সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ঘরে বসেই ফুল-টাইম স্থায়ীভাবে করা যায় যেসব চাকরি

Work from home full-time
প্রতিদিন অফিস যাতায়াত করতে কি আপনার বিরক্ত লাগে? অফিসে আসা-যাওয়া করতেই সব এনার্জি শেষ হয়ে যায়? 
ভাবছেন, চাকরিটা যদি বাড়িতে বসেই করা যেত তাহলে ভালই হত!


কিন্তু আসলেই এমনকি কোন চাকরি আছে, যেটা সত্যিই বাড়িতে বসেই করা সম্ভব?


আপনার মনে যদি এই প্রশ্ন থাকে, তাহলে উত্তরটা হচ্ছে, হ্যা, অবশ্যই আছে।


আপনি হয়ত ভাবছেন, ঘরে বসে কাজ করা মানেই তো হচ্ছে, অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং কিংবা আজগুবি সব সাইটে ক্লিক করে টাকা কামানোর সস্তা দাওয়াই! কিন্তু না, আজকে কোন অনলাইন ফ্রিল্যান্সিংয়ের কথা বলছি না। আজকে কথা বলব একদম রেগুলার জব নিয়ে, যেগুলো লোকে অফিসে বসেই করে, কিন্তু বাড়িতে বসে করলেও ফলাফলে কোন পার্থক্য হয় না।


ফ্রিল্যান্সিং করে অনেকেই অনেক অনেক ডলার ইনকাম করে বটে, কিন্তু সেটা ঠিক সবার জন্য নয়। তাছাড়া বিষয়টা সবার জন্য সহজও নয়।


আবার অনেকে চাকরি করতেই পছন্দ করেন, অনেকের ফ্যামিলিরও এমনটাই ইচ্ছা। কেননা এতে বলার মত একটা পরিচয় থাকে।


তবে প্রতিদিন সময় মেনে অফিসে গিয়ে কাজ করাটা আসলেই ঝামেলার। বাড়িতে বসেই যদি চাকরি করা যায়, তাহলে এসব ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।


আপনার চিন্তা-ভাবনাও যদি এমন হয়, তাহলে আপনার জন্য সুখবর!


আজকে আমি আপনাদের সামনে এমন তিনটি চাকরির কথা তুলে ধরব, যেগুলো আপনি বাড়িতে বসেই করতে পারবেন। আগেই বলেছি, এগুলো কোন অনলাইন ভিত্তিক ফ্রিল্যান্সিং জব নয়। এগুলো হচ্ছে রেগুলার জব, যা অনেকেই অফিসে বসে করে থাকে।  


চাইলে এগুলোকে আপনার সেকেন্ড জব হিসেবেও নিতে পারেন, কেননা এই জব গুলো করার জন্য আপনাকে আপনার বর্তমান প্রতিষ্ঠানে ইস্তফা দিতে হবে না। আপনি একই কাজ অফিসে না গিয়ে শুধু বাসায় বসে করবেন, আর তাতে কোন রকম কোয়ালিটি কম্প্রমাইজ হবে না। 


এই জব গুলোর জন্য আপনি যদি কোয়ালিফাইড হন, অথবা আপনি যদি বর্তমানেই এই কাজগুলো অফিসে বসে করে থাকেন, তাহলে আজই আপনার অফিস বসের সাথে কথা বলুন, আর তাকে আপনার ইচ্ছার কথা জানান। তবে অফিসে কোনদিন মিটিং থাকলে আপনাকে হয়ত সেদিন কষ্ট করে অফিসে যেতেই হবে, না হলে হয়ত চাকরিটাই চলে যাবে!


যাইহোক, আসুন এবার বাড়িতে বসেই করা যায় এমন জব গুলোর বিস্তারিত জেনে নেই।


এক.


এই তালিকার প্রথমেই আছে, কোয়ালিটি এয়াসিউরেন্স টেস্টার বা QA Tester। অনেকেই আবার এটাকে  কোয়ালিটি এয়াসিউরেন্স টেকনিশিয়ানও বলে।


এই পদের মূল কাজ হচ্ছে বিভিন্ন সফটওয়্যার পরীক্ষা- নিরীক্ষা করে দেখা। এই যেমন ধরেন গেমিং সিস্টেম সফটওয়্যার কিংবা মোবাইল এপ টেস্ট করে দেখা।


আপনি যদি QA Tester হন, তাহলে আপনার দ্বায়িত্বের মধ্যে পড়বে, বিভিন্ন সফটওয়্যারের ত্রুটি-বিচ্যুতি  খুঁজে বের করা, সেগুলো রিপোর্ট করা, সিস্টেম স্পেসিফিকেন্স পর্যালোচনা এবং বিশ্লেষণ করা।


এছাড়াও আরও কাজের মধ্যে আছে সফটওয়্যারের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখা, তার ফলাফল বিশ্লেষণ করা, আর প্রাপ্ত কারিগরি ত্রুটিগুলো ডকুমেন্টিং করা।


এই কাজটি হয়ত আপনাকে অটোম্যাটিক বা ম্যানুয়াল উভয় পদ্ধতিতেই করতে হতে পারে। সফটওয়্যারের বাগ এবং গ্লিচ খুঁজে বের করার কঠিন কাজটি মুলত আপনার ঘাড়ে থাকবে যদি আপনি এই পদে কাজ করতে চান।


সুতরাং বুঝতেই পারছেন, কাজটি এমন যে আপনি যে কোন জায়গা থেকেই করতে পারেন, যদি আপনার কাছে প্রয়োজনীয় টুল গুলি থাকে। আপনার বাড়িতে যদি এই কাজ করার মত শক্তিশালী একটি কম্পিউটার আর প্রয়োজনীয়  সফটওয়্যার থাকে, তাহলে আর কষ্ট করে অফিসে যাবেন কেন? 


আজই আপনার লাইন  ম্যানেজারকে বলে অফিসের কাজ গুলো বাড়িতে বসেই করতে থাকুন আর মাস শেষে বুঝে নিন আপনার বেতন।


দুই.


এই তালিকার দুই নাম্বার জবটি হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার (Social Media Manager)। চাকরির জগতে এটা একটা উদীয়মান ক্ষেত্র। দিনে দিনে এই পদের কদর বাড়ছে, আর বেশি বেশি প্রতিষ্ঠানে এই পদ সৃষ্টি হচ্ছে।


এখন বড় বড় প্রায় সব ব্র্যান্ডেরই এই পদে এক বা একাধিক লোক রয়েছে। কোথাও আবার বড় আকারের আস্ত একটা ডিপার্টমেন্টই তৈরী করা হয়েছে কোম্পানির সোশ্যাল মিডিয়া দেখাশুনা করার জন্য।


একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসেবে আপানার মূল দায়িত্ব হল, ইন্টারনেটের জগতে আপানার কোম্পানির ব্রান্ডকে সমুন্নত রাখা। সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজাররা মুলত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে নিজেদের কোম্পানির একক প্রতিনিধি হিসেবে নিজস্ব ব্রান্ডকে অন্যের সামনে তুলে ধরে থাকে। তাই এই কাজের গুরুত্ব অনেক এবং তা সরাসরি কোম্পানির সুনামের সাথে জড়িত।


আপনি যদি এই পদে কাজ করেন, তাহলে আপনাকে সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যাবহারে দক্ষ হতে হবে। কোম্পানির প্রতিনিধি হিসেবে আপনি সমাজিক মাধ্যমে আসা সকল কমেন্টের উত্তর দেবেন, বিভিন্ন অনলাইন ক্যাম্পেইন বা প্রচারণা চালাবেন এবং নানা রকম আকর্ষণীয় কন্টেন্ট বানাবেন। 


তবে একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসেবে আপনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে, অনলাইনে কিভাবে কোম্পানির উপস্থিতি এবং সুনাম আরও বাড়ানো যায়, সে সম্পর্কে সবসময় কোম্পানির শীর্ষ নির্বাহীদের গাইড করা। 


এই  গুরুত্বপূর্ণ  পদে যারা কাজ করেন, তাদের বেশ কিছু পরিষ্কার লক্ষ্য থাকে। এই যেমন, ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বৃদ্ধি করা, ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব ব্যবহার করে ব্রান্ড সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো, ইত্যাদি। 


মনে রাখবেন, মাত্র কয়েক বছর আগেও সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার নামে কোন পদের অস্তিত্বই ছিল না!


আর এখন প্রায় সব কম্পানিতেই এই পদ রয়েছে। সুতরাং, কাস্টমার প্রবৃদ্ধি এবং তা ধরে রাখার জন্য এই পদের গুরুত্ব অপরিসীম এবং দিনে দিনে তা আরও বাড়ছে। 


মার্কেটিং বা বিপণন পরিকল্পনা প্রণয়নের মাধ্যমে নিজ কোম্পানিকে সবসময় মানুষের সামনে সামাজিক মাধ্যমে উপস্থাপন করার এই কাজটি করার জন্য সবসময় আপনাকে অফিসে বসে থাকার প্রয়োজন নেই।


নিজ বাড়িতে বসেও আপনি এই কাজটি খুব ভালভাবেই করতে পারেন। আর এজন্য তেমন কোন দামি যন্ত্রপাতি বা সফটওয়্যারেরও দরকার হয় না। সাধারন মানের একটি কম্পিউটার আর নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই আপনি পৃথিবীর যেকোন জায়গা থেকেই এই কাজটি অনায়াসে করতে পারবেন।


সুতরাং বুঝতেই পারছেন, আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসেবে কোন কোম্পানিতে কাজ করতে চান, তাহলে বাড়িতে বসেই সারা বছর কাজ করতে পারবেন। প্রতিদিন সকালে উঠে আর অফিসে দৌড়াতে হবে না, কেননা, আপনার অফিস তো এখন আপনার ঘরেই!


তিন.


আমার তালিকার শেষ অপশনটি হচ্ছে, ফিন্যান্সিয়াল এনালিস্ট (Financial Analyst) বা অর্থনীতিক বিশ্লেষকের চাকরি। এটি একটি উচ্চ দক্ষতা সম্পন্ন কাজ। তবে এটি বাড়িতে বসেই করা যায়। 


Full-Time Jobs from Home
ফিন্যান্সিয়াল এনালিস্টরা মূলত বিনিয়োগের সম্ভাব্যতা যাচাই-বাছাই করে। তারা ব্যাংক, পেনশন ফান্ড, মিউচুয়াল ফান্ড, সিকিউরিটি ফার্ম, বীমা কোম্পানি সহ অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে  কাজ করে। 


ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানকে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিতে প্রয়োজনীয় সহায়তা করাই ফিন্যান্সিয়াল এনালিস্টের প্রধান কাজ। একজন ফিন্যান্সিয়াল এনালিস্ট প্রতিনিয়ত স্টক, বন্ড এবং অন্যান্য বিনিয়োগ মাধ্যমগুলোর  কার্যকারিতা মূল্যায়ন করে আর সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়।


যেহেতু এটি একটি  উচ্চ দক্ষতা সম্পন্ন কাজ, তাই এই পেশার লোকেদের আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ  কাজ করতে হয়। যেগুলোর মধ্যে রয়েছে-


  • অতীত এবং বর্তমানের নানান financial data সার্বক্ষণিক পর্যালোচনা করা।

  • অর্থনীতি আর ব্যবসার গতি-প্রকৃতির উপর কড়া নজর রাখা

  • কোম্পানির financial statement পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা এবং এর প্রকৃত মূল্যমান বের করা।

  • ঝুঁকি বিহীন বিনিয়োগের পরামর্শ দেয়া।

  • এবং বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন লিখিত রিপোর্ট প্রস্তুত করা।


তো, এই কাজগুলো করার মত প্রয়োজনীয় দক্ষতা যদি আপনার থাকে, তাহলে আপনিও হয়ে যেতে পারেন একজন ফিন্যান্সিয়াল এনালিস্ট।


যেহেতু কাজগুলোর সবই বাড়িতে বসেই করা সম্ভব তাই আপনি যদি এই পেশায় যোগ দেন, তাহলে আর আপনাকে প্রতিদিন সকালে অফিসে যেতে হবে না। নিজের বাড়িতে বসেই  অফিসের সমস্ত কাজ করতে পারবেন প্রতিদিন।


আর আপনি যদি এরই মধ্যে এই পেশায় নিয়োজিত থাকেন, আর প্রতিদিন অফিসে বসে আপনাকে কাজ করতে হয়, তাহলে আজই আপনার লাইন ম্যানেজারের সাথে কথা বলুন আর চাকরিটাকে নিয়ে আসুন আপনার নিজের ঘরে।


বাড়িতে বসে করা যায়, এমন যদি আরও কোন প্রকৃত ফুল-টাইম চাকরির কথা আপনার জানা থাকে, তাহলে সেটা কমেন্ট করে আমাদের জানাতা ভুলবেন না।


বিস্তারিত জানতে নিচের ভিডিওটি দেখতে পারেন।




বি.দ্রঃ এ ধরনের তথ্যগুলি সময়ে সময়ে পরিবর্তন হয়ে থাকে। তাই বর্তমান সময়ের একচুয়াল তথ্যের সাথে পোস্টের তথ্যের পার্থক্য থাকতে পারে। ডিসক্লেইমার জানতে এবং পোস্ট ব্যবহারের আগে শর্তাবলী দেখে নিন।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টগুলি

Provident Fund এবং Gratuity আসলে কি? কিভাবে প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্রাচ্যুইটির হিসাব করা হয়?

চাকরিতে বেতনের বাইরে আরও যেসব আর্থিক সুবিধাদি থাকে, তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে প্রভিডেন্ট ফান্ড ( Provident Fund ) এবং গ্রাচ্যুইটি ( Gratuity )। কিন্তু এসব বিষয়ে অনেকেরই তেমন কোন সুস্পষ্ট ধারনা নেই। অনেকেই জানেন না, প্রভিডেন্ট ফান্ড (PF) এবং গ্রাচ্যুইটি (Gratuity) আসলে কি? এগুলো কিভাবে কাজ করে আর এখান থেকে কি ধরেনর সুবিধা পাওয়া যায়? প্রত্যেক চাকরিজীবীর জানা থাকা দরকার যে, কিভাবে প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্রাচ্যুইটির হিসাব করা হয়? কিন্তু বাস্তবতা হল, নিজ চাকরিতে এসব সুবিধা থাকার পরও অনেকই বিষয়গুলো ভাল করে বোঝেন না। অথচ একজন স্মার্ট ক্যারিয়ারিস্ট হিসেবে প্রত্যেকের উচিৎ চাকরি সংশ্লিষ্ট প্রতিটি সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে ভাল করে জানা। আবার যারা চাকরিপ্রার্থী, তারাও এই বিষয় গুলো তেমন একটা বোঝে না। বিভিন্ন চাকরির বিজ্ঞাপনে প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্রাচ্যুইটি সুবিধার কথা লেখা দেখে অনেকেই কিছু না বুঝেই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে, যা অনেক সময়ই তাদের প্রত্যাশার সাথে মেলে না। যেহেতু প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্রাচ্যুটি হচ্ছে বেতনের বাইরে প্রাপ্ত আর্থিক সুবিধা, তাই এগুলো সম্পর্কে ভাল করে জানাটা জরুরী। তাই এসব বিষয় নিয়েই

যে ১০টি দক্ষতা থাকলে চাকরি পেতে কারও রেফারেন্স লাগে না

বলুন দেখি, চাকরি পেতে কোন জিনিসটি আপনার অবশ্যই থাকতে হবে? টাকা-পয়সা, মামা-চাচা-খালু, নাকি বড় বড় চটকদার ডিগ্রি?  সত্য বলতে আসলে এসব কিছুই না! যে কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েই আপনি মানানসই একটি ভাল চাকরি অনায়াসেই পেতে পারেন, যদি আপনার মধ্যে একটি মাত্র জিনিস থাকে! আর সেই জিনিসটির নাম হচ্ছে দক্ষতা বা স্কিল। এ যুগে চাকরি পেতে হলে একজন প্রার্থীর মধ্যে বেশকিছু দক্ষতা বা Skill অবশ্যই থাকতে হবে। হ্যা, মামা-চাচা-খালু কিংবা ঘুষ দেয়ার জন্য টাকা-পয়সা নয়, এই দক্ষতাই হচ্ছে এযুগে চাকরি পাওয়ার একমাত্র যোগ্যতা। আপনার মধ্যে যদি উপযুক্ত দক্ষতা থাকে, তাহলে চাকরি নিজেই আপনাকে খুঁজে নেবে। আপনাকে আর চাকরির পিছনে দৌড়াতে হবে না। কিন্তু আপনার মধ্যে যদি সময়ের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষতা না থাকে তাহলে, আপনি যতই জুতা ক্ষয় করেন না কেন, সহজে চাকরি পাবেন না। তাই সময়ের চাহিদা অনুযায়ী উপযুক্ত দক্ষতা বা Skill অর্জনের দিকে মনোযোগ দিন।  আর এজন্য ঠিক কি কি দক্ষতা এই যুগের চাকরির জন্য প্রয়োজন, সেটি জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, কিভাবে চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে এবং কিভাবে ভাল একটি চাকরি পাওয়া যায়, সে সম্পর্কে শুরু থেকেই আপনার পর

শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ শুরুর প্রথম পাঠ

কিভাবে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে ব্যবসা করতে হয়, সেটা অনেকেরই অজানা। বিশেষ করে নতুনদের জন্য শেয়ার বাজারে আগমনের পথটা সব সময়ই কঠিন। কেননা, শেয়ার বাজারে শুরুটা ঠিক কিভাবে করতে হয়, সে সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সবসময়ই অপ্রতুল।  শেয়ার বাজার বা স্টক মার্কেট সবসময়ই একটি উচ্চ ঝুঁকপূর্ণ জটিল জায়গা। তাই এখানে আসার আগে প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু পড়াশুনা করে নূন্যতম জ্ঞান নিয়ে আসা উচিত। তা না হলে, শেয়ার বাজারে এসে টাকা খোয়ানো কেউ ঠেকাতে পারবে না!  তবে শুরুতেই ভয় পাওয়ার কিছু নেই! কেননা বিখ্যাত বিনিয়গকারী পিটার লিঞ্চ যেমনটা বলেছেন, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের জন্য পৃথিবীর সব মানুষেরই যথেষ্ট বুদ্ধি-বিবেচনা বোধ রয়েছে। ক্লাস ফাইভের অংক করতে জানেন, এমন লোকও শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করার জন্য উপযুক্ত। তবে কথা আছে। শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের জন্য একজন বিনিয়োগকারীর অবশ্যই যথেষ্ট ধৈর্য, প্রচেষ্টা এবং পর্যাপ্ত সময় ব্যয় করার ইচ্ছা থকতে হবে। আর তাহলেই কেবল একজন বিনিয়গকারী সফল হওয়ার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবে।  তাই আজকের এই লেখায়, আমি শেয়ার  বাজারে বিনিয়োগ শুরু করার বেসিক ধাপ গুলো নিয়ে আলোচনা করব। এই বিষয় গুলো জানাটা সব বিনিয়ো

মাত্র ২ টাকা দিয়ে শুরু করে এক বছরেই লাখ টাকা জমানোর ক্রেইজি উপায়

টাকা জমানো মোটেই সহজ কোন কাজ নয়। অনেকেই নানাভাবে চেষ্টা করেও টাকা জমাতে পারে না। তাই টাকা জমানোর এই কঠিন  কাজটিকে সহজ করতে পৃথিবীতে আবিষ্কৃত হয়েছে নানা তত্ত্ব এবং উপায়। সেখান থেকেই আজ আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব এমন  একটি উপায়, যেটা দিয়ে টাকা জমানোর কাজটা হয়ে যাবে অনেক সহজ, আর এটার শুরুটা করা যাবে মাত্র ২ টাকা দিয়ে। তবে এই পদ্ধতিটির আবিষ্কারক কে, সেটা আমার সঠিকভাবে জানা নেই, তাই কারও নাম উল্লেখ করতে পারলাম না। তবে আপনাদের কারও যদি জানা থাকে, তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। চলুন তাহলে আলোচনা শুরু করি। মাত্র ২ টাকা দিয়ে জমানো শুরু করে কিভাবে ১ বছরেই লাখপতি হওয়া যায়?  মাত্র ২ টাকা দিয়ে জমানো শুরু করে ১ বছরে লাখপতি হওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমে যে কাজটি করতে হবে, সেটি হল, আপনাকে আগে একটা নির্দিষ্ট তারিখ বেছে নিতে হবে, যেদিন থেকে আপনার একবছর গণনা শুরু হবে। বছরের যে কোন দিন থেকে আপনি শুরু করতে পারেন, তবে সেখান থেকে একটানা ৩৬৫ দিনের হিসাব আপনাকে ঠিক ভাবে রাখতে হবে। দ্বিতীয়ত, এ পদ্ধতির সফলতার জন্য আপনার একাগ্রতা এং নিষ্ঠার দরকার হবে। মাঝপথে ছেড়ে যাওয়া যাবে না। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ঠিক ভাবে লেগে থ

আয় যেমনই হোক, সঞ্চয় বাড়ানোর সেরা জাপানি কৌশলে টাকা জমবে সহজে

সবাই টাকা জমাতে চায়, তবে বাস্তবতা হল, সবার টাকা জমানোর ক্ষমতা কিন্তু সমান নয়। বেশি আয় করলেই যে বেশি সঞ্চয় করতে পারবেন, বিষয়টা মোটেই তেমন নয়। সেকারণে দেখা যায়, অনেকেই অল্প আয় করেও অনেক টাকা জমিয়ে ফেলে, আবার অনেকে প্রচুর আয় করেও এক পয়সাও জমাতে পারে না!  তাই সঞ্চয়ের জন্য সবার আগে জানতে হবে, আপনার আসলে টাকা জমানোর প্রকৃত ক্ষমতা কতটুকু? আর এটা জানার জন্য আমরা ব্যবহার করব শতাধিক বছরের পুরনো জাপানি পদ্ধতি, যার নাম 'কাকিবো' (জাপানি ভাষার উচ্চারণ ভিন্ন হতে পারে) । এই জাপানি পদ্ধতিতে আপনি মাত্র ৪টি সহজ প্রশ্নের উত্তর দিয়েই যাচাই করতে পারবেন, আপনার আসলে সঞ্চয়ের ক্ষমতা কতটুকু। শুধু তাই নয়, কাকিবো  আপনার সঞ্চয়রে সামর্থ্য কিভাবে বাড়িয়ে তোলা যায়, সে পদ্ধতিও বাতলে দিবে।   কাকিবো পদ্ধতির জন্ম  ১৯০৪ সালে, জাপানে। পারসোনাল ফিন্যান্স বা ব্যক্তিগত বাজেট ম্যানেজম্যান্টের জন্য এইপদ্ধতিটি আবিষ্কার করেন, জাপানি নারী সাংবাদিক হানি মটোকো।   অনেকেই কাকিবোকে টাকা জমানোর একটি উপায় বলে মনে করেন, যা আসলে সঠিক নয়। সত্য কথা হল, কাকিবো আসলে টাকা জমানোর কোন পদ্ধতি নয়, এটা হল, আপনার টাকা জমানোর প্রকৃত ক্ষমতা বের

শেয়ার ব্যবসায় মুনাফা করার অব্যর্থ টেকনিক

শেয়ার বাজার বা Stock Market - এ বিনিয়োগ করে ধরা খেতে না চাইলে আপনাকে অবশ্যই কিছু বেসিক নিয়ম মেনে বিনিয়োগ করতে হবে। কেননা, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে যারা ধরা খেয়েছেন, তাদের একটা বড় অংশ এই মার্কেটে বিনিয়োগের বেসিক নিয়ম গুলো জেনেই বিনিয়োগ করে ফেলেছিলেন। শেয়ার বাজার একটি উচ্চ ঝুকি পূর্ণ স্পর্শকাতর জায়গা। তাই এখানে বিনিয়োগ করতে হয় বুঝে শুনে, গুজবের উপর ভিত্তি করে নয়। শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের কিছু বেসিক নিয়ম আছে, যেগুলো বেশিরভাগ বিনিয়োগকারীই জানেন না অথবা বিনিয়োগের সময় সেগুলো প্রয়োগ করেন না। এরফলে তাদের বিনিয়োগ থেকে যায় ঝুঁকিপূর্ণ এবং বাজারের সামান্য উত্থান-পতনেই তাদের বিনিয়োগ নেমে আসে শুন্যের কোটায়। তাই শেয়ার বাজারে ভাল কোম্পানিতে দীর্ঘ মেয়াদে নিরাপদ এবং টেকসই বিনিয়োগ করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই বেশ কিছু বেসিক বিষয় মাথায় রাখতে হবে। কিন্তু কি সেই বিষয় গুলো? - এই নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে এই পোস্টে।  আজকের এই লেখায় আমি আপনাদের জানাব, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের এমন ৫ টি অব্যর্থ টেকনিক, যেগুলো না জেনে বিনিয়োগ করা কখনই উচিৎ হবে না। আর এই টেকনিক গুলো সার্বজনীন, অর্থাৎ এগুলো যেকোন দেশের যে

ক্রেডিট কার্ডের সুদ হিসাবের ভয়ঙ্কর পদ্ধতি এবং চক্রবৃদ্ধির সুদের ফাঁদ থেকে বাঁচার উপায়

আপনি মানেন আর না মানেন, এটা সত্যি যে, ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড (Credit Card) অনেকের জীবনেই ধ্বংস ডেকে এনেছে। ক্রেডিট কার্ডের উচ্চ সুদের ভয়ঙ্কর ঋণের ফাঁদে পড়ে অনেকের জীবনেরই আজ ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। এর অন্যতম একটি কারণ, ক্রেডিট কার্ডের সুদ হিসাবের ভয়ঙ্কর পদ্ধতি। অনেকেই জানেন না, ব্যাংক গুলোতে ঠিক কি পদ্ধতিতে ক্রেডিট কার্ডের সুদ হিসাব করা হয়? আবার ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা ও অসুবিধা গুলো আসলে কি, সেটাও অনেকে জানে না। অথচ একটু বুদ্ধি খাটিয়ে স্মার্টলি ব্যবহার করতে পারলেই কিন্তু Credit Card থেকে অনেক সুবিধা নেয়া যায়।  যাইহোক, ক্রেডিট কার্ড আসলে কি এবং Credit Card ব্যবহার করতে গিয়ে কেন এবং কিভাবে মানুষ চক্রবৃদ্ধি হারে সুদের গ্যাড়াকলে আষ্টেপৃষ্ঠে আটকে পড়ে, সেইসব রহস্যই ভেদ করার চেষ্টা করেছি আজকের এই পোস্টে।  Credit Card স্মার্টলি ব্যবহার করার জন্য এর সাথে সম্পর্কিত সকল তথ্য সঠিক ভাবে জানা প্রয়োজন। বিশেষ করে বিভিন্ন Bank- এর ক্রেডিট কার্ডের সুদের হার এবং নানা ধরনের চার্জ গুলো সম্পর্কে না জানলে বিপদে পড়ার সম্ভাবনা প্রায় শতভাগ। কেননা এই তথ্যগুলো না জানা কিংবা গুরুত্ব না দেয়ার কারণেই ক্রেডিট কার্ড মান

আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের মাধ্যমে সমাজে নিজের গুরুত্ব বাড়িয়ে তোলার উপায়

শুধুমাত্র বিপুল টাকা-পয়সা কিংবা সম্পদের পাহাড়ের মালিক হলেই কেউ অন্যের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে না। নিজেকে অন্যদের কাছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ করে তলার জন্য ব্যক্তির মধ্যে বিশেষ কিছু গুণ বা বৈশিষ্ট্য থাকতে হয়। এসব গুণ বা বৈশিষ্ট্য অর্জন করতে পারলেই কেবল আপনি নিজেকে অন্যের কাছে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে পারবেন।  জীবনে সফল হতে হলে, অবশ্যই নিজের গুরুত্ব বাড়াতে হবে এবং অন্যদের মাঝে নিজেকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে জায়গা করে নিতে হবে। আজকের পৃথিবীর সফল ব্যক্তি যারা, তারাও সফল হওয়ার অনেক আগে থেকেই নিজেদেরকে সমাজের কাছে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছেন, যা তাদেরকে আজকের এই পর্যায়ে আসতে সাহায্য করেছে।  জীবনে সফল হওয়ার জন্য কেউ যখন কাজ করতে থাকে, ঠিক তখন থেকেই তাকে নিজের গুরুত্ব বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হয়। তা না হলে পরবর্তীতে, নিজেকে সামজের অন্যদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলাটা অনেক কঠিন হয়ে যায়। তাই নিজেকে সবার মাঝে ধনী তথা সফল ব্যক্তিদের মত গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে চাইলে, এখন থেকেই আপনাকে কাজ শুরু করে দিতে হবে। কিন্তু কিভাবে নিজের মধ্যে ধনীদের মত আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব গড়ে তুলে নিজেকে সবার মাঝে গুরুত্বপূর্ণ করে

এ যুগের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যেভাবে কর্মীদের বেতন নির্ধারণ করে

আপনি কি জানেন, বেসরকারি চাকরিতে কিভাবে আপনার বেতন নির্ধারণ করা হয়?  নিয়োগকর্তা বা কোম্পানিগুলো ঠিক কি পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত নেয়, আপনার বেতন কত হবে? কেন একই যোগ্যতা থাকার পরও ভিন্ন ভিন্ন কোম্পানি ভিন্ন ভিন্ন অংকের বেতন দেয়? কিভাবে আপনার চেয়ে ১০ বছরের ছোট ছেলেটা আপনার চেয়ে বেশি বেতনে জয়েন করল? বেতনের ক্ষেত্রে সিনিয়রিটি নাকি দক্ষতা, কোনটিকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়? এসব প্রশ্নের  উত্তর নিয়েই আজকের এই পোস্ট।  আজকে এখানে আমি ব্যাখ্যা করেছি বেতন নির্ধারণের মূল ৫ টি ফ্যাক্টর, যেগুলো বেতন নির্ধারণের ক্ষেত্রে সারাবিশ্বেই সাধারনভাবে চর্চা করা হয়। কোন একটি কোম্পানিতে কার বেতন কত হবে, সেটা আসলে নির্ভর করে অনেকগুলো ফ্যাক্টরের ওপর।  আর নিয়োগকারী কোম্পানি কোন ফ্যাক্টরকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে সেটাও আপনার বেতনের অংকে প্রভাব ফেলতে পারে। যেকারনে একই সমান অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকার পরও দুটি ভিন্ন কোম্পানিতে দু’জনের আলাদা অংকের বেতন হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। তবে একটি আদর্শ কোম্পানিতে সাধারণত কিভাবে কোন এমপ্লোয়ির বেতন নির্ধারণ করা হয়, সেটা জানা থাকলে ব্যাপারটা বুঝতে সবার সুবিধা হবে। আসুন দেখা যাক কিভাবে সেটা

বাংলাদেশে স্বর্ণে বিনিয়োগ আসলে কতটা লাভজনক?

বাংলাদেশে সোনা বা স্বর্ণে বিনিয়োগ করা সত্যিকার অর্থেই আসলে কতটা লাভজনক এবং এদেশে  স্বর্ণ কিনে রেখে দিলে আপনার ভবিষ্যৎ কি  সেটা জানার জন্য সম্প্রতি আমি বেশকিছু খোঁজ-খবর করি এই ব্যাপারে।  এটা করতে গিয়ে দেখলাম, এই বিষয়টাতে বাংলাদেশে অনেক হিডেন ব্যাপার-স্যাপার আছে, যা সবার পক্ষে সাধারণভাবে জানা কখনই সম্ভব নয়।  এমনকি সোনা বা স্বর্ণ কিনতে গেলেও দোকানদাররা আপনাকে এসব কথা জানাবে না, কিন্তু যখনই বেচতে যাবেন, তখনই বুঝবেন স্বর্ণে বিনিয়োগ করাটা আপনার কতটা সঠিক কিংবা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল।  তাই  স্বর্ণ কিনে রেখে দিলে বাংলাদেশে আপনার ভবিষ্যৎ কি - সে বিষয়টি নিয়েই আজকে আলোচনা করব। তবে বিষয়টি ভালভাবে বোঝার জন্য, বাংলাদেশের বিষয়াদি আলাপের আগে, আসুন জেনে নেই, স্বর্ণে বিনিয়োগের কিছু বেসিক বিষয় এবং আন্তর্জাতিক মার্কেটে স্বর্ণে বিনিয়োগ করার পুরো চক্রটা ঠিক  কিভাবে  কাজ করে, সে সম্পর্কে।  কেন স্বর্ণে বিনিয়োগ করা হয়?  ডলার হোক কিংবা টাকা , যেকোন মুদ্রার মান বা ভ্যালু যখন কমতে থাকে , তখন সারা বিশ্বেই মানুষজন বিকল্প এসেট ক্লাস হিসেবে সোনা বা স্বর্ণের মত দামী ধাতুতে বিনিয়োগ করে। বিনিয়োগের জন্য দামী এবং প্রয়োজনীয় ধ