সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

যে কারণে ৯০% বিনিয়োগকারীই শেয়ার বাজারে এসে তাদের টাকা হারায়

Investors Lose Money in Stock Market
শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে এসে কেন ৯০% লোকই টাকা হারায় আর মাত্র ১০% লোক মুনাফা করতে পারে, সেটি কোন বিরাট রহস্য নয়! বরং একটু চালাক হলেই যে কেউই সেই ১০ শতাংশ গেইনারদের দলে ঢুকে যেতে পারে।


কিন্তু কেন এবং কিভাবে লোকজন শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে এসে তাদের টাকা হারায়, সেটি বেশিরভাগ মানুষেরই অজানা। আর তাই, আজকের আলোচনা এ বিষয়টি নিয়েই।


মনে রাখতে হবে, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করলেই কেউ হু হু করে ধনী হয়ে যায় না। বরং বাস্তবতা হল, শেয়ার মার্কেটে যারা বিনিয়োগ করে, তাদের মধ্যে শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ লোকই এখানে এসে তাদের টাকা খুইয়ে ফেলে।


এটা বিশ্বের প্রায় সব স্টক মার্কেটেরই সাধারণ চিত্র। আর ৯০% লোকের টাকা হারানোটাও বিশ্বব্যাপী একটি প্রতিষ্ঠিত সত্য। 


কেন শেয়ার বাজারে এসে ৯০ ভাগ লোকই টাকা হারায় আর মাত্র ১০ ভাগ লোক মুনাফা করে, সে বিষয়টি নিয়েই আলোচনা করব আজকের এই পোস্টে।


এই পোস্ট থেকে আপনারা আজ জানতে পারবেন, শেয়ার বাজারে টাকা হারানোর প্রধান ৫টি কারণ। যে কারণগুলো ঠিকমত না জানা কিংবা না মানার কারণেই শতকরা ৯০ ভাগ বিনিয়োগকারী তাদের টাকা হারায়। চলুন তাহলে শুরু করি। 



প্রথম কারণঃ

না জেনে মার্কেটে আসা এবং বিনিয়োগের আগে ঠিকমত রিসার্চ না করা


শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে যারা টাকা হারায়, তাদের প্রায় সবাই এই দুটি  ভুলের কোন একটি অথবা দুটোই  করে। কিছু লোক শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে ঠিকমত পড়াশুনা না করেই বিনিয়োগের মাঠে নামে। এরা খুব সহজেই ধরা খায়, আর অল্পদিনেই পুঁজি হারিয়ে পথে বসে।


আর কিছু লোক দ্রুত অতি লাভের আশায় তাড়াহুড়ো করে বিনিয়োগ করতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত টাকা হারিয়ে বসে থাকে। কেননা তারা বিনিয়োগের আগে প্রয়োজনীয় রিসার্চ করে না। যে কোম্পানিতে বিনিয়োগ করতে চায়, সেই কোম্পানি সম্পর্কে ঠিকমত খোঁজ খবরও নেয় না।


অথচ যেকোন শেয়ারে বিনিয়োগের পূর্বে বিনিয়োগকারীর প্রথম কাজ হচ্ছে সেই সময়ের চলমান  মার্কেট পরিস্থিতি সম্পর্কে রিসার্চ করা এবং যে কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক, সেই কোম্পানি সম্পর্কে ঠিকমত খোঁজ খবর নেয়া। 


ঠিকমত খোঁজ খবর নেয়া মানে, সেই কোম্পানির শুধু EPS এবং P.E রেসিও সম্পর্কে জানলেই চলবে না, সেই সাথে আরও কিছু তথ্য গভিরভাবে জানার চেষ্টা করতে হবে। যেমন, কোম্পানির কোন বদনাম আছে  কি না,  পরিচালক দের ব্যাকগ্রাউন্ড কেমন, মামলা আছে কি না, ঋণ আছে কি না, থাকলে সেটার সার্বিক অবস্থা কি, খেলাপি হওয়ার কোন অতীত রেকর্ড আছে কিনা, কোম্পানির বর্তমান ঋণ পরিশোধের সামর্থ্য কেমন ইত্যাদি বিষয়।


সাধারনভাবে বলা যায়, যদি কোন কোম্পানির ঋণ আগামী ১০-১৫ বছরের মধ্যেই পরিশোধ করার ক্ষমতা থাকে, তাহলে সেই কোম্পানির শেয়ার একটি ভাল শেয়ার হতে পারে, যদি তার অন্যান্য ফ্যাক্টর গুলো ঠিক থাকে। 



দ্বিতীয় কারণঃ

বিনিয়োগ পোর্টফলিও অনেক বেশি বড় করে ফেলা


অনেক বিনিয়োগকারীই অযথাই নিজেদের বিনিয়োগ পোর্টফলিও অনেক লম্বা করে ফেলেন। বিশেষ করে নতুন বিনিয়োগকারীরা এই ফাঁদে বেশি পড়েন।


অনেকে আবার এটাকে ডাইভারসিফিকেশন মনে করেন। কিন্তু বাস্তবতা হল, যার পোর্টফলিও যত লম্বা, তার টাকা খোয়ানোর সম্ভবনা তত বেশি!


কেননা, একজন বিনিয়োগকারীর পক্ষে খুব বেশি সংখ্যক কোম্পানিকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা সম্ভব নয়। একারণে পোর্টফলিও লম্বা হলে, নিজের বিনিয়োগ করা সবগুলো কোম্পানির প্রতিদিনের মার্কেট কন্ডিশন মনিটরিং করা এবং এতগুলো কোম্পানি সম্পর্কে ভালমত রিসার্চ করা কখনই সম্ভব হয়ে ওঠে না। 


ফলশ্রুতিতে লম্বা পোর্টফলিও ধারীরা বেশিরভাগ সময়ই টাকা হারায়। 



তৃতীয় কারণঃ

তেজি মার্কেটে কেনা আর নিস্তেজ মার্কেটে বিক্রি করা


শেয়ার বাজারে এসে টাকা হারানোর সবচেয়ে বড় কারণ হিসেবে ধরা হয় এটিকে। স্টক মার্কেটে ইনভেস্ট করতে গিয়ে যারা পুঁজি হারিয়েছেন, তাদের বড় অংশটিই এই ভুল করেছেন।


বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায়, একদল বিনিয়োগকারী হুজুগের বশে এমন সময় শেয়ার কিনছে, যখন মার্কেটে চরম তেজি ভাব রয়েছে। অথচ মার্কেট যখন তেজি, তখন হচ্ছে শেয়ার বিক্রির শ্রেষ্ঠ সময়।


কিন্তু কিছু বিনিয়োগকারী করেন ঠিক উল্টোটা। তারা মার্কেটের তেজি ভাবের সময় শেয়ার কেনেন, আর পরিণতিতে নিস্তেজ ভাবের সময় শেয়ার বেচতে বাধ্য হন। এছাড়া তাদের আর কোন উপায় থাকে না।


কারণ শেয়ার বাজারের তেজিভাব সবসময়ই ক্ষণ স্থায়ী হয়। ফলে তাদের কেনা শেয়ার বিক্রি করতে করতেই মার্কেট আবার নিস্তেজ হয়ে পড়ে। আর তখনই তারা টাকা হারিয়ে হা-হুতাশ করে।



চতুর্থ কারণঃ

নিজের লোকসান কমাতে গিয়ে অন্যকে প্রফিট করার সুযোগ দেয়া


এই কারণটি অনেকের কাছেই আপেক্ষিক মনে হতে পারে, তবে এটির বাস্তবতা আছে। পূঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের মনস্তত্ত্ব নিয়ে যারা গবেষণা করে, তারা দেখেছে যে, বিনিয়োগকারীরা আসলে নিজের অজান্তেই নিজের লোকসান কমাতে গিয়ে অন্যকে প্রফিট করার সুযোগ দিয়ে থাকে।


অনেক বিনিয়োগকারী আছেন, যারা নিজেদের কেনা শেয়ারে লোকসান হতে দেখলে আতংকিত হয়ে পড়েন, আর যত দ্রুত সম্ভব নিজের হাতে থাকা শেয়ার বেচে দেন।


মার্কেট যখন ডাউন হতে থাকে তখন এই ঘটনা বেশি ঘটতে দেখা যায়। কেননা এসব বিনিয়োগকারী মনে করে, যতদ্রুত সম্ভব তার নিজের লোকসান আটকানো দরকার। এটা করতে গিয়ে তারা লোকসানে থাকা শেয়ার গুলো দ্রুত বেচে দেয়, আর মনে করে আরও বেশি লোকসানের হাত থেকে তারা বেচে গেল!


কিন্তু মুদ্রার উল্টো পিঠও আছে, যা তারা কখনই দেখতে পায় না।


একটু খেয়াল করলেই দেখা যায়, কিছু বিনিয়োগকারী এই একই সময়ে তাদের বিক্রি করা শেয়ার গুলোই দেদারছে কিনছে। যারা কিনছে, তাদেরও আগে থেকেই হয়ত সেই শেয়ার গুলো ছিল, এবং তারাও হয়ত কিছুটা লোকসানেই আছে। কিন্তু তারা তাদের লোকসান আটকানোর নামে শেয়ার না বেচে বরং একই শেয়ার আরও কমদামে কিনে তাদের গড় দাম কমিয়ে আনছে, আর এভাবেই তারা তাদের ঝুঁকি স্থায়িভাবে কমিয়ে আনছে।


কেননা তারা জানে, আবার কিছুদিন পরেই এই শেয়ারগুলর দাম বাড়বে, এবং তা হয়তো আগের সর্বোচ্চ দামকেও ছাড়িয়ে যাবে। আর তখন তাদের লাভের পরিমাণ অনেক বেড়ে যাবে।


আর দাম যদি আগের দামের সমান নাও হয়, তারপরও তারা লাভ করবে, কেননা তারা তাদের বিনিয়োগের গড় মুল্য আগেই কমিয়ে নিয়েছে।



পঞ্চম কারণঃ

নিজের মুনাফাকে লিমিটের মধ্যে আটকে রাখা


শেয়ার বাজারে টাকা হারানোর শেষ কারণটি হচ্ছে, নিজের মুনাফাকে নির্দিষ্ট লিমিটের মধ্যে আটকে ফেলা।


Reasons for traders to lose money in stock market
অনেক সময়ই দেখা যায়, বিনিয়োগকারীরা বেশি লাভ করতেও ভয় পান। হ্যা, কথাটি সত্য। অনেক বিনিয়োগকারীই আছেন, যারা বেশি লাভ করতেও ভয় পান।


এই দলের বিনিয়োগকারীরা সাধারণত  কোন একটি শেয়ারে সামান্য কিছু লাভ হলেই তা দ্রুত বেচে দিয়ে আত্ম-তৃপ্তিতে ভোগেন। 


কিন্তু একজন চৌকশ বিনিয়োগকারী কিন্তু ঠিকই লাভের সর্বচ্চ স্তরে গিয়ে শেয়ার বেচেন। কেননা তারা বুঝতে পারেন, কোন শেয়ারের দাম কত দূর যেতে পারে। আর এটা বোঝার জন্য মার্কেট এনালাইসিস করতে হয়। চৌকশ বিনিয়োগকারীরা এই কাজটি খুব ভালভাবেই করতে পারেন, আর তাই তাদের লাভও হয় সর্বাধিক।


অন্যদিকে যারা একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ লাভ হলেই শেয়ার বেচে দেয়, তারা কিন্তু সার্বিক ভাবে অনেক সময় উল্টো লোকসানের মুখমুখি হয়।


কেননা, সেই একই বিনিয়োগকারীর হয়ত সেই একই সময় অন্য কোন শেয়ার হাতে রয়েছে, যেগুলো তখনও লাভের মুখ দেখে নি, কিন্তু কোন কারণে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে সার্বিকভাবে তার কিন্তু টাকা লোকসানই হচ্ছে।


যাইহোক, আজ এ পর্যন্তই। তবে আপনার যদি এরকম আরও কোন কারণের কথা জানা থাকে, তাহলে তা আমাদে নিচে কমেন্ট করে জানান।


আর এ বিষয়ে আরও জানতে নিচের ভিডিওটি দেখে নিতে পারেন।



বি.দ্রঃ এ ধরনের তথ্যগুলি সময়ে সময়ে পরিবর্তন হয়ে থাকে। তাই বর্তমান সময়ের একচুয়াল তথ্যের সাথে পোস্টের তথ্যের পার্থক্য থাকতে পারে। ডিসক্লেইমার জানতে এবং পোস্ট ব্যবহারের আগে শর্তাবলী দেখে নিন।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টগুলি

Provident Fund এবং Gratuity আসলে কি? কিভাবে প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্রাচ্যুইটির হিসাব করা হয়?

চাকরিতে বেতনের বাইরে আরও যেসব আর্থিক সুবিধাদি থাকে, তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে প্রভিডেন্ট ফান্ড ( Provident Fund ) এবং গ্রাচ্যুইটি ( Gratuity )। কিন্তু এসব বিষয়ে অনেকেরই তেমন কোন সুস্পষ্ট ধারনা নেই। অনেকেই জানেন না, প্রভিডেন্ট ফান্ড (PF) এবং গ্রাচ্যুইটি (Gratuity) আসলে কি? এগুলো কিভাবে কাজ করে আর এখান থেকে কি ধরেনর সুবিধা পাওয়া যায়? প্রত্যেক চাকরিজীবীর জানা থাকা দরকার যে, কিভাবে প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্রাচ্যুইটির হিসাব করা হয়? কিন্তু বাস্তবতা হল, নিজ চাকরিতে এসব সুবিধা থাকার পরও অনেকই বিষয়গুলো ভাল করে বোঝেন না। অথচ একজন স্মার্ট ক্যারিয়ারিস্ট হিসেবে প্রত্যেকের উচিৎ চাকরি সংশ্লিষ্ট প্রতিটি সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে ভাল করে জানা। আবার যারা চাকরিপ্রার্থী, তারাও এই বিষয় গুলো তেমন একটা বোঝে না। বিভিন্ন চাকরির বিজ্ঞাপনে প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্রাচ্যুইটি সুবিধার কথা লেখা দেখে অনেকেই কিছু না বুঝেই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে, যা অনেক সময়ই তাদের প্রত্যাশার সাথে মেলে না। যেহেতু প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্রাচ্যুটি হচ্ছে বেতনের বাইরে প্রাপ্ত আর্থিক সুবিধা, তাই এগুলো সম্পর্কে ভাল করে জানাটা জরুরী। তাই এসব বিষয় নিয়েই

যে ১০টি দক্ষতা থাকলে চাকরি পেতে কারও রেফারেন্স লাগে না

বলুন দেখি, চাকরি পেতে কোন জিনিসটি আপনার অবশ্যই থাকতে হবে? টাকা-পয়সা, মামা-চাচা-খালু, নাকি বড় বড় চটকদার ডিগ্রি?  সত্য বলতে আসলে এসব কিছুই না! যে কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েই আপনি মানানসই একটি ভাল চাকরি অনায়াসেই পেতে পারেন, যদি আপনার মধ্যে একটি মাত্র জিনিস থাকে! আর সেই জিনিসটির নাম হচ্ছে দক্ষতা বা স্কিল। এ যুগে চাকরি পেতে হলে একজন প্রার্থীর মধ্যে বেশকিছু দক্ষতা বা Skill অবশ্যই থাকতে হবে। হ্যা, মামা-চাচা-খালু কিংবা ঘুষ দেয়ার জন্য টাকা-পয়সা নয়, এই দক্ষতাই হচ্ছে এযুগে চাকরি পাওয়ার একমাত্র যোগ্যতা। আপনার মধ্যে যদি উপযুক্ত দক্ষতা থাকে, তাহলে চাকরি নিজেই আপনাকে খুঁজে নেবে। আপনাকে আর চাকরির পিছনে দৌড়াতে হবে না। কিন্তু আপনার মধ্যে যদি সময়ের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষতা না থাকে তাহলে, আপনি যতই জুতা ক্ষয় করেন না কেন, সহজে চাকরি পাবেন না। তাই সময়ের চাহিদা অনুযায়ী উপযুক্ত দক্ষতা বা Skill অর্জনের দিকে মনোযোগ দিন।  আর এজন্য ঠিক কি কি দক্ষতা এই যুগের চাকরির জন্য প্রয়োজন, সেটি জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, কিভাবে চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে এবং কিভাবে ভাল একটি চাকরি পাওয়া যায়, সে সম্পর্কে শুরু থেকেই আপনার পর

শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ শুরুর প্রথম পাঠ

কিভাবে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে ব্যবসা করতে হয়, সেটা অনেকেরই অজানা। বিশেষ করে নতুনদের জন্য শেয়ার বাজারে আগমনের পথটা সব সময়ই কঠিন। কেননা, শেয়ার বাজারে শুরুটা ঠিক কিভাবে করতে হয়, সে সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সবসময়ই অপ্রতুল।  শেয়ার বাজার বা স্টক মার্কেট সবসময়ই একটি উচ্চ ঝুঁকপূর্ণ জটিল জায়গা। তাই এখানে আসার আগে প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু পড়াশুনা করে নূন্যতম জ্ঞান নিয়ে আসা উচিত। তা না হলে, শেয়ার বাজারে এসে টাকা খোয়ানো কেউ ঠেকাতে পারবে না!  তবে শুরুতেই ভয় পাওয়ার কিছু নেই! কেননা বিখ্যাত বিনিয়গকারী পিটার লিঞ্চ যেমনটা বলেছেন, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের জন্য পৃথিবীর সব মানুষেরই যথেষ্ট বুদ্ধি-বিবেচনা বোধ রয়েছে। ক্লাস ফাইভের অংক করতে জানেন, এমন লোকও শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করার জন্য উপযুক্ত। তবে কথা আছে। শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের জন্য একজন বিনিয়োগকারীর অবশ্যই যথেষ্ট ধৈর্য, প্রচেষ্টা এবং পর্যাপ্ত সময় ব্যয় করার ইচ্ছা থকতে হবে। আর তাহলেই কেবল একজন বিনিয়গকারী সফল হওয়ার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবে।  তাই আজকের এই লেখায়, আমি শেয়ার  বাজারে বিনিয়োগ শুরু করার বেসিক ধাপ গুলো নিয়ে আলোচনা করব। এই বিষয় গুলো জানাটা সব বিনিয়ো

মাত্র ২ টাকা দিয়ে শুরু করে এক বছরেই লাখ টাকা জমানোর ক্রেইজি উপায়

টাকা জমানো মোটেই সহজ কোন কাজ নয়। অনেকেই নানাভাবে চেষ্টা করেও টাকা জমাতে পারে না। তাই টাকা জমানোর এই কঠিন  কাজটিকে সহজ করতে পৃথিবীতে আবিষ্কৃত হয়েছে নানা তত্ত্ব এবং উপায়। সেখান থেকেই আজ আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব এমন  একটি উপায়, যেটা দিয়ে টাকা জমানোর কাজটা হয়ে যাবে অনেক সহজ, আর এটার শুরুটা করা যাবে মাত্র ২ টাকা দিয়ে। তবে এই পদ্ধতিটির আবিষ্কারক কে, সেটা আমার সঠিকভাবে জানা নেই, তাই কারও নাম উল্লেখ করতে পারলাম না। তবে আপনাদের কারও যদি জানা থাকে, তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। চলুন তাহলে আলোচনা শুরু করি। মাত্র ২ টাকা দিয়ে জমানো শুরু করে কিভাবে ১ বছরেই লাখপতি হওয়া যায়?  মাত্র ২ টাকা দিয়ে জমানো শুরু করে ১ বছরে লাখপতি হওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমে যে কাজটি করতে হবে, সেটি হল, আপনাকে আগে একটা নির্দিষ্ট তারিখ বেছে নিতে হবে, যেদিন থেকে আপনার একবছর গণনা শুরু হবে। বছরের যে কোন দিন থেকে আপনি শুরু করতে পারেন, তবে সেখান থেকে একটানা ৩৬৫ দিনের হিসাব আপনাকে ঠিক ভাবে রাখতে হবে। দ্বিতীয়ত, এ পদ্ধতির সফলতার জন্য আপনার একাগ্রতা এং নিষ্ঠার দরকার হবে। মাঝপথে ছেড়ে যাওয়া যাবে না। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ঠিক ভাবে লেগে থ

আয় যেমনই হোক, সঞ্চয় বাড়ানোর সেরা জাপানি কৌশলে টাকা জমবে সহজে

সবাই টাকা জমাতে চায়, তবে বাস্তবতা হল, সবার টাকা জমানোর ক্ষমতা কিন্তু সমান নয়। বেশি আয় করলেই যে বেশি সঞ্চয় করতে পারবেন, বিষয়টা মোটেই তেমন নয়। সেকারণে দেখা যায়, অনেকেই অল্প আয় করেও অনেক টাকা জমিয়ে ফেলে, আবার অনেকে প্রচুর আয় করেও এক পয়সাও জমাতে পারে না!  তাই সঞ্চয়ের জন্য সবার আগে জানতে হবে, আপনার আসলে টাকা জমানোর প্রকৃত ক্ষমতা কতটুকু? আর এটা জানার জন্য আমরা ব্যবহার করব শতাধিক বছরের পুরনো জাপানি পদ্ধতি, যার নাম 'কাকিবো' (জাপানি ভাষার উচ্চারণ ভিন্ন হতে পারে) । এই জাপানি পদ্ধতিতে আপনি মাত্র ৪টি সহজ প্রশ্নের উত্তর দিয়েই যাচাই করতে পারবেন, আপনার আসলে সঞ্চয়ের ক্ষমতা কতটুকু। শুধু তাই নয়, কাকিবো  আপনার সঞ্চয়রে সামর্থ্য কিভাবে বাড়িয়ে তোলা যায়, সে পদ্ধতিও বাতলে দিবে।   কাকিবো পদ্ধতির জন্ম  ১৯০৪ সালে, জাপানে। পারসোনাল ফিন্যান্স বা ব্যক্তিগত বাজেট ম্যানেজম্যান্টের জন্য এইপদ্ধতিটি আবিষ্কার করেন, জাপানি নারী সাংবাদিক হানি মটোকো।   অনেকেই কাকিবোকে টাকা জমানোর একটি উপায় বলে মনে করেন, যা আসলে সঠিক নয়। সত্য কথা হল, কাকিবো আসলে টাকা জমানোর কোন পদ্ধতি নয়, এটা হল, আপনার টাকা জমানোর প্রকৃত ক্ষমতা বের

শেয়ার ব্যবসায় মুনাফা করার অব্যর্থ টেকনিক

শেয়ার বাজার বা Stock Market - এ বিনিয়োগ করে ধরা খেতে না চাইলে আপনাকে অবশ্যই কিছু বেসিক নিয়ম মেনে বিনিয়োগ করতে হবে। কেননা, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে যারা ধরা খেয়েছেন, তাদের একটা বড় অংশ এই মার্কেটে বিনিয়োগের বেসিক নিয়ম গুলো জেনেই বিনিয়োগ করে ফেলেছিলেন। শেয়ার বাজার একটি উচ্চ ঝুকি পূর্ণ স্পর্শকাতর জায়গা। তাই এখানে বিনিয়োগ করতে হয় বুঝে শুনে, গুজবের উপর ভিত্তি করে নয়। শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের কিছু বেসিক নিয়ম আছে, যেগুলো বেশিরভাগ বিনিয়োগকারীই জানেন না অথবা বিনিয়োগের সময় সেগুলো প্রয়োগ করেন না। এরফলে তাদের বিনিয়োগ থেকে যায় ঝুঁকিপূর্ণ এবং বাজারের সামান্য উত্থান-পতনেই তাদের বিনিয়োগ নেমে আসে শুন্যের কোটায়। তাই শেয়ার বাজারে ভাল কোম্পানিতে দীর্ঘ মেয়াদে নিরাপদ এবং টেকসই বিনিয়োগ করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই বেশ কিছু বেসিক বিষয় মাথায় রাখতে হবে। কিন্তু কি সেই বিষয় গুলো? - এই নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে এই পোস্টে।  আজকের এই লেখায় আমি আপনাদের জানাব, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের এমন ৫ টি অব্যর্থ টেকনিক, যেগুলো না জেনে বিনিয়োগ করা কখনই উচিৎ হবে না। আর এই টেকনিক গুলো সার্বজনীন, অর্থাৎ এগুলো যেকোন দেশের যে

ক্রেডিট কার্ডের সুদ হিসাবের ভয়ঙ্কর পদ্ধতি এবং চক্রবৃদ্ধির সুদের ফাঁদ থেকে বাঁচার উপায়

আপনি মানেন আর না মানেন, এটা সত্যি যে, ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড (Credit Card) অনেকের জীবনেই ধ্বংস ডেকে এনেছে। ক্রেডিট কার্ডের উচ্চ সুদের ভয়ঙ্কর ঋণের ফাঁদে পড়ে অনেকের জীবনেরই আজ ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। এর অন্যতম একটি কারণ, ক্রেডিট কার্ডের সুদ হিসাবের ভয়ঙ্কর পদ্ধতি। অনেকেই জানেন না, ব্যাংক গুলোতে ঠিক কি পদ্ধতিতে ক্রেডিট কার্ডের সুদ হিসাব করা হয়? আবার ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা ও অসুবিধা গুলো আসলে কি, সেটাও অনেকে জানে না। অথচ একটু বুদ্ধি খাটিয়ে স্মার্টলি ব্যবহার করতে পারলেই কিন্তু Credit Card থেকে অনেক সুবিধা নেয়া যায়।  যাইহোক, ক্রেডিট কার্ড আসলে কি এবং Credit Card ব্যবহার করতে গিয়ে কেন এবং কিভাবে মানুষ চক্রবৃদ্ধি হারে সুদের গ্যাড়াকলে আষ্টেপৃষ্ঠে আটকে পড়ে, সেইসব রহস্যই ভেদ করার চেষ্টা করেছি আজকের এই পোস্টে।  Credit Card স্মার্টলি ব্যবহার করার জন্য এর সাথে সম্পর্কিত সকল তথ্য সঠিক ভাবে জানা প্রয়োজন। বিশেষ করে বিভিন্ন Bank- এর ক্রেডিট কার্ডের সুদের হার এবং নানা ধরনের চার্জ গুলো সম্পর্কে না জানলে বিপদে পড়ার সম্ভাবনা প্রায় শতভাগ। কেননা এই তথ্যগুলো না জানা কিংবা গুরুত্ব না দেয়ার কারণেই ক্রেডিট কার্ড মান

আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের মাধ্যমে সমাজে নিজের গুরুত্ব বাড়িয়ে তোলার উপায়

শুধুমাত্র বিপুল টাকা-পয়সা কিংবা সম্পদের পাহাড়ের মালিক হলেই কেউ অন্যের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে না। নিজেকে অন্যদের কাছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ করে তলার জন্য ব্যক্তির মধ্যে বিশেষ কিছু গুণ বা বৈশিষ্ট্য থাকতে হয়। এসব গুণ বা বৈশিষ্ট্য অর্জন করতে পারলেই কেবল আপনি নিজেকে অন্যের কাছে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে পারবেন।  জীবনে সফল হতে হলে, অবশ্যই নিজের গুরুত্ব বাড়াতে হবে এবং অন্যদের মাঝে নিজেকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে জায়গা করে নিতে হবে। আজকের পৃথিবীর সফল ব্যক্তি যারা, তারাও সফল হওয়ার অনেক আগে থেকেই নিজেদেরকে সমাজের কাছে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছেন, যা তাদেরকে আজকের এই পর্যায়ে আসতে সাহায্য করেছে।  জীবনে সফল হওয়ার জন্য কেউ যখন কাজ করতে থাকে, ঠিক তখন থেকেই তাকে নিজের গুরুত্ব বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হয়। তা না হলে পরবর্তীতে, নিজেকে সামজের অন্যদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলাটা অনেক কঠিন হয়ে যায়। তাই নিজেকে সবার মাঝে ধনী তথা সফল ব্যক্তিদের মত গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে চাইলে, এখন থেকেই আপনাকে কাজ শুরু করে দিতে হবে। কিন্তু কিভাবে নিজের মধ্যে ধনীদের মত আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব গড়ে তুলে নিজেকে সবার মাঝে গুরুত্বপূর্ণ করে

এ যুগের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যেভাবে কর্মীদের বেতন নির্ধারণ করে

আপনি কি জানেন, বেসরকারি চাকরিতে কিভাবে আপনার বেতন নির্ধারণ করা হয়?  নিয়োগকর্তা বা কোম্পানিগুলো ঠিক কি পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত নেয়, আপনার বেতন কত হবে? কেন একই যোগ্যতা থাকার পরও ভিন্ন ভিন্ন কোম্পানি ভিন্ন ভিন্ন অংকের বেতন দেয়? কিভাবে আপনার চেয়ে ১০ বছরের ছোট ছেলেটা আপনার চেয়ে বেশি বেতনে জয়েন করল? বেতনের ক্ষেত্রে সিনিয়রিটি নাকি দক্ষতা, কোনটিকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়? এসব প্রশ্নের  উত্তর নিয়েই আজকের এই পোস্ট।  আজকে এখানে আমি ব্যাখ্যা করেছি বেতন নির্ধারণের মূল ৫ টি ফ্যাক্টর, যেগুলো বেতন নির্ধারণের ক্ষেত্রে সারাবিশ্বেই সাধারনভাবে চর্চা করা হয়। কোন একটি কোম্পানিতে কার বেতন কত হবে, সেটা আসলে নির্ভর করে অনেকগুলো ফ্যাক্টরের ওপর।  আর নিয়োগকারী কোম্পানি কোন ফ্যাক্টরকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে সেটাও আপনার বেতনের অংকে প্রভাব ফেলতে পারে। যেকারনে একই সমান অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকার পরও দুটি ভিন্ন কোম্পানিতে দু’জনের আলাদা অংকের বেতন হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। তবে একটি আদর্শ কোম্পানিতে সাধারণত কিভাবে কোন এমপ্লোয়ির বেতন নির্ধারণ করা হয়, সেটা জানা থাকলে ব্যাপারটা বুঝতে সবার সুবিধা হবে। আসুন দেখা যাক কিভাবে সেটা

বাংলাদেশে স্বর্ণে বিনিয়োগ আসলে কতটা লাভজনক?

বাংলাদেশে সোনা বা স্বর্ণে বিনিয়োগ করা সত্যিকার অর্থেই আসলে কতটা লাভজনক এবং এদেশে  স্বর্ণ কিনে রেখে দিলে আপনার ভবিষ্যৎ কি  সেটা জানার জন্য সম্প্রতি আমি বেশকিছু খোঁজ-খবর করি এই ব্যাপারে।  এটা করতে গিয়ে দেখলাম, এই বিষয়টাতে বাংলাদেশে অনেক হিডেন ব্যাপার-স্যাপার আছে, যা সবার পক্ষে সাধারণভাবে জানা কখনই সম্ভব নয়।  এমনকি সোনা বা স্বর্ণ কিনতে গেলেও দোকানদাররা আপনাকে এসব কথা জানাবে না, কিন্তু যখনই বেচতে যাবেন, তখনই বুঝবেন স্বর্ণে বিনিয়োগ করাটা আপনার কতটা সঠিক কিংবা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল।  তাই  স্বর্ণ কিনে রেখে দিলে বাংলাদেশে আপনার ভবিষ্যৎ কি - সে বিষয়টি নিয়েই আজকে আলোচনা করব। তবে বিষয়টি ভালভাবে বোঝার জন্য, বাংলাদেশের বিষয়াদি আলাপের আগে, আসুন জেনে নেই, স্বর্ণে বিনিয়োগের কিছু বেসিক বিষয় এবং আন্তর্জাতিক মার্কেটে স্বর্ণে বিনিয়োগ করার পুরো চক্রটা ঠিক  কিভাবে  কাজ করে, সে সম্পর্কে।  কেন স্বর্ণে বিনিয়োগ করা হয়?  ডলার হোক কিংবা টাকা , যেকোন মুদ্রার মান বা ভ্যালু যখন কমতে থাকে , তখন সারা বিশ্বেই মানুষজন বিকল্প এসেট ক্লাস হিসেবে সোনা বা স্বর্ণের মত দামী ধাতুতে বিনিয়োগ করে। বিনিয়োগের জন্য দামী এবং প্রয়োজনীয় ধ