সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

যে কারণে বেতন বাড়লেও চাকরিজীবীদের কখনো অভাব দূর হয় না

Stay Broke with No Money
চাকরিজীবীদের জীবন যেন একটা তৈলাক্ত বাঁশ, বেতন বাড়লেও অভাব যায় না কিছুতেই! 


ভালো আয় এবং প্রতিবছর নিয়মিত বেতন বাড়ার পরও চাকরিজীবীদের অনেকেই টাকা পয়সার টানাটানিতে থাকে সবসময়। এক অদৃশ্য গরীব হয়ে জীবন যাপন করে সারা জীবন।


কিন্তু কেন এমন হয়? চাকরি করেও লোকে কেন অভাবে থাকে? বছর বছর বেতন বৃদ্ধি কি তাহলে কোন কাজেই লাগে না?


বাস্তবতা হচ্ছে, বানরের তৈলাক্ত বাঁশে ওঠার অংকের মতই, বেতন যতই বাড়ুক না কেন অনেকেরই গরিবানা যায় না, অভাবে থেকেই যায়।


প্রতিবার ভাবে, এবার বেতন বাড়লে হয়ত সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু শেষে এসে দেখা যায়, যে লাউ, সেই কদু! বেতন বাড়লেও জীবনের কোন উন্নতি হয় না, অনেকে উল্টো আরও গরীব হয়ে যায়, অভাব পিছু ছাড়ে না কিছুতেই।


বানরের তৈলাক্ত বাঁশে ওঠার অংকের মত, শত চেষ্টা করেও বানরটি যেমন সহজে বাঁশের ডগায় চড়তে পারে না, তেমনি প্রতি বছর বেতন বাড়লেও আপনার পকেটের অবস্থা যা ছিল তাই থেকে যায়।


তারমানে এই না যে, আপনি বেহিসেবি খরচ করেন। বরং আগের চেয়ে অনেক খরচ কমিয়ে ফেলেছেন, কিন্তু তাতেও অবস্থার কোন পরিবর্তন নেই।  উল্টো মাঝে মাঝে আগের সঞ্চয় ভেঙ্গেও দৈনন্দিন খরচ চালিয়ে নিতে হচ্ছে।


কিন্তু কেন এমন হয়? সমস্যাটা আসলে কোথায়? আর আপনি কি শুধু একাই এই অবস্থার মধ্যে আছেন?


কেন এমন ঘটে তার কারণ মূলত দুটি। একটি কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণ করা যায়, আর অন্যটি সাধারণ মানুষের নিয়ন্ত্রনের বাইরে।


এ বিষয় গুলো নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে আজকের এই পোস্টে। আশাকরি পুরোটা পড়লে অনেকেরই উপকার হবে।



কেন এমন হয়?


প্রতিবছর নিয়মিত বেতন বাড়ার পরও কেন আপনি গরিবই থেকে যান, তার মুল কারন আসলে দুটি।


এর মধ্যে একটিকে আপনি কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রন করতে পারেন, আর অন্যটি পুরপুরিভাবেই আপনার নিয়ন্ত্রনের বাইরে। আপনি শুধু এর খেসারত দেন সার্বক্ষণিক।


মূলত দ্বিতীয় কারণটির জন্যই আপনি গরীব আর বেতন যতই বাড়ুক না কেন শেষ পর্যন্ত আপনি গরিবই থেকে যান!


যাইহোক, এবারে কারণ দুটিকে একে একে বিশ্লেষণ করি।



প্রথম কারণ

উচ্চ শিক্ষিত হয়ে ভালো বেতনের চাকরি করার পরও কেন আপনি গরীব, তার প্রথম কারণটি হল, আপনি নিজে!


হ্যা, আপনি নিজেই নিজের গরিবানা অবস্থার জন্য দায়ী।


ব্যাক্তিগত আর্থিক ব্যবস্থাপনায় দক্ষ না হলে যতই উপার্জন করুন না কেন, শেষ পর্যন্ত আপনি গরীবই থেকে যাবেন।


অনেকেই টাকা আয় করে ঠিকই, কিন্তু খরচের ক্ষেত্রে কোন রকম আর্থিক ব্যবস্থাপনা করে না। 


আর্থিক ব্যবস্থাপনা হচ্ছে এমন একটি বিষয়, যা আপনাকে আপনার প্রতিটা খরচের খাতের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ রাখতে সাহায্য করবে।


কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, বেশিরভাগ মানুষেরই ব্যক্তি জীবনে কোন রকম আর্থিক ব্যবস্থাপনা নেই। 


একারণে, অনেকেই ব্যয় করে তাৎক্ষণিক প্রয়োজনের ভিত্তিতে। আয়ের হিসেব থাকলেও এই সমস্ত মানুষের ব্যায়ের কোন হিসাব নেই।


যে কারনে, যখন যে প্রয়োজন সামনে আসে তখন সেখানেই টাকা খরচ করতে হয়। ফলে মাসের মাঝামাঝি বা শেষের দিকে এসে পকেটে আর কোন টাকাই থাকে না।


এরমধ্যে আবার বড় ধরনের কোন বিপদ বা আসুখ-বিসুখের ঘটনা ঘটলে ঋণ করা ছাড়া তখন আর কোন উপায় থাকে না।


আবার অনেকে আছেন, ভবিষ্যতে বেতন বাড়বে বলে এখন থেকেই খরচ করা শুরু করে দেয়, না হয় খরচের খাত তৈরি করে রাখে। 


এরফলে বেতন যখন বাড়ে তখন আর তার সুফল সেভাবে পাওয়া যায় না।


আর বেতনভুগি মানুষের জন্য একবার ঋণের জালে আটকা পড়লে, সেখান থেকে বেরিয়ে আসা অনেক কঠিন। 


কেননা, দিনে দিনে অন্যান্য প্রয়োজনগুলোর পরিমাণ বাড়তেই থাকে আর ঋণ থাকলে তা শোধ করা আরও কঠিন হয়ে ওঠে।


কিন্তু আপনি চাইলেই এই সমস্যাটিকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। কেননা এই পুরো বিষয়টিই আপনার কন্ট্রোলে রয়েছে।


একটু খেয়াল করলেই দেখবেন, আপনার খরচ গুলো আসলে দুই ভাগে বিভক্ত। কিছু খরচ আছে, যেগুলো প্রতিমাসে নির্দিষ্ট। এই যেমন আপনার বাড়ি ভাড়া, বাচ্চাদের স্কুলের ফি, পানি বিল, গ্যাস বিল ইত্যাদি।  


এমনকি মোবাইল এবং বিদ্যুৎ বিলও প্রতিমাসে আপনার কেমন আসে তার একটা ধারণা আপনার আছে।


সুতরাং যে খরচগুলো ফিক্সড, সেগুলো নিয়ে আপনার তেমন কোন চিন্তা নাই। কেননা, আপনি জানেন এই ব্যায়গুলো আপনাকে করতেই হবে আর এই পরিমাণ টাকা আপনাকে প্রতিমাসে উপার্জন করতেই হবে!


কিন্তু সমস্যা হয়, যে খরচগুলো ফিক্সড নয়, সেগুলো নিয়ে। এগুলোকে বলে ভেরিয়েবল কষ্ট বা পরিবর্তনশীল খরচ। এই যেমন ধরেন আপনার বাজার খরচ, হাত খরচ, যাতায়াত, আপ্যায়ন, সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য উপহার সামগ্রী কেনা, আসুখ-বিসুখ এমন কি আত্মীয়-স্বজনের বিপদ-আপদ ইত্যাদি।


এর মধ্যে বাজার খরচের জন্য আপনার স্বাভাবিক একটা প্রস্তুতি থাকলেও কেনার সময় দেখা যায় এমন অনেক কিছুই কেনা হয়ে যায়, যেগুলো আসলে না কিনলেও চলত। আর বাড়তি বেতনের টাকা পকেটে থাকলে তো কোন কথাই নেই!


কিন্তু অন্যান্য খরচগুলোর জন্য কারও তেমন কোন প্রস্তুতি থাকে না। বেশিরভাগ মানুষই এই খরচ গুলো করে থাকে যখন যেটা সামনে আসে, তার ভিত্তিতে। 


ফলে মাসের শুরুর দিকে কোন একটি খাতে একটু বেশি খরচ হয়ে গেলেই পরের দিকে অন্য খাত গুলোর জন্য আর কোন বরাদ্দ থাকে না। 


আর ঠিক তখনি আপনার গরিবানা হালটা প্রকাশ হয়ে পড়ে।


কিন্তু আপনি যদি আপনার ব্যক্তিগত অর্থনৈতিক জীবনকে ভালভাবে ব্যবস্থাপনা করতে পারেন, তাহলে দেখবেন খুব সহজেই ভেরিয়েবল বা পরিবর্তনশীল খরচ গুলোকে ফিক্সড খরচে রূপান্তর করা যায়।


সেটা করার জন্য প্রথমেই সমস্ত অপ্রয়োজনীয় খরচ বাদ দিন। এরপর আপনার প্রতিটা ভেরিয়েবল খরচের জন্য একটা করে ফিক্সড বাজেট নির্ধারণ করুন।


বাজেট নির্ধারণের সময় চলতি মাসের সেই খাতের প্রকৃত খরচের চেয়ে ৫ শতাংশ বাড়িয়ে নির্ধারণ করুন। তাহলে, সময়ের সাথে খরচের সামান্য হেরফেরের জন্য আপনার আর পরে বাজেট ফেইল হবে না।


প্রতিটা খাতের বাজেট হয়ে গেলে আরেকটি খাতের জন্য একটি অতিরিক্ত বাজেট বানাতে হবে।


এই খাতের নাম দিন ‘ব্যাকআপ’। অর্থাৎ এই খাতের টাকা আপনি কেবল তখনই খরচ করবেন, যখন অন্য কোন বাজেট হঠাত করে ফেল করবে। আর কাজে না লাগলে এটা আপনার সঞ্চয় হিসেবে থেকে যাবে।


আপনি যদি এভাবে সব খাতের বাজেট করেন, তাহলে আপনার সব খরচই একটা ফিক্সড খরচে রুপ নেবে আর আপনার হিসেব রাখতে সুবিধা হবে।


আপনি জানবেন, মাসে আপনার মিনিমাম কত টাকা লাগবে আর ঠিক কত টাকা হলে আপনি ভালভাবে চলতে পারবেন।


এখন আপনি আপনার খরচ অনুযায়ী আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারেন অথবা আপনার আয় অনুযায়ী খরচের ফিক্সড খাত তৈরি করতে পারেন। 


এতে করে ভবিষ্যতে বেতন বাড়লে, তা আর আপনার সাথে সাথে  খরচ হয়ে যাওয়ার রিস্ক থাকবে না। 


আপনি কিছুটা হলেও আর্থিকভাবে স্বস্তি পাবেন।



দ্বিতীয় কারণ


এবার আসা যাক দ্বিতীয় কারণটিতে, যেটা আপনার নিয়ন্ত্রনের বাইরে। 


এটা একটা ক্ষুধার্ত দানবের মত আর এই দানবের খাবারের যোগান দিতে আপনি বাধ্য!


এই দানব যত বড় হয়, এর ক্ষুধা তত বাড়তে থাকে আর আপনি ততই গরীব হতে থাকেন! এই দানব আপনার সৃষ্টি না হয়ে থাকলেও এর খেসারত দিতে হয় আপনাকে, আমাকে সবাইকে।


এই দানবের নাম হচ্ছে ইনফ্লেশন বা মুদ্রাস্ফীতি


Reason of No Money in Hand
যারা অর্থনীতির কঠিন শব্দ বুঝতে পারেন না,  তাদের জন্য সহজ করে বললে বলা যায় যে, মুদ্রাস্ফিতি হচ্ছে সেই জিনিস যার কারনে মূল্যস্ফীতি ঘটে।


অর্থাৎ আপনি যখন দেখেন কোন কারন ছাড়াই কোন দ্রব্য বা সেবার দাম বেড়ে গেছে, তখন বুঝবেন, সেটা হয়েছে মুদ্রাস্ফিতির কারণে।


এই ইনফ্লেশনই আপনার খরচের পরিমাণ দিনে দিনে বাড়িয়ে দিচ্ছে, যা আপনার নিয়ন্ত্রনের বাইরে।


ইনফ্লেশন কেন হয়, সেটা আজকে নয়, বরং অন্য কোন দিন আলোচনা করব। তবে কিভাবে ইনফ্লেশনের চড়া মুল্য আমাদের সবাইকে দিতে হচ্ছে, সেটা আজকে তুলে ধরব।


ধরুন, কোন এক দেশের সরকার ঘোষণা করল যে, সেদেশে এবছর মুদ্রাস্ফিতি বা ইনফ্লেশনের হার ১০  শতাংশ। 


এরমানে হচ্ছে, সেদেশে এবছর সবকিছুর দাম গড়ে ১০ শতাংশ বেড়েছে। এটা শুধু দ্রব্য এবং সেবার গড় মুল্য বৃদ্ধি। এর বাইরে যদি সরকার আবার ইনকাম ট্যাক্স বাড়ায় তাহলে সেটা এর সাথে যোগ হবে।


এখন কথা হচ্ছে, গতবছর যে জিনিস কিনতে আপনি ১০০ টাকা খরচ করেছেন, ইনফ্লেশনের জন্য এবছর সেই একই জিনিস কিনতে আপনাকে খরচ করতে হচ্ছে ১১০ টাকা। 


অর্থাৎ এবছর আপনি যদি অর্থনৈতিক ভাবে শুধু গত বছরের সমান হয়েই থাকতে চান, তাহলেও আপনাকে গত বছরের চেয়ে অন্তত ১০ শতাংশ আয় বাড়াতে হবে।


কিন্তু আপনার বেতন যদি এবছর ১০ শতাংশ না বাড়ে, তাহলে আপনি কিন্তু গতবছরের চেয়ে গরীব হয়ে যাবেন।


ধরুন, এবছর আপনার বেতন বেড়েছে ৫ শতাংশ আর মুদ্রাস্ফিতির হার ১০ শতাংশ। তারমানে আপনি বেতন বাড়া সত্ত্বেও এবছর গত বছরের চেয়ে ৫ শতাংশ গরীব হয়ে গেছেন।


কিন্তু এই হিসবের মধ্যে একটা ফাঁক আছে। আসুন এবারে দেখি সেটা কি?


ধরুন, ইনফ্লেশনের হার ১০ শতাংশ আর আপনার বেতনও বাড়ল ১০ শতাংশ। কিন্তু তারপরও আপনার অবস্থা দিন দিন গরিবানার দিকে যাচ্ছে, কিন্তু কেন?


এর উত্তর লুকিয়ে আছে প্রথম কারণটির মধ্যে, যেটা আপনার কন্ট্রোলে থাকে। 


আসলে সরকার যে মুদ্রাস্ফিতির হার ঘোষণা করে, সেটা হল সারা দেশের সমস্টিক অর্থনীতির গড় হার। আপনি ব্যাক্তি জীবনে যে খাত গুলোতে খরচ করেন শুধু সেগুলোর হার নয়।


দেশের গড় মুদ্রাস্ফিতি ১০ শতাংশ হলেও আপনার জীবনের মুদ্রাস্ফিতি হয়ত এবছর ২৫ শতাংশ। কিন্তু আপনার বেতন বেড়েছে দেশের গড় হারের সাথে সমন্বয় করে ।


সুতরাং আপনার বেতন ১০ শতাংশ বাড়লেও আপনি আসলে প্রকৃত অর্থে এবছর গতবছরের চেয়ে ১৫ শতাংশ বেশি গরীব হয়ে গেছেন।


আর সেকারনেই এবছর আপনাকে হয়ত সঞ্চয় ভেংগে খরচ করতে হবে, খরচের খাতে নতুন কোন কিছু যোগ না হওয়ার পরও।


অর্থাৎ আপনার বেতনের বাড়তি অর্থ চলে গেছে মুদ্রাস্ফিতি নামক সেই দানবটার পেটে। আর এ থেকে আপনার কোন মুক্তি নেই। 


আর এভাবেই চাকরিজীবীরা প্রতিনিয়ত অভাবের গ্যাঁড়াকলে পিষ্ট হয়ে চলেছে অনন্তকাল ধরে। অভাবের এই চক্র থেকে বের হতে হলে, আপনাকে অবশ্যই মুদ্রাস্ফীতির চেয়ে বেশি হারে প্রতিবছর আয় বাড়াতে হবে এবং নিজের খরচের খাতে লাগাম টানতে হবে। এছাড়া ার কোন উপায় নেই! 


বিষয়টি ভালভাবে বুঝতে নিচের ভিডিওটি দেখে নিতে পারেন। 



বি.দ্রঃ এ ধরনের তথ্যগুলি সময়ে সময়ে পরিবর্তন হয়ে থাকে। তাই বর্তমান সময়ের একচুয়াল তথ্যের সাথে পোস্টের তথ্যের পার্থক্য থাকতে পারে। ডিসক্লেইমার জানতে এবং পোস্ট ব্যবহারের আগে শর্তাবলী দেখে নিন।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টগুলি

Provident Fund এবং Gratuity আসলে কি? কিভাবে প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্রাচ্যুইটির হিসাব করা হয়?

চাকরিতে বেতনের বাইরে আরও যেসব আর্থিক সুবিধাদি থাকে, তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে প্রভিডেন্ট ফান্ড ( Provident Fund ) এবং গ্রাচ্যুইটি ( Gratuity )। কিন্তু এসব বিষয়ে অনেকেরই তেমন কোন সুস্পষ্ট ধারনা নেই। অনেকেই জানেন না, প্রভিডেন্ট ফান্ড (PF) এবং গ্রাচ্যুইটি (Gratuity) আসলে কি? এগুলো কিভাবে কাজ করে আর এখান থেকে কি ধরেনর সুবিধা পাওয়া যায়? প্রত্যেক চাকরিজীবীর জানা থাকা দরকার যে, কিভাবে প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্রাচ্যুইটির হিসাব করা হয়? কিন্তু বাস্তবতা হল, নিজ চাকরিতে এসব সুবিধা থাকার পরও অনেকই বিষয়গুলো ভাল করে বোঝেন না। অথচ একজন স্মার্ট ক্যারিয়ারিস্ট হিসেবে প্রত্যেকের উচিৎ চাকরি সংশ্লিষ্ট প্রতিটি সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে ভাল করে জানা। আবার যারা চাকরিপ্রার্থী, তারাও এই বিষয় গুলো তেমন একটা বোঝে না। বিভিন্ন চাকরির বিজ্ঞাপনে প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্রাচ্যুইটি সুবিধার কথা লেখা দেখে অনেকেই কিছু না বুঝেই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে, যা অনেক সময়ই তাদের প্রত্যাশার সাথে মেলে না। যেহেতু প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্রাচ্যুটি হচ্ছে বেতনের বাইরে প্রাপ্ত আর্থিক সুবিধা, তাই এগুলো সম্পর্কে ভাল করে জানাটা জরুরী। তাই এসব বিষয় নিয়েই

যে ১০টি দক্ষতা থাকলে চাকরি পেতে কারও রেফারেন্স লাগে না

বলুন দেখি, চাকরি পেতে কোন জিনিসটি আপনার অবশ্যই থাকতে হবে? টাকা-পয়সা, মামা-চাচা-খালু, নাকি বড় বড় চটকদার ডিগ্রি?  সত্য বলতে আসলে এসব কিছুই না! যে কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েই আপনি মানানসই একটি ভাল চাকরি অনায়াসেই পেতে পারেন, যদি আপনার মধ্যে একটি মাত্র জিনিস থাকে! আর সেই জিনিসটির নাম হচ্ছে দক্ষতা বা স্কিল। এ যুগে চাকরি পেতে হলে একজন প্রার্থীর মধ্যে বেশকিছু দক্ষতা বা Skill অবশ্যই থাকতে হবে। হ্যা, মামা-চাচা-খালু কিংবা ঘুষ দেয়ার জন্য টাকা-পয়সা নয়, এই দক্ষতাই হচ্ছে এযুগে চাকরি পাওয়ার একমাত্র যোগ্যতা। আপনার মধ্যে যদি উপযুক্ত দক্ষতা থাকে, তাহলে চাকরি নিজেই আপনাকে খুঁজে নেবে। আপনাকে আর চাকরির পিছনে দৌড়াতে হবে না। কিন্তু আপনার মধ্যে যদি সময়ের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষতা না থাকে তাহলে, আপনি যতই জুতা ক্ষয় করেন না কেন, সহজে চাকরি পাবেন না। তাই সময়ের চাহিদা অনুযায়ী উপযুক্ত দক্ষতা বা Skill অর্জনের দিকে মনোযোগ দিন।  আর এজন্য ঠিক কি কি দক্ষতা এই যুগের চাকরির জন্য প্রয়োজন, সেটি জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, কিভাবে চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে এবং কিভাবে ভাল একটি চাকরি পাওয়া যায়, সে সম্পর্কে শুরু থেকেই আপনার পর

শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ শুরুর প্রথম পাঠ

কিভাবে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে ব্যবসা করতে হয়, সেটা অনেকেরই অজানা। বিশেষ করে নতুনদের জন্য শেয়ার বাজারে আগমনের পথটা সব সময়ই কঠিন। কেননা, শেয়ার বাজারে শুরুটা ঠিক কিভাবে করতে হয়, সে সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সবসময়ই অপ্রতুল।  শেয়ার বাজার বা স্টক মার্কেট সবসময়ই একটি উচ্চ ঝুঁকপূর্ণ জটিল জায়গা। তাই এখানে আসার আগে প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু পড়াশুনা করে নূন্যতম জ্ঞান নিয়ে আসা উচিত। তা না হলে, শেয়ার বাজারে এসে টাকা খোয়ানো কেউ ঠেকাতে পারবে না!  তবে শুরুতেই ভয় পাওয়ার কিছু নেই! কেননা বিখ্যাত বিনিয়গকারী পিটার লিঞ্চ যেমনটা বলেছেন, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের জন্য পৃথিবীর সব মানুষেরই যথেষ্ট বুদ্ধি-বিবেচনা বোধ রয়েছে। ক্লাস ফাইভের অংক করতে জানেন, এমন লোকও শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করার জন্য উপযুক্ত। তবে কথা আছে। শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের জন্য একজন বিনিয়োগকারীর অবশ্যই যথেষ্ট ধৈর্য, প্রচেষ্টা এবং পর্যাপ্ত সময় ব্যয় করার ইচ্ছা থকতে হবে। আর তাহলেই কেবল একজন বিনিয়গকারী সফল হওয়ার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবে।  তাই আজকের এই লেখায়, আমি শেয়ার  বাজারে বিনিয়োগ শুরু করার বেসিক ধাপ গুলো নিয়ে আলোচনা করব। এই বিষয় গুলো জানাটা সব বিনিয়ো

মাত্র ২ টাকা দিয়ে শুরু করে এক বছরেই লাখ টাকা জমানোর ক্রেইজি উপায়

টাকা জমানো মোটেই সহজ কোন কাজ নয়। অনেকেই নানাভাবে চেষ্টা করেও টাকা জমাতে পারে না। তাই টাকা জমানোর এই কঠিন  কাজটিকে সহজ করতে পৃথিবীতে আবিষ্কৃত হয়েছে নানা তত্ত্ব এবং উপায়। সেখান থেকেই আজ আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব এমন  একটি উপায়, যেটা দিয়ে টাকা জমানোর কাজটা হয়ে যাবে অনেক সহজ, আর এটার শুরুটা করা যাবে মাত্র ২ টাকা দিয়ে। তবে এই পদ্ধতিটির আবিষ্কারক কে, সেটা আমার সঠিকভাবে জানা নেই, তাই কারও নাম উল্লেখ করতে পারলাম না। তবে আপনাদের কারও যদি জানা থাকে, তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। চলুন তাহলে আলোচনা শুরু করি। মাত্র ২ টাকা দিয়ে জমানো শুরু করে কিভাবে ১ বছরেই লাখপতি হওয়া যায়?  মাত্র ২ টাকা দিয়ে জমানো শুরু করে ১ বছরে লাখপতি হওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমে যে কাজটি করতে হবে, সেটি হল, আপনাকে আগে একটা নির্দিষ্ট তারিখ বেছে নিতে হবে, যেদিন থেকে আপনার একবছর গণনা শুরু হবে। বছরের যে কোন দিন থেকে আপনি শুরু করতে পারেন, তবে সেখান থেকে একটানা ৩৬৫ দিনের হিসাব আপনাকে ঠিক ভাবে রাখতে হবে। দ্বিতীয়ত, এ পদ্ধতির সফলতার জন্য আপনার একাগ্রতা এং নিষ্ঠার দরকার হবে। মাঝপথে ছেড়ে যাওয়া যাবে না। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ঠিক ভাবে লেগে থ

আয় যেমনই হোক, সঞ্চয় বাড়ানোর সেরা জাপানি কৌশলে টাকা জমবে সহজে

সবাই টাকা জমাতে চায়, তবে বাস্তবতা হল, সবার টাকা জমানোর ক্ষমতা কিন্তু সমান নয়। বেশি আয় করলেই যে বেশি সঞ্চয় করতে পারবেন, বিষয়টা মোটেই তেমন নয়। সেকারণে দেখা যায়, অনেকেই অল্প আয় করেও অনেক টাকা জমিয়ে ফেলে, আবার অনেকে প্রচুর আয় করেও এক পয়সাও জমাতে পারে না!  তাই সঞ্চয়ের জন্য সবার আগে জানতে হবে, আপনার আসলে টাকা জমানোর প্রকৃত ক্ষমতা কতটুকু? আর এটা জানার জন্য আমরা ব্যবহার করব শতাধিক বছরের পুরনো জাপানি পদ্ধতি, যার নাম 'কাকিবো' (জাপানি ভাষার উচ্চারণ ভিন্ন হতে পারে) । এই জাপানি পদ্ধতিতে আপনি মাত্র ৪টি সহজ প্রশ্নের উত্তর দিয়েই যাচাই করতে পারবেন, আপনার আসলে সঞ্চয়ের ক্ষমতা কতটুকু। শুধু তাই নয়, কাকিবো  আপনার সঞ্চয়রে সামর্থ্য কিভাবে বাড়িয়ে তোলা যায়, সে পদ্ধতিও বাতলে দিবে।   কাকিবো পদ্ধতির জন্ম  ১৯০৪ সালে, জাপানে। পারসোনাল ফিন্যান্স বা ব্যক্তিগত বাজেট ম্যানেজম্যান্টের জন্য এইপদ্ধতিটি আবিষ্কার করেন, জাপানি নারী সাংবাদিক হানি মটোকো।   অনেকেই কাকিবোকে টাকা জমানোর একটি উপায় বলে মনে করেন, যা আসলে সঠিক নয়। সত্য কথা হল, কাকিবো আসলে টাকা জমানোর কোন পদ্ধতি নয়, এটা হল, আপনার টাকা জমানোর প্রকৃত ক্ষমতা বের

শেয়ার ব্যবসায় মুনাফা করার অব্যর্থ টেকনিক

শেয়ার বাজার বা Stock Market - এ বিনিয়োগ করে ধরা খেতে না চাইলে আপনাকে অবশ্যই কিছু বেসিক নিয়ম মেনে বিনিয়োগ করতে হবে। কেননা, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে যারা ধরা খেয়েছেন, তাদের একটা বড় অংশ এই মার্কেটে বিনিয়োগের বেসিক নিয়ম গুলো জেনেই বিনিয়োগ করে ফেলেছিলেন। শেয়ার বাজার একটি উচ্চ ঝুকি পূর্ণ স্পর্শকাতর জায়গা। তাই এখানে বিনিয়োগ করতে হয় বুঝে শুনে, গুজবের উপর ভিত্তি করে নয়। শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের কিছু বেসিক নিয়ম আছে, যেগুলো বেশিরভাগ বিনিয়োগকারীই জানেন না অথবা বিনিয়োগের সময় সেগুলো প্রয়োগ করেন না। এরফলে তাদের বিনিয়োগ থেকে যায় ঝুঁকিপূর্ণ এবং বাজারের সামান্য উত্থান-পতনেই তাদের বিনিয়োগ নেমে আসে শুন্যের কোটায়। তাই শেয়ার বাজারে ভাল কোম্পানিতে দীর্ঘ মেয়াদে নিরাপদ এবং টেকসই বিনিয়োগ করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই বেশ কিছু বেসিক বিষয় মাথায় রাখতে হবে। কিন্তু কি সেই বিষয় গুলো? - এই নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে এই পোস্টে।  আজকের এই লেখায় আমি আপনাদের জানাব, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের এমন ৫ টি অব্যর্থ টেকনিক, যেগুলো না জেনে বিনিয়োগ করা কখনই উচিৎ হবে না। আর এই টেকনিক গুলো সার্বজনীন, অর্থাৎ এগুলো যেকোন দেশের যে

ক্রেডিট কার্ডের সুদ হিসাবের ভয়ঙ্কর পদ্ধতি এবং চক্রবৃদ্ধির সুদের ফাঁদ থেকে বাঁচার উপায়

আপনি মানেন আর না মানেন, এটা সত্যি যে, ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড (Credit Card) অনেকের জীবনেই ধ্বংস ডেকে এনেছে। ক্রেডিট কার্ডের উচ্চ সুদের ভয়ঙ্কর ঋণের ফাঁদে পড়ে অনেকের জীবনেরই আজ ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। এর অন্যতম একটি কারণ, ক্রেডিট কার্ডের সুদ হিসাবের ভয়ঙ্কর পদ্ধতি। অনেকেই জানেন না, ব্যাংক গুলোতে ঠিক কি পদ্ধতিতে ক্রেডিট কার্ডের সুদ হিসাব করা হয়? আবার ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা ও অসুবিধা গুলো আসলে কি, সেটাও অনেকে জানে না। অথচ একটু বুদ্ধি খাটিয়ে স্মার্টলি ব্যবহার করতে পারলেই কিন্তু Credit Card থেকে অনেক সুবিধা নেয়া যায়।  যাইহোক, ক্রেডিট কার্ড আসলে কি এবং Credit Card ব্যবহার করতে গিয়ে কেন এবং কিভাবে মানুষ চক্রবৃদ্ধি হারে সুদের গ্যাড়াকলে আষ্টেপৃষ্ঠে আটকে পড়ে, সেইসব রহস্যই ভেদ করার চেষ্টা করেছি আজকের এই পোস্টে।  Credit Card স্মার্টলি ব্যবহার করার জন্য এর সাথে সম্পর্কিত সকল তথ্য সঠিক ভাবে জানা প্রয়োজন। বিশেষ করে বিভিন্ন Bank- এর ক্রেডিট কার্ডের সুদের হার এবং নানা ধরনের চার্জ গুলো সম্পর্কে না জানলে বিপদে পড়ার সম্ভাবনা প্রায় শতভাগ। কেননা এই তথ্যগুলো না জানা কিংবা গুরুত্ব না দেয়ার কারণেই ক্রেডিট কার্ড মান

আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের মাধ্যমে সমাজে নিজের গুরুত্ব বাড়িয়ে তোলার উপায়

শুধুমাত্র বিপুল টাকা-পয়সা কিংবা সম্পদের পাহাড়ের মালিক হলেই কেউ অন্যের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে না। নিজেকে অন্যদের কাছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ করে তলার জন্য ব্যক্তির মধ্যে বিশেষ কিছু গুণ বা বৈশিষ্ট্য থাকতে হয়। এসব গুণ বা বৈশিষ্ট্য অর্জন করতে পারলেই কেবল আপনি নিজেকে অন্যের কাছে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে পারবেন।  জীবনে সফল হতে হলে, অবশ্যই নিজের গুরুত্ব বাড়াতে হবে এবং অন্যদের মাঝে নিজেকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে জায়গা করে নিতে হবে। আজকের পৃথিবীর সফল ব্যক্তি যারা, তারাও সফল হওয়ার অনেক আগে থেকেই নিজেদেরকে সমাজের কাছে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছেন, যা তাদেরকে আজকের এই পর্যায়ে আসতে সাহায্য করেছে।  জীবনে সফল হওয়ার জন্য কেউ যখন কাজ করতে থাকে, ঠিক তখন থেকেই তাকে নিজের গুরুত্ব বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হয়। তা না হলে পরবর্তীতে, নিজেকে সামজের অন্যদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলাটা অনেক কঠিন হয়ে যায়। তাই নিজেকে সবার মাঝে ধনী তথা সফল ব্যক্তিদের মত গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে চাইলে, এখন থেকেই আপনাকে কাজ শুরু করে দিতে হবে। কিন্তু কিভাবে নিজের মধ্যে ধনীদের মত আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব গড়ে তুলে নিজেকে সবার মাঝে গুরুত্বপূর্ণ করে

এ যুগের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যেভাবে কর্মীদের বেতন নির্ধারণ করে

আপনি কি জানেন, বেসরকারি চাকরিতে কিভাবে আপনার বেতন নির্ধারণ করা হয়?  নিয়োগকর্তা বা কোম্পানিগুলো ঠিক কি পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত নেয়, আপনার বেতন কত হবে? কেন একই যোগ্যতা থাকার পরও ভিন্ন ভিন্ন কোম্পানি ভিন্ন ভিন্ন অংকের বেতন দেয়? কিভাবে আপনার চেয়ে ১০ বছরের ছোট ছেলেটা আপনার চেয়ে বেশি বেতনে জয়েন করল? বেতনের ক্ষেত্রে সিনিয়রিটি নাকি দক্ষতা, কোনটিকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়? এসব প্রশ্নের  উত্তর নিয়েই আজকের এই পোস্ট।  আজকে এখানে আমি ব্যাখ্যা করেছি বেতন নির্ধারণের মূল ৫ টি ফ্যাক্টর, যেগুলো বেতন নির্ধারণের ক্ষেত্রে সারাবিশ্বেই সাধারনভাবে চর্চা করা হয়। কোন একটি কোম্পানিতে কার বেতন কত হবে, সেটা আসলে নির্ভর করে অনেকগুলো ফ্যাক্টরের ওপর।  আর নিয়োগকারী কোম্পানি কোন ফ্যাক্টরকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে সেটাও আপনার বেতনের অংকে প্রভাব ফেলতে পারে। যেকারনে একই সমান অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকার পরও দুটি ভিন্ন কোম্পানিতে দু’জনের আলাদা অংকের বেতন হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। তবে একটি আদর্শ কোম্পানিতে সাধারণত কিভাবে কোন এমপ্লোয়ির বেতন নির্ধারণ করা হয়, সেটা জানা থাকলে ব্যাপারটা বুঝতে সবার সুবিধা হবে। আসুন দেখা যাক কিভাবে সেটা

বাংলাদেশে স্বর্ণে বিনিয়োগ আসলে কতটা লাভজনক?

বাংলাদেশে সোনা বা স্বর্ণে বিনিয়োগ করা সত্যিকার অর্থেই আসলে কতটা লাভজনক এবং এদেশে  স্বর্ণ কিনে রেখে দিলে আপনার ভবিষ্যৎ কি  সেটা জানার জন্য সম্প্রতি আমি বেশকিছু খোঁজ-খবর করি এই ব্যাপারে।  এটা করতে গিয়ে দেখলাম, এই বিষয়টাতে বাংলাদেশে অনেক হিডেন ব্যাপার-স্যাপার আছে, যা সবার পক্ষে সাধারণভাবে জানা কখনই সম্ভব নয়।  এমনকি সোনা বা স্বর্ণ কিনতে গেলেও দোকানদাররা আপনাকে এসব কথা জানাবে না, কিন্তু যখনই বেচতে যাবেন, তখনই বুঝবেন স্বর্ণে বিনিয়োগ করাটা আপনার কতটা সঠিক কিংবা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল।  তাই  স্বর্ণ কিনে রেখে দিলে বাংলাদেশে আপনার ভবিষ্যৎ কি - সে বিষয়টি নিয়েই আজকে আলোচনা করব। তবে বিষয়টি ভালভাবে বোঝার জন্য, বাংলাদেশের বিষয়াদি আলাপের আগে, আসুন জেনে নেই, স্বর্ণে বিনিয়োগের কিছু বেসিক বিষয় এবং আন্তর্জাতিক মার্কেটে স্বর্ণে বিনিয়োগ করার পুরো চক্রটা ঠিক  কিভাবে  কাজ করে, সে সম্পর্কে।  কেন স্বর্ণে বিনিয়োগ করা হয়?  ডলার হোক কিংবা টাকা , যেকোন মুদ্রার মান বা ভ্যালু যখন কমতে থাকে , তখন সারা বিশ্বেই মানুষজন বিকল্প এসেট ক্লাস হিসেবে সোনা বা স্বর্ণের মত দামী ধাতুতে বিনিয়োগ করে। বিনিয়োগের জন্য দামী এবং প্রয়োজনীয় ধ