতুন অফিসে কারও নাম ভুল করবেন না। এতেকরে অনেকেই মন খারাপ করতে পারে এমনকি কেউ কেউ আবার মনে মনে আপনার উপর ক্ষেপেও যেতে পারে। আর তাতে আপনার বন্ধুত্ব তৈরির চেষ্টা হোঁচট খেতে পারে।
তাই একটু কষ্ট করে হলেও সবার নাম মনে রাখার চেষ্টা করুন।
টিপসঃ চার
অফিস শেষে চা, কফি কিংবা ড্রিংকসে কলিগদের সাথে যোগ দিন
নতুন অফিসে আপনি তাড়াতাড়ি আসেন বলে, অফিস টাইম শেষ হওয়ার সাথে সাথেই বাসায় রওনা হবেন না। অফিস শেষেও কিছুটা সময় সহকর্মীদের দিন। তাদের সাথে চা, কফি কিংবা ড্রিংকসে যোগ দিন।
বিশেষ করে পুরুষ কর্মীদের জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চা কিংবা কফির আড্ডায় আপনার সাথে সবার বোঝাপড়া যত দ্রুত গড়ে উঠবে, অন্যকোন উপায়ে তা এত সহজে সম্ভব নয়।
টিপসঃ পাঁচ
অন্য সহকর্মীদের কাজে সাধ্যমত সাহায্য করুন
অফিসে আপনি নিজের কাজের পাশাপাশি অন্য কলিগদেরও যতটা পারেন সাহায্য করুন। এতে করে আপনার বন্ধুত্বের আন্তরিকতা নিয়ে কারও মনে আর কোন সংশয় থাকবে না।
সবাই যখন দেখবে, আপনি অফিসে যথেষ্ঠ হেল্পফুল, তখন আর আপনাকে আপন করে নিতে সবার কোন সমস্যা হবে না।
আজ এ পর্যন্তই থাক। নতুন অফিসে দ্রুত বন্ধু বানানোর আরও কোন উপায়ের কথা যদি আপনার জানা থাকে, তাহলে সেটা আমাদেরকে নিচে কমেন্ট করে জানান।
বিষয়টি আরো ভালভাবে বুঝতে নিচের ভিডিওটি দেখে নিতে পারেন।
বি.দ্রঃ এ ধরনের তথ্যগুলি সময়ে সময়ে পরিবর্তন হয়ে থাকে। তাই বর্তমান সময়ের একচুয়াল তথ্যের সাথে পোস্টের তথ্যের পার্থক্য থাকতে পারে। ডিসক্লেইমার জানতে এবং পোস্ট ব্যবহারের আগে শর্তাবলী দেখে নিন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মতামত জানান।